গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যকার পার্থক্য আলোচনা কর।

গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর
গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর

গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর

  • অথবা, গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যকার পার্থক্য আলোচনা কর ।
  • অথবা, গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্যসমূহ কী কী? বর্ণনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। এসব সমস্যা মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। এসব সমস্যার প্রকৃতি বিভিন্ন রকম। 

পারিবারিক, সামাজিক, ব্যক্তিগত, মানসিক প্রভৃতি সমস্যার সমন্বয়ে মানুষের সার্বিক সমস্যা গঠিত। মানুষের সমস্যা সমাধানের আবার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে যা নিয়ে প্রাচীনকাল থেকেই গবেষকগণ গবেষণাকার্য পরিচালনা করে থাকে ।

→ গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য : নিম্নে গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করা হলো :

১. গবেষণার সামাজিক বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের আওতাধীনে যেসব বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিবন্ধকতা লক্ষণীয় তাই গবেষণা সমস্যা। আর অবাঞ্ছিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অস্বস্তিকর কিছু অবস্থা যা সমাজ ও সমাজের মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গলের পথে বাধাস্বরূপ তাই হলো সামাজিক সমস্যা।

২. গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ একটি জটিলতর ও বিতর্কিত বিষয়। অন্যদিকে, সামাজিক সমস্যা জটিল সমাজের অস্বাভাবিক অবস্থার বিমূর্ত ধারণা ।

৩. যেসব সমস্যা প্রকৃতিগতভাবে জটিল এবং সমাধান জরুরি তা গবেষণা উপযোগী সমস্যা। পক্ষান্তরে, সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সমাজস্থ মানুষের মতৈক্য থাকতে পারে।

৪. সমাজের যেসব সমস্যা গবেষণা করা যায় এবং সমাজের জন্য যে সমস্যার সমাধান অপরিহার্য তা গবেষণা সমস্যার প্রধান শর্ত । আর গবেষণা সামাজিক সমস্যা নির্ধারণে তেমন ভূমিকা পালন করে না ।

৫. গবেষণা সমস্যা একটি নির্দিষ্ট সীমায় অবস্থান করে সমস্যা নিয়ে বিশ্লেষণ করে। কিন্তু সামাজিক সমস্যার কোনো নির্দিষ্ট সীমা ও অঞ্চল নেই ।

৬. সমাজের সকল প্রকার সমস্যা গবেষণা সমস্যার অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারে। অন্যদিকে, সমাজের অগ্রগতিকে ব্যাহত করে এমন সকল সমস্যাই সামাজিক সমস্যার অন্তর্ভুক্ত।

৭. সমাজে বিদ্যমান সকল সমস্যা নিয়ে গবেষণাকার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয় অথবা প্রয়োজনীয়তা নেই। কিন্তু সমাজের সকল প্রকার অসংগতি, যা সমাজের মানুষের সার্বিক জীবনযাপন ক্ষতিগ্রস্ত করে তাই সামাজিক সমস্যার অন্তর্গত।

৮. গবেষণা সমস্যার পরিসর ক্ষুদ্র ও সীমিত। পক্ষান্তরে, সামাজিক সমস্যা একটি ব্যাপক এবং বৃহৎ বিষয় যা সমাজের সব ধরনের সমস্যা অন্তর্ভুক্ত করে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজের সাথে সামাজিক সমস্যা অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। সমাজের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্যের অপূর্ণতা এবং মানুষের অপূরণজনিত চাহিদা এবং দ্বন্দ্বময় সামাজিক জীবনের ক্রিয়াকলাপ হতেই মূলত সামাজিক সমস্যার উদ্ভব ঘটে। 

সামাজিক সমস্যা সমাজ থেকে উদ্ভব হয় এবং সমাজের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করে। এসব সমস্যার মধ্যে থেকে যে সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা ও পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো প্রয়োজন হয়ে পড়ে তাই গবেষণা সমস্যা। সকল সমস্যাই গবেষণা সমস্যার বিষয়বস্তু নাও হতে পারে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গবেষণা সমস্যা ও সামাজিক সমস্যার মধ্যে পার্থক্যসমূহ কী কী? বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ