কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি - Rk Raihan

কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি।

কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি
কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি

কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক সমস্যা অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো কেস স্টাডি। পারিবারিক বাজেট সম্পর্কে জানতে গিয়ে সর্বপ্রথম এ পদ্ধতি সামাজিক বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়। এর দ্বারা সমাজ গবেষকগণ কোনো সামাজির। 

পরিস্থিতি, সমষ্টি ও ব্যষ্টিকে যাচাই করে থাকেন। এ পদ্ধতি এক বা একাধিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সাধারণ সূত্রে আসার চেষ্টা করা হয়। কেস স্টাডি হলো কোনো একটি সামাজিক একক সম্পর্কে সুগভীর পর্যালোচনা 

কোনো কোনো গবেষক এক একটি স্বাধীন পদ্ধতি না বলে কেবল কৌশল হিসেবে অভিহিত করতে চান। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে গবেষক বিস্তীর্ণ ও গভীর অভিজ্ঞতা লাভ করে।

• কেস স্টাডির সুবিধা : পদ্ধতিগত দিক থেকে এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার দিক থেকে সামাজিক গবেষণায় কেস স্টাডি পদ্ধতির কতকগুলো বিশেষ সুবিধা রয়েছে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো:

১. পদ্ধতিগত নমনীয়তা : এ পদ্ধতিতে গবেষক পদ্ধতিগত ধরাবাঁধা নিয়মে আবদ্ধ থাকে না। সমীকরণের প্রয়োজনে গবেষক যেকোনো পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার, ব্যক্তিগত নথি ও বহুজনীন নথি পর্যালোচনা, তথ্য বিবরণ অনুশীলন ইত্যাদি অনুসরণ করা হয়ে থাকে ।

২. বিষয়বস্তুর গভীরতা : কেস স্টাডির মাধ্যমে গবেষণা কার্য পরিচালনার অন্যতম সুবিধা হলো এর মাধ্যমে সমস্যা ও বিষয়বস্তুর গভীর সমীক্ষা পরিচালনা করা যায়। এ পদ্ধতিতে এক বা মুষ্টিমেয় কেস নিয়ে গবেষণা কার্য পরিচালনা করা হয় বিধায় এর মাধ্যমে গবেষণার বিষয়বস্তুকে গভীরভাবে অধ্যয়নের সুযোগ থাকে ।

৩. তত্ত্ব নির্মাণ : পূর্বে নির্মিত কোনো তত্ত্বকে কেস স্টাডির তথ্য দ্বারা যাচাই করা যায়। এ যাচাইকৃত সিদ্ধান্তকে বিশ্লেষণধর্মী সামান্যীকরণ বলা হয়ে থাকে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন স্থানে কেস স্টাডির সমীক্ষার তথ্যাবলি সূত্রে কোনো প্রচলিত তত্ত্বের সত্যায়ন, পরিবর্তন ও পরিশীলন করা যেতে পারে।

৪. গ্রহণযোগ্যতা : কেস স্টাডি পদ্ধতিতে গবেষণার এককের সাথে সরাসরি আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাই এর তথ্যগুলো যথার্থ ও বাস্তবসম্মত হয়। তাছাড়া বিশ্লেষণের এককের সহজপ্রাপ্যতা ব্যয় সংকোচন প্রভৃতি কারণে এ পদ্ধতি গ্রহণযোগ্যতা অধিক।

৫. নমুনায়ন : কেস স্টাডি দ্বারা নমুনার স্তরবিভাজন সহজতর হয়। ব্যক্তি এককের বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গবেষক উত্তরদাতা সমগ্রকে বিভিন্ন শ্রেণিভুক্ত করে নমুনার যথাযথ স্তরবিন্যাস সহজ করে ।

৬. গবেষণার নকশা : কেস স্টাডি পদ্ধতি হিসেবে চিহ্নিত হলেও এটি একটি গবেষণা নকশা হিসেবেও পরিগণিত হতে পারে । কারণ এটা একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে একটি কেসকে প্রাকৃতিক পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা করে থাকে। 

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কেস স্টাডির সীমাবদ্ধতা নানাবিধ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কেস স্টাডির মধ্য দিয়ে সমাজ গবেষক নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন। 

সমাজ বিজ্ঞানীগণের কেস স্টাডির দ্বারা নানাবিধ কৌশল আয়ত্ত করে গবেষণার পক্ষপাতিত্ব থেকে মুক্ত একটি নিরপেক্ষ গবেষণা প্রক্রিয়া গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Example.com - Your ACME Website Winner