অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন

অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন
অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন

অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন

ক. ক্লোরোসিস কী?

খ. অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন?

গ. চিত্রের 'A' অঙ্গটি কোন তন্ত্রের অন্তর্গত? উক্ত তন্ত্রের সম্পূর্ণ চিত্র অঙ্কন করে চিহ্নিত করো।

ঘ. চিত্রের 'A' অঙ্গটি খাদ্য পরিপাকে কীভাবে ভূমিকা রাখে বিশ্লেষণ করো ।

 প্রশ্নের উত্তর

. বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত কারণে উদ্ভিদের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ক্লোরোসিস।

. অগ্ন্যাশয় একই সাথে বহিঃক্ষরা এবং অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে কাজ করে। বহিঃক্ষরা হিসেবে পরিপাকের সময় এনজাইম নিঃসৃত করে। আবার অন্তঃক্ষরা হিসেবে বিভিন্ন হরমোন নিঃসৃত করে। এ কারণেই অগ্ন্যাশয়কে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়।

. উল্লিখিত 'A' অঙ্গটি পরিপাকতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত। নিচে পরিপাকতন্ত্রের একটি চিহ্নিত চিত্র দেয়া হলো-

অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন

. চিত্রের A চিহ্নিত অঙ্গটি হলো পাকস্থলি। পরিপাকতন্ত্রের এ অংশটি খাদ্য পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। A অাটিতে তথা পাকস্থলিতে খাদ্য পরিপাক ক্রিয়া বর্ণনা করা হলো- 

খাদ্য মুখগহ্বর থেকে অ্যানালির মধ্য দিয়ে পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। পাকস্থলিতে খাদ্য আসার পর অন্তঃপ্রাচীরের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে গ্যান্টিক রস ক্ষরিত হয়। এই রস খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক রসে প্রধানত হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও পেপসিনোজেন নামক এনজাইম থাকে। হাইড্রোক্লোরিক এসিড খাদ্যের ক্ষতিকর অণুজীবতে ধ্বংস করে এবং নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে। 

এই সক্রিয় পেপসিন আমিষ জাতীয় খাবারকে ভেঙ্গে দুই বা | ততোধিক অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত যৌগ-পলিপেপটাইডে | (প্রোটিওজ ও পেপটোন) রূপান্তরিত করে। পাকস্থলিতে মূলত আমি | জাতীয় খাবারই পরিপাক হয়, কিন্তু শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাক হয় না। কারণ শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো পাকস্থলিতে অনুপস্থিত। 

উপরোন্ত . এনজাইমের ক্রিয়া ছাড়াও পাকস্থলির অনবরত সংকোচন ও প্রসারণের কারণে খাদ্য অর্ধতরল মিশ্রমণ্ডে পরিণত হয়। এটি পরবর্তীতে একটু একটু করে ডিডেওনামে প্রবেশ করে।

অতএব, A. অঙ্গটি অর্থাৎ পাকস্থলি খাদ্য পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ