বহুবিবাহ কি | বহুবিবাহ কাকে বলে

বহুবিবাহ কি | বহুবিবাহ কাকে বলে - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বহুবিবাহ কি | বহুবিবাহ কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বহুবিবাহ কি | বহুবিবাহ কাকে বলে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

বহুবিবাহ কি  বহুবিবাহ কাকে বলে
বহুবিবাহ কি  বহুবিবাহ কাকে বলে

বহুবিবাহ কি | বহুবিবাহ কাকে বলে

উত্তর : | ভূমিকা : কোনো পুরুষের একজন স্ত্রী বর্তমান থাকাকালীন একাধিক স্ত্রী গ্রহণই বহু বিবাহ। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় বহু বিবাহ খুব বেশি প্রচলিত নয়। যদিও ইসলাম ধর্মমতে একজন পুরুষ একই সাথে ৪ জন স্ত্রী রাখার অধিকার রাখেন। 

তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার বহু বিবাহকে বেশ আড়চোখে দেখা হয়ে থাকে। বহু বিবাহের সংজ্ঞায়ন আবার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বেশ ভিন্ন । তাই বহুবিবাহকে প্রধানত ২ ভাবে দেখা যেতে পারে । যেমন :

(i) বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে; (ii) বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে ।

নিম্নে এ সংক্রান্ত আলোচনা তুলে ধরা হলো :

(i) বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বহুবিবাহ : একজন স্বামীর বহু বিবাহের অধিকার থাকলেও একজন স্ত্রীর তা নেই। আবার মুসলিম আইনে শর্তসাপেক্ষে পুরুষের বহু বিবাহ অনুমোদন যোগ্য। যেমন : ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো পুরুষ যদি একজন স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করতে চান তবে সে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট আবেকটি বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করবে। বর্তমান স্ত্রীর অনুমতি আছে কি না তাও আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে । 

আবেদনপত্র পাবার পর চেয়ারম্যান স্ত্রী ও স্বামীর পক্ষ থেকে একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে একটি সালিশী পরিষদ গঠন করবেন। 

এই সালিশী পরিষেদের নিকট স্বামীর আরেকটি বিয়ে করার ইচ্ছে ন্যায়সঙ্গত মনে করে তারা স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার লিখিত অনুমতি পত্র দিবেন। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, শুধু স্ত্রীর অনুমতিই যথেষ্ট নয় বরং সালিশী পরিষদের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের দেওয়া অনুমতিপত্রই দ্বিতীয় বিয়ের আইনসম্মত ভিত্তি।

(ii) বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে বহুবিবাহ : গ্রিক শব্দ ‘পলিয়ান্ড্রি’ শব্দ থেকেই ‘বহু বিবাহ' শব্দটির উৎপত্তি'। বিয়ের রীতি অনুযায়ী একজন স্বামীর সঙ্গে একাধিক স্ত্রীর বিয়ের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যদিও বহু স্বামীকে বিয়ে করার ঘটনা বেশ বিরল।

নাইজেরিয়ার কিছু জাতিগোষ্ঠী, উত্তর আমেরিকায় প্যাভিয়াটসো, ইন্ডিয়ান, শ্রীলংকার কান্দিয়ান, ইন্দোচীনের ডা-লা সমাজ, সিকিম, কাশ্মীর, তিব্বত ও ভারতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতির ভিতর এখনও বহুবিবাহের প্রচলন রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের ট্রৌডাদের মধ্যে এই রীতি বেশি প্রচলিত বলে গবেষকরা দাবি করেন । বহুস্বামী গ্রহণ আবার দুই প্রকার । যেমন: (i) ভ্রাতৃবৎ (ii) অভ্রাতৃবৎ।

ভ্রাতৃবৎ প্রথার কয়েকজন ভাই মিলে একজন স্ত্রী গ্রহণ করে থাকেন। যেমন : মহাভারতের দ্রৌপদীর সঙ্গে পঞ্চপাণ্ডবের বিয়ের ঘটনা। অন্যদিকে অভ্রাতৃবৎ প্রথায় স্বামীরা পরস্পর ভাই বা নিকট আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ জ্ঞাতি সম্পর্কে সম্পর্কিত হয়ে থাকেন। এ বিয়ের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো সম্পত্তির প্রবাহ পারিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা। 

এই প্রত্যয়ে স্ত্রীর সন্তানরা সকলই স্বামী বা ভ্রাতার সন্তান রূপে বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিকতা জিইয়ে রাখাই এরূপ সমাজ ব্যবস্থার অন্যতম উদ্দেশ্য।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষই কেবল বহুবিবাহ করতে পারে। পুরুষের একাধিক বিয়েকে যুক্তিসঙ্গত করার জন্য আইন প্রণীত হলেও নারী/স্ত্রী এর সুফল খুব কমই পেয়ে থাকে। 

কেননা অনেক সময় স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দিলে স্বামী তার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করতে পারে। আবার, স্ত্রী অনেক সময় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে না । আবার অনেক সময় স্ত্রী আইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেও স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে চায় না।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বহুবিবাহ কি  বহুবিবাহ কাকে বলে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বহুবিবাহ কি  বহুবিবাহ কাকে বলে । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ