বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর

  • অথবা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কিভাবে রক্ষা করা যায়?
  • অথবা, বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা রক্ষার উপায়গুলো উল্লেখ কর।
  • অথবা, বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা সংরক্ষণে উপায়সমূহ বর্ণনা কর।
  • অথবা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কীভাবে বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা যায়?

উত্তর : ভূমিকা : বিচার বিভাগ সরকারের সর্বশেষ কার্যকরী বিভাগ। বিচার বিভাগ গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রয়াস চালায়। এছাড়া ন্যায়বিচার ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ অগ্রণী ভূমিকা রাখে। 

আর বিচার বিভাগের কার্যাবলি সম্পাদন করার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আবশ্যক। আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

→ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা : সাধারণত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতাকে বুঝায়। ব্যাপক অর্থে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে বুঝায় শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের প্রভাব হতে মুক্ত হয়ে কাজ করা।

→ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় কতিপয় পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। নিচে তা প্রদত্ত হলো :

১. যোগ্যতা যাচাই : বিচারকার্য সম্পাদন করার জন্য যোগ্য ও উপযুক্ত লোক নিয়োগ করতে হবে। সঠিক বিচার পেতে হলে যোগ্য বিচারকের প্রয়োজন।

বিচারকের গুণগত ও চারিত্রিক গুণাবলি উত্তম হতে হবে, তাহলে বিচারকার্য সঠিক হবে। তবেই বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হবে।

২. বিচারকের নিয়োগ পদ্ধতি : বিচারকের নিয়োগ পদ্ধতি হতে হবে ১০০% নিরপেক্ষ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। তা না হলে অসৎ লোক এ কাজে সম্পৃক্ত হলে বিচারকার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে না। বিচারক এর নিয়োগ পদ্ধতিতে Prof. Garner এর কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে ।

৩. কার্যকালের স্থায়িত্ব : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচারকদের কার্যকাল স্থায়ী করা আবশ্যকীয়। একবার বিচারক নিয়োগ হলে তাদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ন্যায়সম্মতভাবে বহাল রাখতে হবে। হঠাৎ করে বরখাস্ত করা যাবে না। তা না হলে বিচারকগণ অসৎ উপায় অবলম্বন করতে পারে।

৪. রাজনীতিমুক্ত : বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখার জন্য বিচারক নিয়োগ ও বিচারকার্যকে রাজনীতি মুক্ত থাকতে হবে। এতে বিচারকের রায় সঠিক হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।

৫. উপযুক্ত পদোন্নতি : বিচার বিভাগ স্বাধীন রাখতে হলে যথাযথ নিয়ম নীতি অনুসারে পদোন্নতি দিতে হবে। এখানে সিনিয়রিটি ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া উচিত ।

৬. উপযুক্ত বেতনভাতা : বিচারকদের পর্যাপ্ত বেতন ভাতা দিতে হবে। তবেই তারা অসদুপায় অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকবে। এছাড়া পর্যাপ্ত বেতন ভাতা তাদের চাকরিতে উৎসাহী- করে তুলবে এতে বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকবে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দেশে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আবশ্যক। অন্যথায় বিচার বিভাগ কলুষিত হলে দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে এবং গণতন্ত্র ধ্বংসে লিপ্ত হবে। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় সমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ