ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো

  • অথবা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সম্পর্কে লেখ। 
  • অথবা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাগুলো আলোচনা কর।
  • অথবা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পর্কে ধারণা পাও ।

উত্তর : ভূমিকা : কোনো বিধিবন্ধ বা দলিলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ও কার্যাবলি লিপিবন্ধ না থাকলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। 

তিনি তার ক্ষমতা দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তবে তার এইটা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের দ্বারা তার ক্ষমতাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

→ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা : নিম্নে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের অভিমত : বিভিন্ন চিন্তাবিদগণ বিভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পর্কে মতপোষণ করেছেন। ১৯৩৭ সালের রাজমন্ত্রী আইনে প্রধানমন্ত্রীকে সরকারি অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান লর্ড বলে উল্লেখ করেন। 

জনমৌলের মতে, “প্রধানমন্ত্রী হলেন কেবিনেটে খিলানের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি প্রস্তর খণ্ড।” লাস্কি বলেন, “কেবিনেটের জন্ম, কাজকর্ম ও মৃত্যু সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী বিরাজমান।”

২. দলের মধ্যমণি হিসেবে : দলের নেতা হিসেবে তিনি পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাইরে মর্যাদার অধিকারী। দলীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। নেতৃত্বগুণের জন্য তিনি দলের প্রধান হিসেবে ভূষিত হন।

৩. কমন্সসভার নেতা হিসেবে : প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কমন্সসভা। আইভর জেনিংস বলেন, কমন্সসভাকে ঠিকমতো পরিচালিত করা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। 

কারণ তিনি মুখ্য সচিবের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সভার কাজকর্ম স্থির করেন। গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করানোর দায়িত্ব তাকেই করতে হয়।

৪. কেবিনেটের সভাপতিত্ব : প্রধানমন্ত্রী পদমর্যাদার তৃতীয় দিকটা হলো তিনি কেবিনেটের সভাপতি। জেনিংস বলেন, কেবিনেটকে নেতৃত্ব দেওয়া, সরকারি নীতি ও বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়সাধন করার ক্ষেত্রে কোনো প্রধান সম্পূর্ণরূপে সফল হতে পারলেও সমন্বয়সাধন করার কাজটি তিনি সাফল্যের সাথে নাও করতে পারেন। তবে প্রশাসন ও নীতি সম্পর্কে শেষ কথাটি বলার একমাত্র মালিক প্রধানমন্ত্রী।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি অধিক। তাই প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে Prof. Jennings বলেছেন,” প্রধানমন্ত্রী কেবল পর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রধান নন বা ক্ষুদ্রতর তারকাদের মধ্যে চাঁদই নন, তিনি হচ্ছেন একটি সূর্য যার চারদিকে গ্রহগুলো ঘুরছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ