মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর
মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর

মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর

  • অথবা, মার্কিন নিম্ন কক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর।
  • অথবা, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ বা প্রতিনিধি সভার ক্ষমতা কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দাও।

উত্তর : ভূমিকা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা Congress নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রীয় আইনসভা হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসও একটি দ্বি-পরিষদীয় আইনসভা। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষকে প্রতিনিধিসভা এবং উচ্চকক্ষকে সিনেট বলা হয়। 

প্রতিনিধি সভা জাতীয় ভিত্তিতে সমগ্র জাতির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়। মার্কি কংগ্রেসের প্রতিনিধি সভা এবং সিনেটের সদস্যরা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন। ব্রিটেনের কমপসভা এবং ভারতের লোকসভার মতো মার্কিন প্রতিনিধি সভা হলো একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ।

প্রতিনিধি সভার গঠন : মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় ভিত্তিতে গঠিত হয়। কোনো অঙ্গরাজ্য থেকে প্রতিনিধি সভায় কতজন সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসবেন তা সাম্প্রতিক জনগণনা অনুসারে ঠিক করা হয়। 

জনগণনার পর প্রত্যেক রাজ্যের জনসংখ্যা ও তার প্রাপ্য আসন সংখ্যার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির কাছে 'ব্যুরো অব সেন্সাস' একটি প্রতিবেদন পেশ করে। 

সাধারণত সাড়ে তিন লক্ষ জনসংখ্যা পেছনে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। প্রতিনিধি সভার জনসংখ্যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩৫ হয়েছে। 

সংবিধান প্রবর্তনের প্রাক্কালে প্রতিনিধি সভার সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৫। এই প্রসঙ্গে ১৯২৯ সালে The Reappontionment Act 1929 ধারা সদস্য সংখ্যা ৪৩৫ জন নির্দিষ্ট করা হয়।

→ প্রতিনিধি সভার সদস্য পদপ্রার্থীদের যোগ্যতা :

১. তাকে কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স্ক হতে হবে।

২. তাকে অন্তত ৭ বছর যাবৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে।

৩. যে অঙ্গরাজ্য থেকে প্রতিদ্বন্দ্বি করবেন তাকে সেই অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী হতে হবে। বেতন ভাতা ও অব্যাহতি মার্কিন সংবিধান অনুসারে প্রতিনিধি সভার সদসসের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। 

বর্তমান ব্যবস্থা অনুসারে সদস্যগণ বাৎসরিক কোনো বেতন হিসেবে ৫৭,৫০০ ডলার পেয়ো থাকেন। তা ছাড়া অন্যান্য ভাতা পান। 

সদস্যদের ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা পায় বটে। কিন্তু অধিবেশন চলাকালীন সময়ে দেওয়ানি অপরাধের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করা যায় না।

→ প্রতিনিধি সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় প্রতিনিধি সভার কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা ও দায়িত্ব আছে।

১. আইন প্রণয়ন : আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিনিধি সভা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী। যেকোনো ধরনের বিল এই সভায় উত্থাপন করা যায়। অর্থ বিলের ব্যাপারে এই সভা বিশেষ ক্ষমতা ভোগ করে। অর্থ বিল প্রতিনিধি সভাতেই সর্বপ্রথম উত্থাপন করতে হয়, অর্থাৎ সিনেটে উত্থাপন করা যায়। সাধারণ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে উভয় রুক্ষ প্রায় একই রকম ক্ষমতা ভোগ করে।

২. অভিশংসন ক্ষমতা : রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিতে রাজ্যদ্রোহিতা, উৎকোচ গ্রহণ প্রভৃতির অভিযোগ উত্থাপনের ক্ষমতার একমাত্র প্রতিনিধি সভারই আছে। তবে এই অভিযোগ বিচারের ক্ষমতা সিনেটের হাতেও নাস্ত আছে।

৩. রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের কেউ প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলে প্রতিনিধি সভাই সর্বাধিক সংখ্যক ভোট প্রাপ্ত প্রথম তিনজন প্রার্থী মধ্যে যেকোনো একজনকে গোপন ব্যালট প্রথা রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করে।

৪. সংবিধান সংশোধন : সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে প্রতিনিধি সভা ও সিনেট একযোগে ক্ষমতা ভোগ করে। তবে প্রতিনিধি সভার গুরুত্ব অধিক থাকে।

৫. নতুন রাজ্য অন্তর্ভুক্তি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেও উভয় কথা অর্থাৎ প্রতিনিধি সভা ও সিনেট একযোগে ক্ষমতা ভোগ করে থাকে।

৬. সভার কার্য পরিচালনা : প্রতিনিধি সভা সভার কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্য প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন প্রণয়ন ও প্রচলিত নিয়মকানুন পরিবর্তন করতে পারে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মার্কিন প্রতিনিধি সভায় কমিটি ব্যবস্থার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের আইনসভার ন্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভায়ও বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন কমিটি আছে। 

বর্তমানে প্রতিনিধি সভায় ৬০টির মতো কমিটি আছে। তার মধ্যে ২০টি কমিটি স্থায়ী। স্থায়ী কমিটিগুলো ছাড়া সমগ্র কক্ষকে নিয়ে একটি সমগ্র কক্ষ কমিটি গঠিত হয়। 

স্পিকারের মনোনীত কোনো সদস্য এই কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন । এই সমস্ত কমিটি দলীয় ভিত্তিতে গঠিত হয়। প্রত্যেক দলই কমিটিতে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে চেষ্টা করে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের মার্কিন প্রতিনিধি সভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ