মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ |
মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ
- অথবা, মার্কিন সংবিধানের ক্রমবিবর্তন বর্ণনা কর।
- অথবা, মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : ভূমিকা : ১৭৮৭ সালে ফিলাডেলফিয়া সম্মেলনে রচিত সংবিধানে একটি প্রস্তাবনা ও সাতটি অনুচ্ছেদ সংযুক্ত হয়। প্রবর্তনের পর এ পর্যন্ত ২৬ বার এটার সংশোধন করা হয়।
সংবিধান কার্যকরী হওয়ার অব্যবহিত পরেই ১৭৯১ সালে প্রথম দশটি সংশোধন পাস হয়। অর্থাৎ মার্কিন সংবিধান ক্রমশ পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়। পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে মার্কিন সংবিধান বিবর্তিত ও বিকশিত হচ্ছে।
→ মার্কিন সংবিধানের বিকাশ : সুপ্রিমকোর্টের রায় রীতিনীতি ও প্রথা, কংগ্রেস প্রণীত আইন, রাষ্ট্রপতির ভূমিকা সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রভৃতি মার্কিন সংবিধানের ক্রমবিবর্তনে সাহায্য করেছে। যথা-
১. বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত : মার্কিন সংবিধানের বিকাশ ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত : ঊনবিংশ শতাব্দীতে সুপ্রিমকোর্টের এই ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠে।
অনেকের মতে দেশের পরিবর্তিত আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংবিধানের সামঞ্জস্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট সাহায্য করেছে। সুপ্রিমকোর্টের এই ভূমিকার জন্যই মার্কিন সংবিধানের সংশোধন সংখ্যা এত কম।
২. শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি ও প্রথা : যেকোনো দেশের সংবিধান নির্দিষ্ট একটি ঐতিহাসিক স্তরে প্রণীত হয়। সমকালীন পরিস্থিতির বিচারে সংবিধান রচয়িতারা সংবিধান রচনা করে থাকেন।
কিন্তু দূর ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সমস্যাদি এবং তার সমাধান সম্পর্কে আগেভাগে অনুমান করা ও তদানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু সময় গতিশীল ও পরিবর্তনশীল ।
৩. কংগ্রেস প্রণীত আইন : মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক প্রণীত আইন মার্কিন সংবিধানের অন্যতম উপাদান হিসেবে গণ্য হয়। মার্কিন সংবিধানে জাতীয় সরকারের সংগঠন ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কোনো কিছু বলা নেই।
মার্কিন কংগ্রেস প্রণীত আইনই এই ফাঁক পূরণ করেছে। কার্যত, কংগ্রেসের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর গঠন করে থাকে। প্রশাসনিক সংস্থাসমূহের গঠন কাঠামো ও ক্ষমতার উৎস হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কংগ্রেসে প্রণীত আইন।
৪. সংবিধান সংশোধন : জনজীবনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি সাধনের স্বার্থ সংবিধানের সংশোধন অপরিহার্য সংবিধানের সংশোধন বলতে পরিবর্তন এবং সম্প্রসারণ উভয়ই বুঝায়।
সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানে বর্তমান আইনের যেমন পরিবর্তন করা হয়, তেমনি নতুন নিয়মকানুন যুক্ত করা হয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পথে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের একটি পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়।
৫. প্রশাসনিক কার্যকলাপ : মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রশাসনিক কার্যকলাপের ফলশ্রুতি হিসেবেও মার্কিন সংবিধানের ক্রমবিকাশ ও সম্প্রসারণ ঘটেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাঁর শাসন বিভাগীয় ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে এমন অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যার ফলে বিভিন্ন সাংবিধানিক সমস্যার সমাধান হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যাপারে স্বয়ং তাঁর ক্ষমতা ব্যাখ্যা করে থাকেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি সংবিধানের বিধানসমূহ প্রয়োগের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস কর্তৃক প্রণীত আইনের ব্যাখ্যাও প্রদান করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বস্তুতপক্ষে দুষ্পরিবর্তনীয়তা সত্ত্বেও সংবিধান বিগত প্রায় দু'শ বছরের ইতিহাস জাতীয় জীবনের প্রয়োজন পূরণে এবং পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি সাধনে সক্ষম হয়েছে।
এই বিবর্তনের ধারায় মার্কিন সংবিধান উল্লেখ যোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। একটি প্রস্তাবনা ও সাতটি অনুচ্ছেদ সমন্বিত ১৭৮৭ সালের সংবিধানের সঙ্গে বর্তমানের মার্কিন সংবিধানের ব্যাপক পার্থক্য আছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। যদি তোমাদের আজকের মার্কিন সংবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।