মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর |
মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর
- অথবা, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?
- অথবা, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
- অথবা, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : ভূমিকা : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি বলতে বুঝায় সরকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে আইন, শাসন ও বিচার | এই তিনটি বিভাগকে পৃথক করে দেওয়া।
এ নীতি অনুসারে সরকারের তিনটি বিভাগ পরস্পর স্বতন্ত্র থেকে নিজ নিজ ক্ষমতা চর্চা ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে।
এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। নিম্নে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হলো :
→ ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির বৈশিষ্ট্য : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হলো :
১. ক্ষমতার পৃথকীকরণ : ক্ষমতা স্বাতন্ত্রীকরণ নীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ক্ষমতার পৃথকীকরণ। সরকারের তিনটি বিভাগ যেমন আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা পৃথক থাকবে। অর্থাৎ সরকারের সকল ক্ষমতা একই বিভাগের হাতে ন্যস্ত থাকবে না ।
২. ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির মাধ্যমে সরকার প্রতিটি বিভাগকে সীমাবদ্ধ করেছে। প্রতিটি বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলি সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে এক বিভাগের উপর অন্য বিভাগের কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করবে না।
৩. স্বাধীন কার্যক্ষেত্র : কার্যের স্বাধীনতা ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ একটি অপরিহার্য বিষয়। এ নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রত্যেকটি বিভাগের কাজের পরিধি নির্ধারণ করা যায় এবং প্রত্যেক বিভাগ | তার পরিধিরভুক্ত কার্য সম্পাদন স্বাধীনতা ভোগ করে ।
৪. পারস্পরিক নিয়ন্ত্রণমুক্ত : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির ফলে সরকারের এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই সরকারের স্ব-স্ব বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রত্যেকটি বিভাগকে একে অপরের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত থাকতে হবে।
৫. কর্ম পরিধি নির্ধারণ : আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন করবে, শাসন বিভাগ আইন প্রয়োগ করবে এবং বিচার বিভাগ অন্য বিভাগের কর্ম পরিধিতে হস্তক্ষেপ করবে না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির বৈশিষ্ট্যগুলো সুস্পষ্ট ও সর্বজনবিদিত। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির বৈশিষ্ট্যগুলো প্রতিটি সরকারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অপরিহার্য।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর। যদি তোমাদের আজকের মন্টেস্কুর ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ব্যাখ্যা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।