ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান
ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান

ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান

  • অথবা, ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে যা জান লিখ। 
  • অথবা, সুলতান ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাচির উদ্দিন কুরাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর : ভূমিকা : কুতুবুদ্দিন আইবেক কর্তৃক ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও তার স্বল্পকালীন শাসনে মুসলিম আধিপত্য সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। 

তাই তার মৃত্যুর পর সমগ্র উত্তর ভারতে বিদ্রোহের সূত্রপাত হলে ইলতুৎমিশ কঠোর হস্তে একে একে সব বিদ্রোহের অবসান ঘটান। নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ ছিল তার মধ্যে অন্যতম।

→ সুলতান ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন : সুলতান ইলতুৎমিশ বিভিন্ন বিদ্রোহ নিজ হাতে দমন করে | নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন করার জন্য মনোনিবেশ করেন।

ইয়ালদুজের পরাজয়ের পর ইলতুৎমিশ আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে নাসিরউদ্দিন কুবাচার দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ করেন। নাসিরউদ্দিন কুবাচা স্বাধীনতা ঘোষণা করে লাহোর পর্যন্ত অগ্রসর হতে সক্ষম হয়েছিল। 

১২২৭ সালে কুবাচা পুনরায় বিদ্রোহ ঘোষণা করলে ভাস্কারের সন্নিকটে এক চূড়ান্ত যুদ্ধে ইলতুৎমিশ তাকে পরাজিত করেন। 

কিন্তু কুবাচা আত্মসমর্পণ না করে পলায়নকালে সিন্ধু নদ অতিক্রম করতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ হারান। এতে সুলতান সাম্রাজ্যের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে স্বীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুলতান ইলতুৎমিশের রাজত্বকালে নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ একটি স্মরণীয় ঘটনা। মূলত তিনি কুতুবউদ্দিন আইবেকের সহচর হিসেবে তার মৃত্যুর পর দিল্লি সালতানাতের অধিশ্বর হতে চেয়েছিলেন। 

তাই ইলতুৎমিশের সময় বিদ্রোহ করেন। কিন্তু ইলতুৎমিশ অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য হওয়ায় তার বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করতে সক্ষম হন । ফলে দিল্লি সালতানাতে মামলুক শাসনের ভিত সুদূর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান। যদি তোমাদের আজকের ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ