মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও
মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও

মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও

  • অথবা, মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলায় প্রশাসনিক অবস্থা কেমন ছিল? আলোচনা কর।
  • অথবা, মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর : ভূমিকা : আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা এমনই একটি দিক, যা থেকে ঐ দেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও উন্নতির ধারাকে সঠিকভাবে নিরূপণ করা যায়। 

সে দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। 

ভারতীয় উপমহাদেশে তখন অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং রাজ্যগুলোর মধ্যে একতা ছিল না। 

অধিকন্তু তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ ও যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই থাকত। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে কোনো রাষ্ট্রীয় স্থায়িত্ব ছিল না।

→ মুসলিম বিজয়ের পূর্বে বাংলার প্রশাসনিক অবস্থা : মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলার প্রশাসনিক অবস্থা সম্পর্কে যে চিত্র পাওয়া যায় তা ছিল তৎকালীন সময়কার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে মুসলিম বিজয়ের পূর্বে বাংলার প্রশাসনিক অবস্থা তুলে ধরা হলো :

১. রাজা : শাসনব্যবস্থায় রাজাই ছিলেন সর্বেসর্বা। সকল ক্ষেত্রে তার মতামতই ছিল চূড়ান্ত। আইন প্রণয়ন, ক্ষমতার বণ্টন, শাসন পরিচালনা এবং সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগের চূড়ান্ত এখতিয়ার একমাত্র রাজার হাতেই ন্যস্ত ছিল। 

সাধারণত বংশানুক্রমিকভাবে রাজা নিযুক্ত হতেন। কিন্তু বঙ্গদেশের পালবংশীয় গোপাল এবং কাঞ্চীর পল্লব বংশীয় নন্দী বর্মনের উদাহরণ হতে মনে হয় যে, রাজ্যের প্রধান ব্যক্তিরাও অনেক সময় রাজা নির্বাচন করে নিতেন।

২. মন্ত্রিবর্গ : রাজ-কার্যনির্বাহের ব্যাপারে মন্ত্রীগণ রাজাকে পরামর্শ দান ও সাহায্য করতেন। তবে রাজা তাদের পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য থাকতেন না। রাজার মন্ত্রীর সংখ্যা কত হবে তা প্রয়োজন ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করত। 

গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীগণ সন্ধি বিগ্রহিক, অমাত্য, সুমন্ত, রাজপুরোহিত প্রভৃতি নামে অভিহিত হতেন। এখানে অক্ষপাটলাঘিকারিতার দায়িত্ব হল দলিল রক্ষক, অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রধান হলো অর্থমন্ত্রী, সুমন্ত হলো পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী এবং রাজপুরোহিত হলো ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী।

৩. শাসনব্যবস্থা : মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলার সাম্রাজ্য বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত ছিল। প্রাদেশিক প্রধানকে বলা হতো উপারিকা। প্রদেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজার আদেশ পালন করা এবং সামরিক অভিযান পরিচালনা করা ছিল তার প্রধান কর্তব্য। 

প্রত্যেকটি প্রদেশ আবার কতকগুলো জেলায় বিভক্ত ছিল। জেলাকে বলা হতো “ভাষ্য”। জেলার শাসনকর্তা ভাষ্যপতি নামে অভিহিত হতেন। 

দেশের শাসনব্যবস্থায় পল্লিগ্রাম ছিল সর্বনিম্ন ইউনিট। গ্রামের শাসনব্যবস্থা মোড়ল বা পঞ্চায়েত কর্তৃক সম্পাদিত হতো।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলার প্রশাসনিক অবস্থা মোটামুটি সন্তোষজনক ছিল। 

কারণ পাল ও সেন শাসকদের অকৃত্রিম প্রচেষ্টায় বাংলার প্রশাসনে একটি স্থিতিশীল অবস্থা বিরজিত ছিল। 

কেন্দ্র থেকে শুরু করে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে প্রশাসনকে সচল রাখত।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও। যদি তোমাদের আজকের মুসলিম বিজয়ের পূর্বের বাংলার প্রশাসনিক অবস্থার বিবরণ দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ