প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।
প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর |
প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর
- অথবা, প্রত্যক্ষ নির্বাচনের কুফলগুলো আলোচনা কর ।
- অথবা, প্রত্যক্ষ নির্বাচনের অসুবিধাগুলো কী কী?
- অথবা, প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ত্রুটিগুলো উল্লেখ কর।
- অথবা, প্রত্যক্ষ নির্বাচনে বিপক্ষের যুক্তিগুলো বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। তার মধ্যে প্রত্যক্ষ নির্বাচন অন্যতম।
প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেজনগণ সরাসরি তাদের শাসন ভার অনোর উপর অর্পণ করতে পারে। আবার শাসকগণ জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করলে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে তালের প্রত্যাখান করে থাকে।
প্রত্যক্ষ নির্বাচনের অসুবিধাসমূহ: প্রত্যক্ষ নির্বাচনের অনেক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কতিপয় অসুবিধা রয়ে গেছে। এ নির্বাচন পদ্ধতির কতিপয় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ নির্বাচন পদ্ধতির কতিপয় উল্লেখযোগ্য ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ নিয়ে বর্ণন করা হলো।
১. অযোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন : প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থেকে যায়। গণতন্ত্র উত্তম অর্থ শাসনব্যবস্থা।
কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় অধিকাংশ ভোটার অজ্ঞ ও অশিক্ষিত। তারা দায়িত্বহীন ও বিবেকহীনও বটে। তাদের বুদ্ধি বিচার দ্বারা যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বা বাছাই করতে পারে না।
২. প্রতারণার সম্ভাবনা : প্রত্যক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার ভোটারগণ অধিকাংশ অদক্ষ ও অশিক্ষিত হওয়ায় তারা প্রার্থীর দ্বারা মিথ্যা আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে প্রতারিত হতে পারে। এটা প্রত্যক্ষ নির্বাচনের অন্যতম সীমাবদ্ধতা।
৩. ব্যয়বহুল : প্রত্যক্ষ নির্বাচনে বিরোধীরা মনে করে এটা ব্যয়বহুল। কারণ সকল ভোটারের জন্য ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা ও প্রার্থীগণ ভোটাদের প্রভাবিত করার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করে।
তাছাড়া সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক প্রচারাভিযান চালনায় সরকারি ও বেসরকারি অনেক অর্থ ব্যয় হয়।
৪. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা : রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের মতামতকে নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা করে। তবে নির্বাচনের পর নির্বাচিত ও অনির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে ।
৫. অস্পষ্টতা : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যক্ষ নির্বাচনে ভোটারগণ অদক্ষ ও অশিক্ষিত । তাই তারা তাদের পছন্দমতো প্রার্থী বাছাই করতে পারে না।
মূলত প্রার্থী মনোনয়নের চাবিকাঠি থাকে রাজনৈতিক দলের হাতে। ফলে দলগুলোই তাদের প্রার্থী মনোনয়ন করে থাকে।
৬. আবেগের আশঙ্কা : প্রার্থীগণ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করে থাকে। জনগণকে বিভ্রান্তি করতে তারা বিভিন্ন প্রচারাভিযান চালায়। এতে পেশাদার দক্ষ ও চতুর রাজনীতিবিদরা জনগণকে আবেগপ্রবণ করে তোলে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রত্যক্ষ নির্বাচনের উল্লিখিত ত্রুটি, অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচনের এ পদ্ধতি উৎকৃষ্টতর ।
এ পদ্ধতিতে জনগণ সরাসরি তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং তাদের দ্বারা সরকার গঠন হয়ে থাকে। এ নির্বাচন ব্যবস্থায় গণতন্ত্র সুসংহত হয়ে থাকে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটি বা অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।