সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর
সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর

সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর

  • অথবা, সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্ব সংক্ষেপে লিখ।
  • অথবা, সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্ব উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : তুঘলক বংশের প্রতিষ্ঠাতা গিয়াসউদ্দিনের শাসনকাল ১৩২০-২৫ সাল পর্যন্ত। এ সময় শাসনব্য পরিচালনা করে যে বীরত্ব ও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মেধা, মননশীলতা ও যোগ্যতার মধ্যদিয়ে তিনি নিজেকে সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্ব : ভারতীয় উপমহাদেশে যেসব রাজ বংশ ছিল তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তুঘলক বংশ। আর এ তুঘলক বংশ প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব একমাত্র গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের। নিচে তার কৃতিত্ব তুলে ধরা হলো :

১. সফল অভিযান : গিয়াসউদ্দিনের অন্যতম কৃতিত্ব হলো সফল অভিযান পরিচালনা করা। আলাউদ্দিন খলজির শাসনকালে তিনি মোঙ্গলদের কমপক্ষে ২৯টি আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হন। তাছাড়া তিনি বরদল, বঙ্গদেশ, ত্রিহুত জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

২. আইন রচনাকারী : সঠিক আইন প্রয়োগকারী হিসেবে গিয়াসউদ্দিনের অবদান অনেক। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল দিক বিবেচনা করে তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবার জন্য আইন তৈরি করে সমভাবে প্রয়োগ করেন।

৩. বিচক্ষণ : শাসক হিসেবে গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের বিচক্ষণতা প্রশংসার যোগ্য। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে তিনি সভাসদের পরামর্শ গ্রহণ করতেন। শাসনব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি দক্ষ এবং নিবেদিত কর্মচারীদের নিয়োগ প্রদান করেন।

৪. প্রজাহিতৈষী : সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলক সর্বদাই জনগণের জন্য নিবেদিত প্রাণে উদ্বিঘ্ন থাকতেন এবং তাদের কল্যাণে পদক্ষেপ নিতেন। অতিরিক্ত কর লাঘব, অন্ধ ও অচলদের জন্য তিনি বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন।

৫. স্থাপত্য প্রেমী : স্থাপত্যশিয়ে গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের অবদান অনস্বীকার্য। দিল্লিতে রাজধানী স্থাপন করে তিনি নতুন তুঘলকবাদ দুর্গ নির্মাণ করেন। তাছাড়া সাম্রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় প্রাসাদ, অট্টালিকা ও মসজিদ প্রভৃতি নির্মাণে তার বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।

৬. কৃষি সংস্কার : কৃষির উন্নয়নের জন্য নতুন সেচ ব্যবস্থা হিসেবে খাল খনন করেন। তার শাসনের সময় কৃষি ক্ষেত্রে চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়।

৭. মদ নিষিদ্ধকরণ : সামাজিক অবক্ষয় দূরীকরণের লক্ষ্যে গিয়াসউদ্দিন তুঘলক সাম্রাজ্যে মদ তৈরি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ এককথায় বলে শেষ করা যাবে না। মূলত তিনি নিবেদিত প্রাণের অধিকারী ছিলেন। সর্বদা প্রজা সাধারণের মঙ্গলার্থে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের কৃতিত্বসমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ