খিজির খান কে ছিলেন | খিজির খানের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খিজির খান কে ছিলেন | খিজির খানের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খিজির খান কে ছিলেন | খিজির খানের পরিচয় দাও । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
খিজির খান কে ছিলেন খিজির খানের পরিচয় দাও |
খিজির খান কে ছিলেন | খিজির খানের পরিচয় দাও
- অথবা, খিজির খান কে?
- অথবা, খিজির খান সম্পর্কে একটি টীকা লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতীয় উপমহাদেশে সুলতানি শাসনে ৫টি রাজবংশ শাসন করে গিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একটি রাজবংশ হলো সৈয়দ বংশ। সৈয়দ বংশ বেশিদিন শাসন করে যেতে পারি নি মাত্র (১৪১৪-৫০) ৩৬ বছর শাসন করেছিলেন।
সৈয়দ বংশ তৈমুর বংশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করত। আর | সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন খিজির খান। তার প্রতিষ্ঠিত বংশ ভারতীয় ইতিহাসে সৈয়দ বংশ নামে পরিচিত।
→ খিজির খান : খিজির খান তৈমুরলঙ্গের ভারতীয় সামাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন। তিনি ১৪১৪ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি নিজেকে সৈয়দ বংশোদ্ভূত বলে দাবি করেন। তিনি ক্ষমতায় আসীন হয়ে তৈমুর বংশের প্রতিষ্ঠাতা তৈমুর লঙ্গের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ।
রাজ্যবিজয় : খিজির খান ক্ষমতায় আরোহণ করে সাম্রাজ্যের উন্নতির জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। তার শাসনমালে সাম্রাজ্যের তেমন কোন উন্নতি সাধন হয়নি।
তার কোন শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছিল না। তিনি নামমাত্র বংশ সৈয়দ বংশ প্রতিষ্ঠা করে যান। তিনি ক্ষমতায় আরোহণের প্রাকালে সাম্রাজ্যের সাথে বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ দেখা দিলে তিনি, তা কঠোর হস্তে মোকাবিলা করতে পারেননি।
কিন্তু তার পরেও খিজির খান কনৌজ অভিযান প্রেরণ করে কনৌজ অভিযান প্রেরণ করে সেখানে অনেকটা আধিপত্য স্থাপন করেন বলে জানা যায় ।
বিদ্রোহ মোকাবিলা : সুলতান খিজির খান শাসনক্ষমতায় যতদিন ছিলেন ততদিন বেশিরভাগ সময় বিদ্রোহ মোকাবিলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি কনৌজ, পাটালী, এটোর প্রভৃতি অঞ্চলের বিদ্রোহ মোকাবিলা করার জন্য তিনি নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার এসব পদক্ষেপ অনেকাংশে সাফল্যের মুখ দেখেছিল আবার অনেক ক্ষেত্রে সাফল্যের মুখ দেখেনি ।
খিজির খানের চরিত্র : খিজির খান ব্যক্তিগতভাবে অনেক দয়ালু একজন শাসক ছিলেন। তার চরিত্রে অনেক দয়া প্রবণতা লক্ষ করা যায়। তিনি চরিত্রে অনেক দয়া প্রবণতা লক্ষ করা যায়। তিনি সাম্রাজ্যের মধ্যে একজন দয়ালু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
খিজির খান একজন ন্যায়পরায়ণ শাসকও ছিলেন। তিনি তার শাসনে বিচারের ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা অবলম্বন করতেন।
কোন চাপের মুখে ন্যায়ের পথ দূরে থাকেননি তার রাজসভায় কোন ন্যায়পরায়ণ হীন ব্যক্তিকে রাখতেন না। তার সাম্রাজ্যের সর্বক্ষেত্রে তিনি ন্যায়বান হওয়ার জন্য রাজ কর্মচারীদের নির্দেশ দিতেন। তার আমলে সততা ও ব্যক্তি নিরপেক্ষতাই ছিল বিচারব্যবস্থার মূলনীতি।
উত্তরাধিকারী মনোনীত খিজির খান মৃত্যুর পূর্বে তার সুযোগ্য পুত্র মোবারক শাহকে সৈয়দ বংশের উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করে যান।
যাতে করে সাম্রাজ্যের শাসন নিয়ে রাজ পরিবারের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা না দেয়। তার পুত্র মুবারক শাহ পরবর্তী সৈয়দ বংশের অন্যতম শাসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাই উত্তরাধিকারী মনোনীত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন করে।
মৃত্যু : সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা খিজির খান অটোয়া অঞ্চলের বিদ্রোহ পরিস্থিতির সহিত লড়াই করে ১৪২১ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, খিজির খান স্বীয় ক্ষমতা বলে ভারতীয় উপমহাদেশের সৈয়দ বংশ প্রতিষ্ঠা করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি তার মাত্র ৭ বছরের শাসনে একটি রাজবংশ স্থাপন করেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
অপরদিকে তিনি একমাত্র শাসক যিনি তৈমুর বংশের আনুগত্য প্রদর্শন করেন। তাই তার সাম্রাজ্যের শাসনের ইতিহাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনি মাত্র ৭ বছরে শাসনের ইতিহাসে সৈয়দ বংশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খিজির খান কে ছিলেন | খিজির খানের পরিচয় দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খিজির খান কে ছিলেন | খিজির খানের পরিচয় দাও। যদি তোমাদের আজকের খিজির খান কে ছিলেন | খিজির খানের পরিচয় দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।