মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ
মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ

মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ

  • অথবা, আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির উদ্দেশ্য কি ছিল?

উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের সফল রাষ্ট্রনায়ক আকবর বিজেতা হিসেবেও সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তিনি ছিলেন ঘোর সাম্রাজ্যবাদী ৷ শাসনকালের দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি সাম্রাজ্য বিস্তারে ব্যস্ত ছিলেন। 

সেই উদ্দেশ্যেই তিনি দক্ষিণাংশে আধিপত্য | বিস্তারের জন্য কিছু নীতি গ্রহণ করেন। তার এ নীতির মাধ্যমে তিনি সুষ্ঠু সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেননি, বরং রাজ্যের মধ্যে কলহ দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

→ আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণ : সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতি বলতে তার দাক্ষিণাত্য বিজয়ের পরিকল্পনা, অভিযানের ফলাফল ইত্যাদিকে বোঝায়। 

দাক্ষিণাত্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাঁচটি স্বাধীন রাজ্যের উৎপত্তি হয়। এসব রাজ্য নিজ করতলগত করার জন্য তিনি অভিযান পরিচালনা করেন। 

নিম্নে তার দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলোকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করা হলো :

১. পারস্পরিক মতবিরোধ দূরীকরণ : দক্ষিণাংশের ক্ষুদ্র রাজ্যগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে পারস্পরিক কলহ চলে আসছিল তার নিষ্পত্তি করার জন্য, অঞ্চল নিজ করায়ত্তে এনে অস্থিতিশীলতা দূর করার জন্য আকবর অভিযান পরিচালনা করেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, পারস্পরিক কলহ দাক্ষিণাত্য নীতির একটি অন্যতম কারণ।

২. পর্তুগিজ শক্তি খর্ব করা : দূরদর্শী সম্রাট আকবর খুব ভালো করেই অনুধাবন করেছিলেন যে, ভিতরে ভিতরে পর্তুগিজরা শক্তি সঞ্চয় করছে। 

তারা মুঘল সাম্রাজ্যের জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না। তাই তিনি পর্তুগিজদের শক্তি খর্ব করার লক্ষ্যেই দাক্ষিণাত্য নীতি গ্রহণ করেন।

৩. মুঘল সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা : সাম্রাজ্য বিস্তারের মোহে মুহ্যমান সম্রাট আকবর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য দাক্ষিণাত্য বিজয় অত্যাবশ্যক। 

তাছাড়া পর্তুগিজদের উপস্থিতি রীতিমতো সন্দেহজনক ছিল। দক্ষিণাংশে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যই আকবর এ নীতি গ্রহণ করেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ও অভিন্ন শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করাই ছিল সম্রাট আকবরের রাজ্যবিস্তারের মূল লক্ষ্য। 

আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতি সম্পূর্ণরূপে সমাজতান্ত্রিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। তিনি শুধু সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেই ক্ষান্ত হননি, বরং রাজ্যের সমস্যা নিরসন এবং শান্তি ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ । যদি তোমাদের আজকের মুঘল সম্রাট আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতির কারণগুলো লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ