এনজিওগ্রাম কিভাবে করে | এনজিওগ্রাম কিভাবে করা হয়

এনজিওগ্রাম কিভাবে করে - এনজিওগ্রাম কিভাবে করা হয় - আজকাল শহর হোক গ্রাম হোক সব জায়গায় কম বেশি হার্টের রোগী রয়েছে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ডাক্তাররা হার্টের রোগ গভীরভাবে সনাক্ত করার জন্য এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

এনজিওগ্রাম কিভাবে করে  এনজিওগ্রাম কিভাবে করা হয়
এনজিওগ্রাম কিভাবে করে  এনজিওগ্রাম কিভাবে করা হয়

মানবদেহের হার্টে যে ধরনের রক্তনালী রয়েছে সেই রক্তনালীর ভেতরের গভীর অবস্থা বোঝার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। তবে এনজিওগ্রাম যে শুধু হার্টের রোগীদের জন্যই করা হয় বিষয়টি একদমই তা নয়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের রক্তনালীর অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্যও চিকিৎসকরা এনজিওগ্রাম করতে বলেন। 

এনজিওগ্রাম কি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এতটাই উন্নতি হয়েছে যে ডাক্তাররা যেকোনো রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও পরীক্ষার দ্বারা রোগীর দেহের রোগ নির্ণয় করার চেষ্টা করেন। রোগ নির্ণয়ের জন্য যত ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে তার মধ্যে এনজিওগ্রাম অন্যতম। 

এনজিওগ্রাম কিভাবে করে এটি শুনলেই অনেকে এতটাই ভয় পেয়ে যায় যে তারা এনজিওগ্রাম করতেই চায়না। তবে মূল বিষয় হচ্ছে, যদি আপনার রোগ হয়ে থাকে রোগ নির্ণয়ের জন্য আপনার চিকিৎসক আপনাকে যেই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো বা টেস্ট করার জন্য নির্দেশ দিবে সেগুলো অবশ্যই আপনাকে করতে হবে। 

যদি আপনি এই ধরনের পরীক্ষা না করান তাহলে আপনার চিকিৎসক কখনোই আপনার রোগটি নির্ণয় করতে পারবেনা এবং আপনিও যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবেন। 

এনজিওগ্রাম কিভাবে করে | এনজিওগ্রাম কিভাবে করা হয়

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব এনজিওগ্রাম কিভাবে করে। 

এনজিওগ্রাম কিভাবে করে এটি সম্ভবত শরীরের উপর নির্ভর করে। যেমন- শরীরের কোন অঙ্গের উপর এনজিওগ্রাম করা হবে এবং কোন প্রসেসে করা হবে সেটি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

এনজিওগ্রাম করার পূর্বে রোগীকে বিশেষ কিছু নিয়ম অবশ্যই পালন করতে হবে তা না হলে তার এনজিওগ্রাম ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিয়মগুলো হলো- 

এনজিওগ্রাম করার পূর্বে আপনি যদি অন্য কোন রোগের জন্য ঔষধ সেবন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। 

নিজের ইচ্ছা বা অনিচ্ছা অনুযায়ী কোন ধরনের ঔষধপত্র ভুলেও বন্ধ করা যাবে না এবং নেওয়া যাবে না। 

এনজিওগ্রাম করার পূর্বের রাতে অ্যাসপিরিন অথবা অ্যাসপিরিন টাইপের কোন ধরনের ঔষধ সেবন করা যাবে না। 

এনজিওগ্রাম করার তিনদিন আগ থেকেই ডিপাইরিডামল বা ওয়ারফারিন নামক ওষুধ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

এনজিওগ্রাম করার ৫ দিন আগ থেকেই প্লাভিকস অথবা এই জাতীয় মেডিসিন থেকে বিরত থাকা উচিত। 

ডায়াবেটিসের কারণে আপনি যদি rapid acting / short acting কোন ধরনের ইনসুলিন নিয়ে থাকেন তাহলে যেদিন এনজিওগ্রাম করবেন সেদিন কোন ধরনের ইন্সুলিন শরীরে নেবেন না। 

যদি long acting টাইপের ইন্সুলিন নিয়ে থাকেন তাহলে সেটি নিতে করতে পারেন। 

আপনি যদি এনপিএইচ কিংবা ডেটামির ব্যবহার করেন তাহলে হাফ ডোজ ব্যবহার করবেন। 

ডায়াবেটিসের ফলে আপনি যদি ৭০/৩০ ইনসুলিন গ্রহন করেন ও রক্তে সুগারের পরিমাণ ২০০ এর বেশি থাকে তাহলে আপনার জন্য সকালে হাফডোজ নেয়া প্রয়োজন। রক্তে যদি সুগারের পরিমাণ ২০০ এর কম থাকে তাহলে সকালে ইনসুলিন নেয়া উচিত হবে না। 

খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরনের সতর্কতা জারি করা হয় সেটি হল, প্রায় সকল ডাক্তাররা রাতের পর রোগীদেরকে ভারী খাবার খেতে না করেন এমনকি সামান্য স্ন্যাকস খেতেও না করেন। 

এমনকি যেদিন এনজিওগ্রাম করবে সেদিন সকালে শুধুমাত্র লিকুইড জাতীয় খাবার খাবে এর বাইরে কোন খাবার খেতে পারবে না।  

এনজিওগ্রাম কিভাবে করে

এনজিওগ্রাম এর জন্য সর্বপ্রথম যেটি করা হয় সেটি হচ্ছে একদম ঠিক দেখতে অনেকটা তারের মতো ক্যামেরাযুক্ত ছোট বৈদ্যুতিক বাল্ব সিরিজের মাধ্যমে হাতের ভিতর প্রবেশ করানো হয় যা রোগীর হার্টের মধ্যে পৌঁছায়। 

তারের মত ক্যামেরাযুক্ত বস্তুটি যখন হার্টের কাছে যেতে বাধগ্রস্ত হয় তখন মনে করা হয় রোগীর হার্টের বিষয় প্রবলেম হয়েছে। এমনকি তখন এটিও নিশ্চিত হওয়া যায় যে সেই রোগীর হার্টে কতটি ব্লক রয়েছে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ