শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর
শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

উত্তর : শাহজাহান ছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের তৃতীয় পুত্র। তিনি সংযমী, উন্নত চরিত্রবান এবং উচ্চ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন এবং পরবর্তীকালে তার এ গুণসমূহই তাকে ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্রাটরূপে পরিগণিত হওয়ার সুযোগ দেয়। 

তিনি অন্যদিকে ছিলেন সর্বাধিক জাঁকজমকপ্রিয় সম্রাট। তার শাসনামলে শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে তিনি অক্ষয় কীর্তি স্থাপন করে অময় হয়ে আছেন। 

শিক্ষা, সংগীত, চিত্রকলা, স্থাপত্যকলা প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি তার প্রগাঢ় অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। স্থাপত্যকলায় তার আমলে স্বর্ণযুগের সূচনা হয়েছিল। 

ভি. স্মিথ বলেন, “Shajahan reign marks the climax of Mughal and its Empire".শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব । 

নিম্নে শিল্প-সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন করা হলো :

(ক) স্থাপত্যশিল্পে কৃতিত্ব : সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে মুষল স্থাপত্যশিল্পে স্বর্ণযুগের সূচনা হয়। স্থাপত্য শিল্পে তার অবদান নিম্নরূপ-

১. তাজমহল : সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিকে ধারণ করে চিরস্মরণীয় করে তিনি রাখার জন্য আমার যমুনা নদীর তীরে মমতাজমহলের কবরের উপর তাজমহল নামে একটি ভুবনবিখ্যাত স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। 

যা তার পত্নীপ্রেমের নিদর্শনস্বরূপ। পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম হিসেবে তাজমহল আজকের আধুনিক যুগেও দর্শকদের রীতিমতো বিস্মিত করে চলেছে।

তাজমহলের নির্মাণকাল : ১৬৩২ সালে তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০,০০০ শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রায় ৩ কোটি মুদ্রা ব্যয়ে ২২ বছর পর ১৬৫৩ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বিশিষ্ট স্থপতি ওস্তাদ ঈসা খার তত্ত্বাবধানেই অনিন্দ্য সুন্দর এ স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়।

স্থপতি : তাজমহলের প্রধান স্থপতি ছিলেন ওস্তাদ ঈশা খান নামক একজন সুনিপুণ কারিগর। তিনি জাতিতে বাঙালি ছিলেন।

নির্মাণশৈলী : তাজমহলের নির্মাণশৈলী অতি মনোরম। এর সুবৃহৎ সিংহদ্বারটির উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট। তোরণের দুই পাশে পবিত্র কোরআনের সূরা 'আল-ফাজর' উজ্জ্বল কৃষ্ণ প্রস্তরে লিখিত আছে।

তাজমহলের অমল ধবল চত্বরে শাহজাহান ও তার স্ত্রীর কবর অবস্থিত। তাজমহলের প্রবেশদ্বারে সূরা ইয়াসিন সুনিপুণভাবে খোদাই করা রয়েছে। 

তাজমহলের মধ্যস্থ গম্বুজের উপরস্থিত পিতল নির্মিত ও স্বর্ণাবৃত্ত কলসটির উচ্চতা ২১ হাত এবং ওজন ৩২ মন। তাজমহলের উদ্যানের দৈর্ঘ্য ১২৪০ ফুট এবং প্রস্থ ৩৯৬০ ফুট। উদ্যানের মধ্য দিয়ে প্রস্তর নির্মিত রাস্তা এবং দুই পাশে খাল, ফোয়ারা এবং হাউজ রয়েছে।

২. মতি মসজিদ : সম্রাট শাহজাহানের স্থাপত্যশিল্পের আরেকটি নিদর্শন হলো মতি মসজিদ। এটি সেওয়াদের আমের উত্তরে অবস্থিত শ্বেত পাথরে নির্মিত। এ মসজিদের আয়তন দৈর্ঘ্য ৭৫ মিটার এবং ৬০ মিটার। 

১৬৪৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৬৫২ সালে এটি নির্মাণ করতে খরচ হয় প্রায় ৩০ লক্ষ মুদ্রা। মতি মসজিদের মতো এত চমৎকার কারুকার্য পৃথিবীর অন্য কোনো মসজিদে আজো পরিলক্ষিত হয়নি।

৩. শাহজাহানাবাদ : সম্রাট শাহজাহান তার রাজত্বকালে রাজধানী আগ্রা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করেন। পরে স্বীয় নামানুসারে এর নামকরণ করেন 'শাহজাহানাবাদ'। 

এরপর দিল্লিকে সুসজ্জিত করার তিনি দেশি, বিদেশি শিল্পী ও স্থপতিদের আমন্ত্রণ করেন এবং বিভিন্ন অট্টালিকা গড়ে তোলেন।

৪. শিশমহল ও ভূঁইমহল : শিশমহল ও মহল শাহজাহানের স্থাপত্য শিল্পের আরো ২টি অন্যতম নিদর্শন। সম্রাট শাহজাহান ১৬৩১ সালে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সুশোভিত রাজকীয় আবাসগৃহ শিশমহল ও জুইমহল নির্মাণ করেন। তিনি লাহোর অবস্থানকালে শিশুমহলে অবস্থান করতেন।

৫. নিল্লির জামে মসজিদ : সম্রাট শাহলাহান নির্মিত অপূর্ব স্থাপত্যের মধ্যে দিল্লি জামে মসজিদ অন্যতম। এটি ভারতের বৃহত্তম মসজিদগুলোর মধ্যে গোষ্ঠতর স্থান দখল করে আছে। 

এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬৫০ সালে। দীর্ঘ ৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৬৫৬ সালে সম্রাট শাহজাহান এ ভুবন বিখ্যাত মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এ মসজিদটি মূল্যবান পাথর দ্বারা নির্মিত হয়।

৬. চাদনী চক : সম্রাট শাহজাহান রাজকীয় প্রাসাদের পাশাপাশি মনোরম ও আকর্ষণীয় বিপনি বিতান নির্মাণ করেন। দিল্লির সুপ্রসিদ্ধ চাঁদনী চক এর অন্যতম। 

এ বাজারের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ঝলসায়মান ফোয়ারা। স্বর্ণ রৌপ্যের কারুকার্য খচিত দ্রব্যাদির জন্য এ স্থান বিখ্যাত ছিল।

৭. লালকেল্লা : সম্রাট শাহজাহান রাজধানী দিল্লিতে লালকেল্লা নির্মাণ করেন। লালকেল্লার অভ্যন্তরে দেওয়ান-ই-আম ও দেওয়ান-ই-খাস এবং মমতাজমহল নামক প্রাসাদ অবস্থিত। 

ঐতিহাসিকদের মতে, শাহজাহানের নির্মিত যেকোনো প্রাসাদ অপেক্ষা দেওয়ান-ই-খাস অধিক সৌন্দর্যমণ্ডিত। 

এ প্রাসাদটি কারুকার্যময় অলংকারে সুশোভিত। এর প্রবেশ পথে ফারসি ভাষায় লিখা ছিল- "স্বর্ণ যদি ধরা মাঝে থাকে কোনোখানে তা এখানে, এখানে, এখানেতে।”

৮. শালিমার উদ্যান : ১৮৩৭ সালে শাহজাহান রাজপ্রাসাদের কেন্দ্ররূপে শালিমার উদ্যান নির্মাণ করেন। লাহোরে নির্মিত শালিমার উদ্যান আলো দর্শকদের পুলকিত করে। এ উদ্যান রাজকীয় প্রমোদ কেন্দ্র হিসেবে নির্মিত হয়।

৯ . ময়ূর সিংহাসন : সম্রাট শাহজাহানের শিল্পানুরাগের অপর একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। ঐতিহাসিকগণ একে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রাজকীয় সিংহাসন বলে অভিহিত করেন। 

১৬৩৪ সালে শিল্পাধাক্ষ বেবাসিল থানের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৮ বছর অক্লান্ত সাধনায় প্রায় ৮ কোটি মুদ্রা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়। 

স্বর্ণ নির্মিত ৪টি পা এবং ১২টি মরকত মনির স্বপ্নের উপর এর চন্দ্রাতপ ছদ বসানো হয়। প্রত্যেকটি স্তরে মাথায় মনিমানিক্যখচিত একজোড়া ময়ূর মুখোমুখি বসানো ছিল। 

সিংহাসনে উঠার জন্য হিরা পান্না বসানো ৩টি সিড়ি ছিল। বর্তমানে এটি ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদে আছে। এতে ব্রিটেনের রানি উপবেশন করেন।

১০. ফতেহপুর মসজিদ : চাদনী চকের পশ্চিম প্রান্তে ফতেহপুর মসজিদ অবস্থিত। মসজিদটি সম্রাটের পৃষ্ঠপোষকতায় তার অন্যতম পত্নী ফতেহপুরী কর্তৃক ১৬৫০ সালে নির্মিত হয়। এ মসজিদের প্রাগন বেশ প্রশস্ত এবং এর মধ্যস্থলে একটি পানির ফোয়ারা আছে।

১১. আত্মা মসজিদ : সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত মসজিনগুলোর মধ্যে আগ্রা মসজিদটির স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য বেশ চিন্তাকর্ষক। 

১২, রংমহল : সম্রাট শাহাজান রংমহল নামে অন্য একটি নামেতিরাম বাসগৃহ নির্মাণ করেন। এর স্থাপত্য নিদর্শনও মনোমুগ্ধকর।

১৩, অন্যান্য স্থাপত্যশিল্প : উল্লেখিত শিল্পসমূহ ও সম্রাট শাহজাহান আগ্রা মসজিদ, খাসমহল, নওলাখ রঙমহল, খোয়াব ঘর, গোলাপ-ই-বাগ দরওয়াজা, স্বর্ণা-ই-খাস ইত্যাদি নির্মাণ করেন। 

এছাড়া নিজামউদ্দিন আউলিয়ার স্মৃতিসৌধ, কাবুল, কাশ্মীর, আজমির আহমেদাবাদের প্রাসাদ দুর্গ, মসজিদ ও অট্টালিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

চিত্রশিল্পে কৃতিত্ব সম্রাট শাহজাহানের আমলে চিত্রগুলোতে প্রাকৃতিক দৃশ্য অথবা লোক উৎসব অথবা দরবার দৃশ্যের পরিবর্তে সম্রাটকে মূল বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে চিত্র রচনা শুরু হয়। 

যেমন- ময়ূর সিংহাসনে উপবিষ্ট সম্রাট, অথবা টমাস রো-এর দরবারে সম্রাট- এ ধরনের বিষয়বস্তুকে তার আমলে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

সংগীত শিল্পে অবদান সম্রাট শাহজাহান ছিলেন সংগীতের অনুরাগী। তিনি হিন্দি ভাষায় গান রচনা করে গাইতেন। তার গলার স্বর ছিল মধুর। 

ঐতিহাসিক মুহাম্মদ শাহ তার আমলের একজন বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ ছিলেন। এছাড়া তার রাজদরবারে সংগীতজ্ঞদের মধ্যে কবিন্দ্র, চিত্রখান, লালখান, গুণসমুদ্র, জনার্দন ভদ্র এবং জগন্নাথ ছিলেন সমধিক প্রসিদ্ধ।

→ সাহিত্যক্ষেত্রে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব : সম্রাট শাহজাহান সাহিত্যের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। সাহিত্যে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব নিয়ে তুলে ধরা হলো।

১. শিক্ষা ও সাহিত্য : সম্রাট শাহজাহান আরবি, ফারসি ও হিন্দি ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। তাই তিনি শিক্ষার প্রসারকল্পে সর্বত্র বহু বিদ্যালয় নির্মাণ ছাড়াও বিখ্যাত দার-উল-বাঞ্চা মাদ্রাসা এবং দিল্লির রাজ কলেজ নির্মাণ করে জনগণের শিক্ষা লাভের পথ সুগম করেন।

২. কবিতা : সম্রাট শাহজাহান কবিতা পছন্দ করতেন। তার সভাকবি ছিলেন আবু তালিব কালিম। এছাড়া চন্দ্রভাস ব্রাহ্মণ, মুহাম্মদ আলী সম্ভবও বিখ্যাত কবি ছিলেন। তারা সম্রাটের পৃষ্ঠপোষকতায় উচ্চাঙ্গ রীতির কবিতা রচনা করতেন।

৩. দরবারি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা : সম্রাট শাহজাহান দরবারি সাহিত্যের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার দরবারি সাহিত্যের প্রধান সাহিত্যকর্মগুলো হলো: আমিন কাজভিনির 'পাদশাহনামা' ১৬৩৬ মুহাম্মদ বারিসের 'পাদশাহনামা' এনায়েত খার ‘শাহজাহাননামা' প্রভৃতি।

৪. হিন্দি ভক্তি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা : ভক্তিকলার যুগ সাহিত্যের শ্রেষ্ঠযুগ। সমগ্র হিন্দি ভক্তি সাহিত্যের উজ্জ্বলতম রত্ন কবি তুলসীদাস সম্রাট শাহজাহানের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। 

এ সাধক কবি তার কাব্যের ছত্রে ছত্রে অসাধারণ জীবন দর্শন, গভীর চিন্তা, জীবনবোধ ও সাহিত্যিক রস ছড়িয়ে দেন।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, মুঘণ সম্রাটদের মধ্যে সম্রাট শাহজাহান ছিলেন শিল্প ও সাহিত্যে', প্রকৃত সমঝদার। এজন্য তার রাজত্বকালে মুঘল শিল্প ও সাহিত্তোর চরম উৎকর্ষ ও প্রসার সাধিত হয়। 

শিল্পের অন্যান্য শাখার তুমারা স্থাপত্যশিল্পের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ ছিল বলে এর প্রসারও হয় সবচেয়ে বেশি। 

যার ফলশ্রুতিতে ঐতিহাসিকগণ তাকে The prince of builders or Engineer king বলে আখ্যায়িত করেন। ১৬৮১ সালে এ মহান সম্রাট জীবনলীলা সাঙ্গ করে মৃত্যুমুখে পতিত হন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর । যদি তোমাদের আজকের শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্রাট শাহজাহানের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ