আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও
আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

অথবা, আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় আমলে সাম্রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে যেসব রাজবংশ প্রতিষ্ঠা হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল তুলুনীয় বংশ। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আহমেদ ইবনে তুলুন। 

তিনি শুধুমাত্র একটি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না বরং তিনি স্বীয় শাসনামলে জনহিতকর কার্যাবলির জন্য অধিক পরিচিত ছিলেন। 1

→ আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলী : আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির বিবরণ নিচে উল্লেখ করা হলো :

১. আল-কাতাই নগরী প্রতিষ্ঠা : আহমেদ ইবনে তুলুন ফুস্তান ও কায়রোর মধ্যবর্তী স্থানে আল কাতাই নামক একটি নগরী নির্মাণ করেন। এই নগর নির্মাণ করতে ৫ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা খরচ হয়েছিল। নগরীর চারপাশে সেনাবাহিনীর দ্বারা প্রহরীর ব্যবস্থা ছিল।

২. হাসপাতাল নির্মাণ : আহমেদ ইবনে তুলুন জনগণের স্বাস্থ্য সেবার উন্নতির জন্য বিমারিস্তান নামক একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেন । এই হাসপাতালটি নির্মাণ করতে প্রায় ৬০ হাজার দিনার ব্যয় হয়েছিল।

৩. মসজিদ প্রতিষ্ঠা : আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মসজিদ নির্মাণ। তিনি মিশরের রাজধানী কায়রোয় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এই মসজিদ নির্মাণ করতে তার ১ লক্ষ ২০ হাজার দিনার ব্যয় হয়েছিল।

৪. কৃষির উন্নয়ন : আহমেদ ইবনে তুলুন কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির খাল খনন ও পানি সেচের ব্যবস্থা করেন। যার ফলে তার সময়ে কৃষি ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছিল।

৫. জনদরদী শাসক : আহমেদ ইবনে তুলুন ছিলেন একজন জনদরদী শাসক। তিনি গরীব ও অসহায় মানুষকে অকাতরে দান করতেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আহমেদ ইবনে তুলুন সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন জনহিতকর কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি তার জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তুলুনীয় বংশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও । যদি তোমাদের আজকের আহমেদ ইবনে তুলুনের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ