আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর
আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর

আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর

  • অথবা, আল মুইজের কার্যাবলি বর্ণনা কর।

উত্তর ; ভূমিকা : ওবায়দুলাহ আল মাহদী ৯০৯ সালে উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন। আল মুইজ ছিল ফাতেমীয় খিলাফত এর চতুর্থ খলিফা। 

তিনি ছিলেন খলিফা আল মনসুরের পুত্র। তিনি অত্যন্ত দক্ষ ও সাহসী শাসক ছিলেন। তিনি শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য তিনি প্রশাসনকে ৬টি ভাগে বিভক্ত করেন।

→ আল মুইজের কার্যাবলি : আল মুইজ ক্ষমতায় আরোহণের পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি সম্পাদন করেন। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো-

১. শাসনব্যবস্থা : আল মুইজ শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিকেন্দ্রীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি সমগ্র রাজ্যকে প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং প্রদেশগুলোকে জেলায় ভাগ করেন ।

২. বিচারব্যবস্থা : আল মুইজ সঠিক বিচারব্যবস্থা চালু করেন। তিনি বিচারকার্য সমাধান করার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করেন। এই আইনে আযাহার ও ইসমাঈলীয় শিয়া মতবাদের সমন্বয় ছিল

৩. অর্থনৈতিক অবস্থা : সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন। তিনি অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মাধ্যমে সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করতেন। তার প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিল ইয়াকুব বিন কিল্লিস ।

৪. দাওয়া বিভাগ : দাওয়া বিভাগ ছিল ফাতেমীয় খিলাফতের মূল ভিত্তি। আল মুইজ ফাতেমীয় শিয়া মতবাদ প্রচলনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার সময়ে মুলতান, সিন্ধু, দেবল ইত্যাদি স্থানে শিয়া মতবাদ বিস্তার লাভ করে।

৫. ওজারাত প্রতিষ্ঠা : আল মুইজ সর্বপ্রথম ওজারাত ব্যবস্থা চালু করেন। এর আগে উজিরের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতেন। আল মুইজ এর শাসনামলে জওহর বিখ্যাত উজির ছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, আল মুইজ একজন দক্ষ শাসক ছিলেন। তিনি শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শাসনব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করেন। 

তাছাড়াও তিনি রাজস্ব ও অর্থনৈতিক সংস্কার সাধন করেন। তিনি ওজারাত ব্যবস্থাও প্রচলন করেন। এজন্য তাকে ফাতেমীয় খিলাফতের কর্ণধার বলা হতো।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর । যদি তোমাদের আজকের আল মুইজের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ