আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর
আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর

আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর

  • অথবা, খলিফা আল মুইজের কৃতিত্বসমূহ তোমার নিজ ভাষায় লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয়দের খিলাফত প্রতিষ্ঠা ইতিহাসে যুগান্তকারী এক ঘটনা। ৯৫২ খ্রিস্টাব্দে খলিফা আল মনসুরের মৃত্যুর পর আর পুত্র আল মুইজ 'লি-দীন-লিল্লাহ' উপাধি ধারণ করে চতুর্থ ফাতেমীয় খলিফা হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন। আল মুইজ এর আগমন ছিল ফাতেমীয় খিলাফতের জন্য আর্শীবাদস্বরূপ ।

→ খলিফা আল মুইজের কৃতিত্ব : খলিফা আল মুইজ এর বিভিন্ন কার্যাবলির জন্য তিনি নিজেকে ফাতেমীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। 

নিম্নে তার বিভিন্ন কৃতিত্বপূর্ণ কার্যাবলি আলোচনা করা হল :

১. প্রশাসনিক সংস্কার : খলিফা আল মুইজ ছিল নিরপেক্ষ, ন্যায়বিচারের প্রতীক ও সুদৃঢ় এক শাসক। শাসন কার্যের সুবিধার জন্য তিনি সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো প্রদেশ ও প্রদেশকে জেলায় বিভক্ত করেন। 

উল্লেখ্য, তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে মিশরীয় ইহুদি, খ্রিস্টান, থিক সকলকেই যোগ্যতানুসারে রাজকার্যে নিয়োজিত করতেন।

২. সেনাবাহিনীর সংস্কার : আল মুইজ সেনাবাহিনীতে ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। তিনি বিভিন্ন বন্দর যেমন, আল-মাহদীয়া, আলেকজান্দ্রিয়া ও সিরিয়ার বন্দরসমূহকে উন্নত নৌঘাটিতে পরিণত করেন।

তিনি সেনাবাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। তার শাসনামলে ফাতেমীয়গণ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বাণিজ্য পথ নিয়ন্ত্রণ করতেন।

৩. স্পেনের বিরুদ্ধে অভিযান : আল মুইজের একটি পণ্যবাহী জাহাজ ৯৫৫ সালে আন্দালুসিয়া জাহাজ দখল করে নেয়। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে খলিফা সিসিলির রাজপ্রতিনিধি হাসান আলিকে স্পেনের দিকে প্রেরণ করেন এবং তিনি আর্মেনীয় উপকূল লুণ্ঠন করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ফাতেমীয় খিলাফতের খলিফাদের মধ্যে আল মুইজ ছিলেন সুদক্ষ ও প্রজাবৎসল শাসক, পণ্ডিত, জ্ঞান-বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক এবং সুদক্ষ যোদ্ধা তাই বলা যায়, তিনি ছিলেন ফাতেমীয়দের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের আল মুইজের কৃতিত্বগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ