লিখিত উৎস হিসেবে হিউয়েন সাং এর বিবরণের তাৎপর্য কি

লিখিত উৎস হিসেবে হিউয়েন সাং এর বিবরণের তাৎপর্য কি
লিখিত উৎস হিসেবে হিউয়েন সাং এর বিবরণের তাৎপর্য কি

লিখিত উৎস হিসেবে হিউয়েন সাং এর বিবরণের তাৎপর্য কি

  • অথবা, লিখিত উৎস হিসেবে সাং এর বিবরণ উল্লেখ কর।
  • অথবা, লিখিত উৎস হিসেবে হিউয়েন সাং এর বর্ণনা উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন যুগে বর্তমান সময়ের ন্যায় উন্নতমানের যন্ত্রপাতিও। এতসব মিডিয়া ছিল না। তবে যদি এ ধারণা নিয়ে থাকা হয় তবে প্রাচীন যুগ সম্পর্কে আমরা জানতে পারতাম না। 

আর প্রাচীন যুগ সম্পর্ক আমরা না জানালে ইতিহাস পাঠ পরিপূর্ণ হতো না। এজন্য প্রাচীন ইতিহাস জানার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্য সে হলো হিউয়েন সাং এর বর্ণনা ও তথ্য। তার তথ্য না থাকলে ইতিহাস লিখা পরিপূর্ণ হতো না। হলেও হতো শতগুণ কঠিন।

ইতিহাসের উৎস হিসেবে হিউয়েন সাং এর বিবরণ : প্রাচীন বাংলার ইতিহাস রচনায় হিউয়েন সাং এর বিবরণ অভ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার বর্ণনায় যে তথ্য পাওয়া গেছে তা ইতিহাস রচনার প্রাণ বলা যায়। 

নিম্নে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস রচনায় হিউয়েন সাং-এর বিবরণ তুলে ধরা হলো :

১. বাংলায় আগমন : বিখ্যাত পর্যটক হিউয়েন সাং একজন চীনা পরিব্রাজক। আনুমানিক সপ্তম শতকের প্রথম দিকে তিনি বাংলায় আগমন করেন। 

যখন বাংলার সম্রাট শশাঙ্ক মারা যায় হিউয়েন সাং তখন বাংলায় আগমন করেন আনুমানিক ৬৩০-৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে।

২. নদ-নদী : হিউয়েন সাং তার বর্ণনায় বাংলার গঙ্গা নদীর কথা উল্লেখ করেন। সম্ভবত তিনি গঙ্গা নদী অতিক্রম করে বাংলায় আগমন করেন।

৩. বসতি : হিউয়েন সাং এর বর্ণনা হতে পাওয়া যায় বাংলার মানুষ ছিল অগোছালো। তাদের বসতি ছিল ঘন। একসাথে তারা বাস করতো। তবে মানুষ ছিল বিদ্বান ও বুদ্ধিমতি।

৪. ধর্ম : তার বর্ণনা মতে এখানকার মানুষ ধর্ম-কর্ম করতো তবে ধর্ম পালন হতো তখন মন্দির কেন্দ্রিক। সে সময় বাংলায় প্রচুর পরিমাণে মন্দির থাকার কথা তিনি তার বর্ণনায় উল্লেখ করে । সে সময় তিনি বৌদ্ধ ধর্মের কথা বেশি উল্লেখ করেন।

৫. ফল-ফসল : সে সময় বাংলায় প্রচুর ফসল জন্মাত, বাংলার প্রায় সর্বত্রই ফসলের বাগান ছিল। বাংলায় অনেক রকম ফল সে সময় পাওয়া যেত তার মধ্যে অন্যতম ফল হলো কাঁঠাল । 

তার বর্ণনায় পাওয়া যায় মাটির গুণাগুণ ভালো ছিল বলে যেকোনো ফসল সহজেই জন্মাতো। তাছাড়া হিউয়েন সাং বাংলার ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা তার লেখনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন। যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হিউয়েন সাং বাংলার ইতিহাস পুর্নঠনের জন্য যেসব বিবরণ উল্লেখ করেছেন তা ইতিহাস রচনার মাইলফলক হিসেবে থাকবে। 

এসব তথ্য উপাত্ত, ইতিহাস রচনাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে বিভিন্ন গবেষক উল্লেখ করেন। আজ বাংলার ইতিহাস অনেকটা পরিষ্কার মনে হয় এর অর্ধেকেরও বেশি অবদান হিউয়েন সাং এর । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ