পলাশীর যুদ্ধ কি | পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পলাশীর যুদ্ধ কি - পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ
পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ

পলাশীর যুদ্ধ কি - পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ

  • অথবা, পলাশির যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ। 

উত্তর : ভূমিকা : বাংলার ইতিহাসে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো পলাশির যুদ্ধ। পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পরাজিত হয়। 

এই পরাজয়ের মাধ্যমে ইংরেজরা বাংলার ক্ষমতা দখল করে। মীর জাফরকে পুতুল নবাব বানান ইংরেজরা । ইংরেজরা বাংলায় স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করে।

→ পলাশির যুদ্ধ : ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের সাথে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সংঘর্ষের ইতিহাস এক যুগান্তকারী ঘটনা। 

(ক) পলাশি যুদ্ধের কারণ : নিম্নে পলাশি যুদ্ধের কারণ তুলে ধরা হলো:

১. রাজনৈতিক কারণ : নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসনে বসেন। এতে তার খালা ঘষেটি বেগম ও খালাতো ভাই শওকত জঙ্গ নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন।

২. অর্থনৈতিক কারণ : ইংরেজরা বাণিজ্য সংক্রান্ত যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিল তার অপব্যবহারে নবাবের অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে থাকে। অর্থনৈতিক কারণে নবাবকে ইংরেজ বিদ্রোহী করে তোলে ৷

৩. সিরাজ কর্তৃক কলকাতা দখল : নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলকাতা আগমন করলে ইংরেজ গভর্নর ও তার অনুসারীগণ ভীত হয়ে ফলতা নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে ২০ জুন তিনি ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল করেন।

৪. দত্তকের অপব্যবহার : ইংরেজ বণিকরা দস্তকের অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। এতে নবাবের সাথে সংঘর্ষ হয়।

(খ) পলাশি যুদ্ধের ঘটনা : ইংরেজরা বিনা বাধায় কলকাতা পুনরুদ্ধার করেন। সিরাজ ইংরেজদের সাথে আলীনগরের সন্ধি নামে একটি সন্ধি স্থাপন করেন। 

ইতোমধ্যে কলকাতা কাউন্সিলে সিরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অতঃপর ক্লাইভ তার সৈন্য নিয়ে পলাশির প্রান্তরে এসে শিবির স্থাপন করে। 

এ সংবাদে সিরাজ ১৭৫৭ সালে ২২ জুন ৫০ হাজার সৈন্য নিয়ে পলাশির প্রান্তরে পৌঁছলে ২৩ জুন সকাল ৮টায় বাংলার বিয়োগান্ত নাটকের শেষ অংশ শুরু হয়। মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব পরাজিত ও নিহত হন।

(গ) ফলাফল :

১. পলাশি যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের ফলে মীর জাফর ইংরেজদের তাবেদার নবাব হন।

২. সমগ্র ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনকার্যের পথ সুগম হয়। 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পলাশি যুদ্ধ বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মীর জাফরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব সিরাজ-উদ- দৌলা বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে ইংরেজদের নিকট পরাজিত হয়। নবাবের পরাজয়ের ফলে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পলাশীর যুদ্ধ কি - পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ । যদি তোমাদের আজকের পলাশীর যুদ্ধ কাকে বলে । পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ