সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর
সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর

সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর

  • অথবা, সিপাহি বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তুলে ধর। 
  • অথবা, সিপাহি বিদ্রোহের কাহিনি লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : আঠারো শতকের শেষের দিকে এবং উনিশ শতকের শুরুর দিকে এদেশের কৃষক-শ্রমিকরা ছিল অনেকটা নির্যাতিত। 

পরাধীনতা শোষণ-নির্যাতনের একশ বছর পর স্বাধীনতার ঘোষণা করে এদেশের সৈনিকরা। পরবর্তীতে স্বাধিকার স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ সমাজ।

→ সিপাহি বিদ্রোহের ঘটনা : বিদ্রোহের আগুন প্রথম জ্বলে উঠে পশ্চিম বঙ্গের ব্যারাকপুরে। নিম্নে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হলো :

১. সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা : ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ। বন্দুকের গুলি ছুড়ে বিদ্রোহের সূচনা করেন মঙ্গলপান্ডে নামের এক সিপাহি। দ্রুত এই বিদ্রোহ মিরাট, কানপুর, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, বাংলাসহ ভারতের প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। 

বাংলাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট, কুমিল্লা, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী এই বিদ্রোহে যোগ দেয় ৷

২. বাহাদুরশাহকে দিল্লির সম্রাট ঘোষণা : এপ্রিল মাসের শেষের দিকে উত্তর প্রদেশের মীরাটে নব্বইটি পদাতিক বাহিনীর মধ্যে ২৫টি বাহিনী বিদ্রোহ ঘোষণা করে। 

বিদ্রোহী সিপাহিরা ইংরেজ রাইফেল বাহিনীকে অগ্রাহ্য করে জেলের ভেতর প্রবেশ করে এবং সাজাপ্রাপ্ত সিপাহিদের মুক্ত করে নেয়। ১১ মে বিদ্রোহী সিপাহিগণ দিল্লিতে পৌঁছে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে দিল্লির সম্রাট বলে ঘোষণা কর ৷

৩. যুদ্ধে পরাজয় : এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নানা সাহেব, ঝাঁসির রানি লক্ষীবাঈ, অযোধ্যার বেগম, হযরত মহল, মৌলভি আহমদউল্লাহসহ ক্ষুব্ধ দেশীয় রাজন্যবর্গের অনেকে। 

বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় সিপাহি ও যুদ্ধরত বিদ্রোহী নেতারা প্রাণপণ লড়াই করে পরাজিত হন। এ সংগ্রামের সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগ যুদ্ধে শহিদ হন অথবা তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় ।

৪. সিপাহিদের প্রতি নির্যাতন : মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে রেঙ্গুনে (মায়ানমার) নির্বাসিত করা হয়। রানি লক্ষীবাঈ যুদ্ধে নিহত হন। নানা সাহেব পরাজিত হন এবং অন্তর্ধান করেন। 

সাধারণ সৈনিক বিদ্রোহীদের উপর নেমে আসে চরম অমানবিক নির্যাতন। ঢাকা বাহাদুর শাহ পার্কে ঝুলিয়ে রাখা হয় অনেক সৈনিকের লাশ। 

এ ধরনের বীভৎস ঘটনা ঘটিয়ে শাসকগোষ্ঠী জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ফলে নির্যাতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভারতে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বা সিপাহি বিদ্রোহ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দীর্ঘ ১০০ বছর শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতন নিষ্পেষণ সহ্য করে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল এদেশের সৈন্যবাহিনীরা। কোম্পানির অমানবিক শোষণের বিরুদ্ধে মূলত তারা এ বিদ্রোহ ঘোষণা করে। 

কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সিপাহিরা যুদ্ধে পরাজিত হয় এবং তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ১৮৫৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। 

তবে এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। এ বিদ্রোহের মূল ছিল কোম্পানির শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনসাধারণের পুঞ্জীভূত অসন্তোষ ও বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর । যদি তোমাদের আজকের সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস তুলে ধর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ