এলিট তত্ত্বের নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ কর

এলিট তত্ত্বের নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ কর
এলিট তত্ত্বের নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ কর

এলিট তত্ত্বের নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ কর

  • অথবা, এলিট তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : সকল রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এলিট তত্ত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নীতিনির্ধারণ, নীতি গ্রহণ, নীতি প্রণয়নসহ সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এলিট শ্রেণির অগ্রণী ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। তদুপরি সমাজে এলিট শ্রেণির কিছু সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান ।

নিম্নে এটি উল্লেখ করা হলো। যথা :

১. এলিট তত্ত্বের নেতিবাচক দিকসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এ তত্ত্বের সংকীর্ণতা। আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বা রাজনৈতিক আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে এ তত্ত্ব তেমন ফলদায়ক নয় ।

২. এলিট তাত্ত্বিকেরা Governing elite, Rulling elite, oligarchy, Power elite ইত্যাদি নামে Elite (এলিট) কে অভিহিত করেছেন। ফলশ্রুতিতে এ তত্ত্বের মূল ভূমিকা থেকে অনেকটা অস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায় । যা রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিশ্লেষণের জন্য কখনই গ্রহণযোগ্য নয় ।

৩. এলিট তত্ত্বে উন্নয়ন বা অগ্রগতির ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের অভিমত বিশ্লেষিত হয়। কিন্তু সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিরা কিভাবে এটিকে গ্রহণ করবে সে সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় নি।

৪. এলিট তত্ত্বে তাত্ত্বিকেরা Governing elite, Rulling elite, Oligarchy, Power elite ইত্যাদি Elite (এলিট) কে অভিহিত করেছেন। ফলশ্রুতিতে এ তত্ত্বের মূল ভূমিকা থেকে অনেকটা অস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া

যায়।

৫. এলিট তত্ত্ব মূলত রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে সৃষ্টি। এখানে আবর্তনের যে কথা বলা হয়েছে তা সমাজের উচ্চতর ও নিম্নতর তথা শাসক ও অশাসক শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, এলিট তত্ত্ব সমাজের একটি শ্রেণিকে অধিক মাত্রায় গুরুত্বের সাথে বিশ্লেষণ করেছে। তবে কোন তত্ত্ব সম্পূর্ণ নির্ভুল যা সীমাবদ্ধহীন নয়। এলিট তত্ত্বের মধ্যেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা লক্ষণীয় । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ