দ্বান্দ্বিকতা কী । দ্বান্দ্বিকতার সংজ্ঞা দাও

দ্বান্দ্বিকতা কী । দ্বান্দ্বিকতার সংজ্ঞা দাও
দ্বান্দ্বিকতা কী । দ্বান্দ্বিকতার সংজ্ঞা দাও

দ্বান্দ্বিকতা কী । দ্বান্দ্বিকতার সংজ্ঞা দাও

উত্তর : ভূমিকা : দ্বান্দ্বিকতা মার্কসীয় দর্শনের অন্যতম ভিত্তি। কার্ল মার্কস বিশ্বাস করতেন যে দ্বান্দ্বিকতার মাধ্যমে কোন বিরোধ আলোচনা সমালোচনার দ্বারা সমাধান হতে পারে।

দ্বান্দ্বিকতা : ইংরেজি Dialectic শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে Dialogue থেকে যার অর্থ দু'জনের মধ্যে কথোপকথন । এখানে দ্বন্দ্ব অর্থ হলো স্বপক্ষ ও বিপক্ষের মধ্যে কথোপকথন। 

অর্থাৎ দ্বান্দ্বিক পদ্ধতির অর্থ হলো স্বপক্ষ ও বিপক্ষ মতবাদের বিরোধের মাধ্যমে অগ্রসর হয়ে সমস্যার সমাধান করা। 

তবে দ্বান্দ্বিক জড়বাদ কথাটির অর্থ হলো জড়ের সাথে জড়ের দ্বন্দ্ব । একটি জড়কে সদর্থক ধারণা হিসেবে গ্রহণ করলে অন্য একটি নঞর্থক থাকতে বাধ্য। 

আর সদর্থক ও নঞর্থক ধারণার বিরোধিতার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় সমন্বয় অথবা নতুন একটি জড় পদার্থের। এভাবে দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবকিছু ব্যাখ্যা করা যায়।

X Thesis

Antithesis

Synthesis

বস্তুত দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতে অবিরত উন্নতির দিকে চলে। বস্তুর সাহায্যে বিশ্বের সবকিছু ব্যাখ্যা করা যায় এবং বস্তুর এ ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ায় সবকিছুর ব্যাখ্যা এমনকি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা পর্যন্ত করা যায়।

উপসংহর : পরিশেষে বলা যায় দুটি বস্তুর মধ্যে দ্বন্দ্বের মাধ্যমে নতুন কোন বস্তুর সৃষ্টি হলো দ্বান্দ্বিকতা। এ দ্বান্দ্বিকতার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ