বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে বাস্তবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর

বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে বাস্তবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর
বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে বাস্তবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর

বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে বাস্তবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর

  • অথবা,  বাস্তুবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর।

উত্তর : পরিবেশ শব্দটি পরিবেশ বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়। পরিবেশ বলতে জীবের চারপাশের আলো, বাতাস, মাটি, পানি, তাপ, চাপ, রাসায়নিক দ্রব্য, পরজীবী, খাদক, প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি সব ধরনের ভৌত ও জৈব উপাদানের সমষ্টিকে বোঝায়। 

অর্থাৎ, জীবের উপর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম সবধরনের উপাদানের সমষ্টিকে পরিবেশ বলা হয়। A. Guid (1984) এর মতে, পরিবেশ হচ্ছে প্রাকৃতিক উপাদানসমূহের প্রতিভূ যেখানে মানুষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবেশের মধ্যে জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, মৃত্যু তথা জীবনচক্র সম্পন্ন হয়।

বাস্তবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব :

১. স্থানীয় ও বিভিন্ন ভৌগোলিক এলাকার জীবের বাসস্থান, বিস্তার, প্রাচুর্য, জীবন পদ্ধতি, সাম্প্রদায়িক অবস্থা ইত্যাদি সম্বন্ধে ধারণা লাভ। 

২. জীবের উপর জলবায়ুগত প্রভাব, ঋতুভিত্তিক পরিবর্তন, ক্রমাগমন, অভিযোজন, অভিব্যক্তি ইত্যাদি নির্ণয় করা। 

৩. বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনায় সঠিক ধারণা প্রদান করা। 

৪. প্রাণীর আচরণ সম্বন্ধে ধারণার প্রতি ইকোলজি ভূমিকা রাখে । 

৫. কমিউনিটি বা ইকোমিস্টেমের আন্তঃক্রিয়া অনুধাবন করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে ।

৬. ইকোলজির জ্ঞানকে কৃষি কাজে, বনায়নে, মাটির ক্ষয়রোধে মরুকরণ রোধে ও প্রাকৃতিক সম্পদ সপ্তাক্ষণে ব্যবহার করা।

৭. দূষণ সম্বন্ধে জ্ঞান লাভের মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা।

৮. মানুষের ক্রিয়াকলাপ ও যথেচ্ছা ব্যবহারে জীববৈচিত্র্য যাতে ধ্বংস না হয় তার ব্যবস্থা করা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা।

৯. জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজে সহায়তা করা এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে প্রয়োজনীয় উপায় বের করা।

১০. জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, মরুকরণ বা তচ্চতা, বন্যা ইত্যাদি ইকোলজিক্যাল পীড়নের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অধিক শস্য ফলনে সহায়তা করা।

১১. বিখ্যাত ইকোলজিস্ট সাউথউইক (১৯৭২) বিভিন্ন সামাজিক, আন্তর্জাতিক সংঘাতের যথাযত কারণ অনুসন্ধানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ের ভূমিকা ব্যতীত ইকোলজি বিষয়ের উপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। 

১২. সার্বিক ইকোলজিক্যাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পৃথিবীকে মানুষের বাসোপযোগী করে মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করা। সুতরাং সামগ্রিকভাবে বাস্তুবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ