সামাজিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ। সামাজিক পরিবেশের গুণাবলি তুলে ধর

সামাজিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ। সামাজিক পরিবেশের গুণাবলি তুলে ধর
সামাজিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ। সামাজিক পরিবেশের গুণাবলি তুলে ধর

সামাজিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ। সামাজিক পরিবেশের গুণাবলি তুলে ধর

উত্তর : সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো বজায় থাকলে সামাজিক আন্তঃক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত পরিবেশকে সামাজিক পরিবেশ বলা হয়।

→ সামাজিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্য : সামাজিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ :

(ক) পরিবার ও সমাজ : পরিবার সামাজিক সংগঠনের একটি মূল প্রতিষ্ঠান হচ্ছে পরিবার। মানুষের বংশ বিস্তার শিশুদের সামাজিকতা সংক্রান্ত রীতিনীতি বা শিক্ষা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিবার দ্বারা সম্পন্ন হয়। 

আর কয়েকটি পরিবার নিয়ে পরিবার গোষ্ঠী গঠিত হয়। এইরূপ কতগুলো পরিবার গোষ্ঠী যখন কোনো স্থানে কোনো সময়ে মিলেমিশে বাস করে তখন তাদের সমষ্টিকে সমাজ বলে।

(খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : সমাজ পরিকাঠামো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ। পরিবারের শিশুরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে সামাজিক দায়িত্ব সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিপালিত হওয়ার সুযোগ পায়। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে আদর্শ ভারসাম্যযুক্ত পরিবারের বিকাশ সম্ভব হয়।

(গ) অর্থনৈতিক কাঠামো : উৎপন্ন দ্রব্যাদির বণ্টন সংক্রান্ত একটি অর্থনৈতিক পরিকাঠামো সমাজে থাকে। তার ফলে দ্রব্যের উৎপাদন এবং বণ্টনের সঙ্গে সমাজে বসবাসকারী মানুষের আন্তঃক্রিয়া সহজতর হয়।

(খ) সামাজিক যোগাযোগ : মানুষের ভাষার মাধ্যমে প্রথমে সামাজিক যোগসূত্র স্থাপিত হয়। কোনো একটি সমাজে মানুষের ভাষা ঐ সমাজের সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল। সভ্যতার ঊষালগ্নে কেবল ভাষাই ছিল সমাজের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম। 

কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মুদ্রণ প্রযুক্তি সামাজিক যোগাযোগ স্থাপনকে দূর করে। বর্তমান বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে হিসাবে কাজ করে।

(ঙ) অধিকার এবং ক্ষমতা : মানুষের আইন সমমত অধিকার এবং ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক ব্যবস্থা জরুরি। বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান মানুষের অধিকার এবং ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমাজ পরিবেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

(চ) আচারানুষ্ঠান সংক্রান্ত ব্যবস্থা : সমাজ কাঠামোর আচার-অনুষ্ঠান | সংক্রান্ত ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক যোগসূত্র নিয়ন্ত্রণে বা সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধি করতে আচারানুষ্ঠান ব্যবস্থা সাহায্য করে ।

(ছ) সংস্কৃতি : সংস্কৃতি হলো মানব সৃষ্ট পরিবেশের একটি অংশ। যার দ্বারা সামাজিক পরিবেশ এবং সামাজিক ক্রিয়া নির্ধারিত হয়। 

ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানী টেলরের মতে, মানুষ সমাজের সদস্য হিসেবে যে ধ্যান-ধারণা, নৈতিকতা শিল্প আইন রীতি এবং অন্যান্য অভ্যাস রপ্ত করে তাদের জটিল সমষ্টিই হচ্ছে সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিই একজন মানুষকে তার বংশানুক্রমিক গৃহীত চারিত্রিক গুণাবলি নির্বাচনে সাহায্য করে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ