স্বনির্ভর আন্দোলন কি | স্বনির্ভর আন্দোলন বলতে কি বুঝ
![]() |
| স্বনির্ভর আন্দোলন কি । স্বনির্ভর আন্দোলন বলতে কি বুঝ |
স্বনির্ভর আন্দোলন কি । স্বনির্ভর আন্দোলন বলতে কি বুঝ
উত্তর : ভূমিকা : স্বনির্ভর আন্দোলন বাংলাদেশের পরি অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিচালিত একটি কর্মকৌশল, যা এদেশের পল্লি উন্নয়নের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্বনির্ভর আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রাম উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় এর প্রতিষ্ঠাতা মাহবুব আলম চাষীকে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রচলনকালীনই পল্লি উন্নয়নে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্বনির্ভর আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো ছয়টি স্তর নিয়ে গঠিত ছিল।
স্বনির্ভর আন্দোলন : স্বনির্ভর আন্দোলন পল্লি উন্নয়ন ও গ্রামীণ সমাজের অগ্রগতির লক্ষ্যে পরিচালিত একটি মৌলিক চাহিদাকেন্দ্রিক উদ্যোগ।
গ্রামের সমাজ কাঠামোর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে এ আন্দোলনের সাথে যুক্ত করার প্রয়াস ছিল। এটি বাংলাদেশের পল্লি উন্নয়নের ইতিহাসে একটি মাইলফলক !
একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজকর্মী মাহবুব আলম চাষী ছিলেন স্বনির্ভর আন্দোলনের পথিকৃৎ। ১৯৭৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বনির্ভর আন্দোলনের সূচনা ঘটে।
স্বনির্ভর আন্দোলনে প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হয় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টির প্রতি। চারিত্রিক গুণাবলি, নৈতিক মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের ওপরও জোর দেওয়া হয়।
স্বনির্ভর আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠিত ছিল ছয়টিপর্যায় বা স্তর নিয়ে। যথা : গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা, মহকুমা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়।
গ্রাম পরিষদ ছিল প্রাথমিক ভিত্তিমূলক সংস্থা। স্বনির্ভর আন্দোলনের জাতীয় কমিটি ছিল কেন্দ্রীয় শীর্ষ সংস্থা। এ কমিটির কাজ ছিল নিম্নতর থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, স্বনির্ভর আন্দোলনের অন্যতম অবদান ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, উচ্চ ফলনশীল শস্যের প্রচলন, স্বেচ্ছাশ্রম, অবকাঠামোগত নির্মাণ প্রকল্প ও ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সমষ্টিগত কর্মোদ্যোগ ও জনগোষ্ঠীকে সংঘবন্ধ করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো নির্মাণ। তাই এ আন্দোলনের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
