দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটি বলতে কি বুঝ । দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটির সংজ্ঞা দাও

দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটি বলতে কি বুঝ । দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটির সংজ্ঞা দাও
দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটি বলতে কি বুঝ । দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটির সংজ্ঞা দাও

দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটি বলতে কি বুঝ । দুর্বল সাস্টেইন্যাবিলিটির সংজ্ঞা দাও

উত্তর : টেকসইতার ব্যাপারে কিছু কিছু পরিবেশ অর্থনীতিবিদগণ মত দেন যে মানবসৃষ্ট মূলধন ও প্রাকৃতিক মূলধন পরস্পর বিকল্পনযোগ্য এবং প্রাকৃতিক মূলধনের পরিমাণ হ্রাস পেলেও মানবসৃষ্ট মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে মূলধনের মোট মজুত স্থির রাখার মাধ্যমে টেকসইয়তা অর্জন করা যায়। 

টেকসইয়তা সম্পর্কে এ ধরনের মতবাদকে দুর্বল টেকসইয়তা বলা হয়। অর্থাৎ টেকসইয়তার যে মত অনুযায়ী প্রাকৃতিক মূলধন ও মানব সৃষ্ট মূলধন পরস্পর বিকল্পনযোগ্য মনে করা হয় এবং বলা হয়, যে উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ফলে মোট মূলধন মজুতে তার অংশ হ্রাস পেলেও মানবসৃষ্ট মূলধন বেশি পরিমাণে তৈরির মাধ্যমে মোট মূলধনের মজুত পূর্বাস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার সাহায্যে টেকসইয়তা (Sustainability) অর্জন করা যায়, সে মতকেই দুর্বল টেকসইয়তা বলে। 

মূলধারার পরিবেশ অর্থনীতি বিদরা এ মতধে সমর্থন করে। তারা মনে করেন যে প্রাকৃতিক মূলধনের ব্যবহার ব্যতিরেকে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বা উৎপাদন কার্যক্রম কার্যতপক্ষে অসম্ভব। 

অর্থাৎ প্রাকৃতিক মূলধনের শূন্য বা ঋণাত্মক অবচয় হার ধরে রাখা প্রকৃতপক্ষে অসম্ভব। যেমন— বিশ্ব খনিজ তেলের মজুত অটুট রেখে কোনো কিছু উৎপাদন করা প্রকৃতপক্ষে প্রায় অসম্ভব। 

এ ধরনের মতবাদে প্রাকৃতিক মূলধনের সাথে মানবসৃষ্ট মূলধনের ট্রেড অফের কথা বলা হয়। তাই দুর্বল টেকসইয়তা সমর্থনকারীদের মত হলো যেকোনো একটি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলে মোট মূলধন মজুতে প্রাকৃতিক সম্পদের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হ্রাস পেলে অন্য কোন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে মানবসৃষ্ট মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে অথবা প্রাকৃতিক মূলধন বৃদ্ধির প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে মোট মূলধনের মজুত পূর্বোক্ত অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে। 

এতে করে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প যেমন বাস্তবায়ন করা যাবে তেমনি টেকসইয়তাও অর্জন সম্ভব হবে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ