পরিবেশ অধ্যয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর

পরিবেশ অধ্যয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর
পরিবেশ অধ্যয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর

পরিবেশ অধ্যয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর

  • অথবা, পরিবেশ অধ্যয়নের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলো বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : আমাদের বসবাসের চারপাশে যা কিছু আছে তাই পরিবেশ। একটি জীবমণ্ডলের পরিবেক্ষণকারী এবং এতে প্রভাব বিস্তারকারী সজীব ও অজীব উপাদানের সামগ্রিক অবস্থানকে পরিবেশ বলে। 

প্রতিটি জীবের একটি স্বাতন্ত্র্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা রয়েছে। পরিবেশ ও মানব সমাজের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আর এ পরিবেশকে অধ্যয়ন করতে হলে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। 

নিম্নে পরিবেশ অধ্যয়নের পদ্ধতিসমূহ আলোচনা করা হলো-

১. সামাজিক পদ্ধতি : পরিবেশ অধ্যয়নের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি হলো সামাজিক পদ্ধতি। সামাজিক পদ্ধতির মাধ্যমে সামাজিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন আন্তক্রিয়া সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। 

পরিবেশ সম্পর্কে বিভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞানীরা আলোচ্য করে থাকে। তারা পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতির সাহায্য গ্রহণ করে। যেমন— রাষ্ট্রবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, ~ সমাজবিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস ও পরিবেশ বিজ্ঞান ৷

২. মার্কসীয় পদ্ধতি : পরিবেশ অধ্যয়নের অন্যতম আরেকটি পদ্ধতি হলো মার্কসীয় পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে পরিবেশকে মার্কসীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়। 

মার্কসীয় পদ্ধতির অনুসারীগণ পরিবেশ ও অন্যান্য পদ্ধতির সম্পর্কে স্থাপন করে থাকে। এরূপ পরিবেশ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য মার্কসীয় পদ্ধতিতে করে থাকে ।

৩. অর্থনৈতিক পদ্ধতি : পরিবেশ ও অর্থনীতির মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়। 

পানি দূষণ, মাটি দূষণ, জনসংখ্যার বৃদ্ধি ইত্যাদি পরিবেশের উপর বিরূপ, প্রভাব ফেলে। পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা অর্থনীতি ও পরিবেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।

৪. সাংস্কৃতিক পদ্ধতি : সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মানুষের যাবতীয় কার্যকলাপ সাংস্কৃতিরই অংশ। অর্থাৎ মানুষের সবকিছু নিয়েই সংসকৃতি। 

কিন্তু পরিবেশ ও সমাজের মধ্যে অনেক সময় ভিন্নতা দেখা যায়। পরিবেশ, সমাজ ও মানুষের মধ্যে ভিন্নতা থাকলেই এরা একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

৫. বাস্তুসংস্থানিক পদ্ধতি : পরিবেশ অধ্যয়নের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো বাস্তুসংস্থানিক পদ্ধতি। বাস্তুসংস্থান বলতে প্রাণী ও উদ্ভিদের সম্পর্ককে বোঝায়। 

পরিবেশের জৈব ও অজৈব সকল উপাদানই বাস্তুসংস্থানের উৎস। এ পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য প্ৰকাশ পায় ।

৬. আঞ্চলিক পদ্ধতি : আঞ্চলিক পদ্ধতি পরিবেশের অধ্যয়নের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি। পরিবেশ অধ্যয়নের ক্ষেত্রে অঞ্চল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা জরুরি। আঞ্চলিক পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে পরিবেশের সঠিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভাব। '

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পরিবেশের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করার জন্য পরিবেশ অধ্যয়ন একান্ত প্রয়োজন। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভাব। 

পরিবেশ, সমাজ, সামাজিক ক্রিয়াকলাপ ও মানুষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। এরা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ