জীব রক্ত সহে না তাহার কার জীব রক্ত সহে না কীভাবে রাজা তা জানতে পায়

জীব রক্ত সহে না তাহার কার জীব রক্ত সহে না কীভাবে রাজা তা জানতে পায়

জীব রক্ত সহে না তাহার কার জীব রক্ত সহে না কীভাবে রাজা তা জানতে পায়
জীব রক্ত সহে না তাহার কার জীব রক্ত সহে না কীভাবে রাজা তা জানতে পায়

উত্তর: ত্রিপুরা রাজ্যের রাজমন্দিরে দীর্ঘদিন যাবৎ দেবী কালীর পূজায় বলিপ্রথা চলে আসছে। দেবীভক্ত রঘুপতি তার ক্ষমতা, দর্প, অহংকার ও ব্রাহ্মণ্যত্বের গর্বে এ অমানবিক প্রথা টিকিয়ে রেখেছে। এবার দেবীর পায়ে বলি দেওয়ার জন্য ধরে আনা হয়েছে দরিদ্র বালিকা অপর্ণার সন্তানতুল্য দুটো ছাগশিশু।

 অপর্ণা এসে রাজর্ষি গোবিন্দমাণিক্যের কাছে তার সন্তানের (ছাগশিশুর) জন্য ফরিয়াদ করেছে। অপর্ণার বেদনায় মূহ্যমান রাজা। অপর্ণা রাজাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, মায়ের দায়িত্ব সন্তান লালনের, সন্তানের রক্ত পান করা নয়।

 তাই মানবতার প্রতীক রাজা তার ত্রিপুরা রাজ্যে বলি নিষেধ ঘোষণা করেছে। দেবীভক্ত কপট রঘুপতির গর্ব অহংকারে আঘাত পড়েছে, তাই তার কাছে এটি অবাস্তব ও স্বপ্ন মনে হয়েছে। কিন্তু রাজা বলেছেন যে, এতদিন রঘুপতির প্রচলিত অমানবিক প্রথা মেনে নিয়ে বিশেষ এক স্বপ্নের ঘোরে রক্ত নেশায় তিনিও মত্ত ছিলেন।

 কিন্তু আজ বালিকার মূর্তি ধরে প্রকৃত জননী রাজাকে জানিয়ে গেল যে, জীবরক্ত তার অসহ্য। অর্থাৎ এতদিন রাক্ষসীর তৃষ্ণা মেটানো হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত মা অপর্ণা যার সন্তানতুল্য ছাগশিশু হত্যাতে তার হৃদয় চূর্ণ হয়েছে। ফলে রাজার মধ্যেকার ঘুমন্ত মানবতাকে অপর্ণা যেন দেবীর মূর্তি ধরে এসে জাগিয়ে তুলেছে। এতদিন রাজা মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, আজ থেকে তার সত্য পথে যাত্রা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ