বাঁশির সুর রাধার মনে যে উন্মনা সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও

বাঁশির সুর রাধার মনে যে উন্মনা সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও

অথবা, কৃষ্ণ বিহরে রাধার ব্যাকুলতার স্বরূপ উন্মোচন কর 

বাঁশির সুর রাধার মনে যে উন্মনা সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও
বাঁশির সুর রাধার মনে যে উন্মনা সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও

উত্তর : রাধা বড়ায়ির কাছে জানতে চায় কালিন্দী নদীকূলে, এই গোষ্ঠ গোকুলে কে এমন মোহন বাঁশি বাজায় । সেই বাঁশির শব্দে তার শরীর আকুল আর মন ব্যাকুল হয়ে পড়ে। বাঁশির শব্দে রাধার রন্ধনকার্য এলোমেলো হয়ে পড়ে। রাধা সেই বংশীবাদকের পায়ে নিজেকে দায়ী হিসেবে সঁপে দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। 

রাধা বড়ায়ির কাছে জানতে চায় চিত্তের হরষে যে মোহন বাঁশি বাজায় তার কাছে রাধা কি দোষ করেছে। কেন এমন বাঁশি বাজিয়ে সে রাধাকে উতলা করছে। বাঁশির মোহন সুরে রাধার নয়নের জল অঝোরে ঝরছে। এই বাঁশির শব্দে সে যেন তার প্রাণ হারাচ্ছে। 

রাধার মনকে ব্যাকুল করতেই কৃষ্ণ এমন মোহন বাঁশি বাজাচ্ছে। ব্যাকুলা রাধা তার কাছে ছুটে যেতে চায়। কিন্তু সে তো পাখি নয়, যে উড়ে যাবে তার কাছে। তাই রাধা মনের দুঃখে বলতে চেয়েছে, পৃথিবী দ্বিধা বিভক্ত হলে সেখানে লুকিয়ে সে তার মনের কষ্ট দূর করতে পারত। 

রাধা বড়ায়িকে আরও বলছে যে বনে আগুন লাগলে জগতের সকল লোকে জানতে পারে, কিন্তু মনের আগুন লোক চক্ষুর অন্তরালের আগুন। রাধার মনের আগুন যেন কুমারের চুলার আগুনের মত, যা দেখা যায় না ৷

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ