আমার শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই কার শেষ যুদ্ধ এবং কেন
আমার শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই কার শেষ যুদ্ধ এবং কেন
![]() |
আমার শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই কার শেষ যুদ্ধ এবং কেন |
উত্তর: ২৩ জুন ১৭৫৭। পলাশী প্রান্তরে ইংরেজের সাথে সিরাজ বাহিনীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সিরাজের বাহিনী বিশাল, অস্ত্র-গোলাবারুদও ইংরেজের তুলনায় প্রচুর। কিন্তু বিশাল ৬৯৫
বাহিনীর প্রধান সেনাপতি মীরজাফর বেঈমান। তাই পলাশীতে যুদ্ধ হল না, হল যুদ্ধের অভিনয়। মীরজাফরের বিশাল বাহিনী মূর্তিবৎ দাঁড়িয়ে, বিশ্বস্ত সেনাপতিরা প্রাণপণে লড়তে গিয়ে একে একে নিহত হয়েছেন। সিরাজের আস্থাভাজনের মধ্যে কেবল বেঁচে আছেন মোহনলাল।
মোহনলাল যুদ্ধে পরাজয়ের খবর নিয়ে এলেন সিরাজের তাঁবুতে। এখন প্রয়োজন সিরাজকে বাঁচানো। তাই মোহনলাল নবাবকে প্রস্তাব দিলেন রাজধানী মুর্শিদাবাদ রক্ষার্থে দ্রুত পলাশী ত্যাগের। বিশ্বস্ত সবাই নিহত- কেবল বেঁচে আছেন মোহনলাল, সিরাজই বা মোহনলালকে মৃত্যুর মুখে রেখে যায় কীভাবে? তাই সিরাজ জিজ্ঞেস করেন মোহনলালও তার সাথে মুর্শিদাবাদ যাবেন কিনা?
কিন্তু না- মোহনলাল জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পলাশীতে লড়তে থাকবে, এরই অবকাশে সিরাজ যেন নিশ্চিন্তে মুর্শিদাবাদ চলে যান। এ বিবেচনায় মোহনলাল বিনীত অথচ দৃঢ়কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন তার জীবনের শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই।
অর্থাৎ পলাশী প্রান্তরে যুদ্ধ করতে করতেই তিনি জীবন দান করবেন। মোহনলালের এ ইস্পাত কঠিন প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে তার দেশপ্রেম ও সিরাজপ্রীতি সুস্পষ্ট হয়েছে।a