পতিবিনা অবলার কি গতি জগতে? - ব্যাখ্যা কর।
পতিবিনা অবলার কি গতি জগতে? - ব্যাখ্যা কর।
![]() |
| পতিবিনা অবলার কি গতি জগতে? - ব্যাখ্যা কর। |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে মাইকেল মধুসূদন দপতিবিনা অবলার কি গতি জগতে? - ব্যাখ্যা কর।ত্তের মানসকন্যা প্রমীলা। কবির প্রিয়পাত্র মেঘনাদের যোগ্য স্ত্রী। ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদকে প্রেম-ভালবাসা ও কর্তব্য দিয়ে জয় করেছে প্রমীলা। সে পতিপ্রাণ।
একদণ্ডও মেঘনাদকে ছাড়া সে বাঁচতে পারে না। মেঘনাদ তাকে ফেলে লঙ্কায় গেলে সে নারী বাহিনী নিয়ে বীরবেশে সেখানে গিয়ে স্বামীর সাথে মিলিত হয়।
যজ্ঞাগারে যাওয়ার সময় তার ইচ্ছে ছিল স্বামীর সাথে যায় কিন্তু শাশুড়ির আহ্বানে সে ইচ্ছে তার পূরণ হয় নি। স্বামী মরে যাওয়ার সাথে সাথে তার বাম নয়ন কেঁপেছে, অতর্কিতে সিঁথির সিঁদুর মুছে গেছে। অর্থাৎ স্বামীর সাথে তার এমনই প্রাণের সম্পর্ক যে, স্বামীর বিপদ হওয়ামাত্রই সে টের পেয়েছে।
এ হেন প্রমীলার স্বামীই যখন তাকে ছেড়ে চলে গেল, তবে তার আর বাঁচা কেন? তাছাড়া বাঙালি সতী নারী হিসেবে পতি ছাড়া তার গতিই বা কি! বাবা-মা যার হাতে তাকে সঁপে দিয়েছিল তার সাথেই সে মহাপ্রয়াণ করবে, এটাইতো স্বাভাবিক।
ফলে তার বাবা-মা যার হাতে তাকে সঁপে দিয়েছিল, সে আজ তার সাথেই চলেছে। প্রমীলার সহমরণের মধ্য দিয়ে কবি বাঙালি নারীর চিরায়ত সতীত্ববোধকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর কাব্যে পাশ্চাত্যের বোধগুলো যেমন ধৃত হয়েছে, তেমনি বাঙালি নারীর সতীত্বও উচ্চকিত হয়েছে।
