গুণবান যদি পরজন,গুণহীন স্বজন, তথাপি ব্যাখ্যা কর ।

গুণবান যদি পরজন,গুণহীন স্বজন, তথাপি ব্যাখ্যা কর ।
গুণবান যদি পরজন,গুণহীন স্বজন, তথাপি ব্যাখ্যা কর ।
গুণবান যদি পরজন,গুণহীন স্বজন, তথাপি ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে রাবণের ভাই বিভীষণ রাম-রাবণের যুদ্ধে ধর্মীয় আদর্শে কথা বলে রাঘবদের দাসত্ব করে। বীরবাহুর মৃত্যুর পর মেঘনাদ যুদ্ধে যাবার আগে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা দিতে প্রবেশ করে। 

হঠাৎ পেছনে লক্ষ্মণকে দেখে সে অবাক হয়, কিন্তু সাথে বিভীষণকে দেখে ক্ষোভে, দুঃখম অপমানে চাচাকে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করে । রাক্ষসকুলে জন্ম নিয়েও তার চাচা মেঘনাদ ভিখারি রাঘবদের সাথে থেকে যুদ্ধে তাদের সহযোগিতা করছে। 

ভ্রাতুষ্পুত্র হয়ে মেঘনাদ চাচাকে তাদের কুলগৌরব সম্পর্কে সচেতন ) করার জন্য নানা উপমা দেয়। এমন বংশে জন্ম নিয়ে চাচা কীভাবে রাঘবের পক্ষ নেয় এটা মেঘনাদ বুঝতে পারে না। বিভীষণ মেঘনাদকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে, রাবণের পাপে আজ লঙ্কার এ অবস্থা, সে পাপের, অধর্মের পক্ষাবলম্বন করতে পারে না। 

মেঘতার চাচাকে বলেছে যে- তিনি কোন ধর্মশাস্ত্রে জেনেছেন যে, জ্ঞাতি, ভাই, জাতি এসব জলাঞ্জলি দিতে শিখেছেন। ছোট হয়েও সে তার চাচাকে শাস্ত্রের বাণী উচ্চারণ করে শোনায় যে, অনাত্মীয় যদি গুণীও হয় তবুও সে অনাত্মীয়, আবার আত্মীয় যদি নির্গুণও হয় তবুও সে আত্মীয়। গুণহীন আত্মীয়-স্বজন গুণবান অনাত্মীয়ের চেয়ে সর্বদাই শ্রেয়। অথচ তার চাচা আজ উল্টোটা করছে, কারণ সে সঙ্গদোষে নীচ-হীন হয়ে উঠেছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ