কোনো অবস্থায় মানুষে মানুষে ভেদ থাকে না
কোনো অবস্থায় মানুষে মানুষে ভেদ থাকে না
![]() |
| কোনো অবস্থায় মানুষে মানুষে ভেদ থাকে না |
উত্তর : লেখক একবার বাসে করে কাবুল যাচ্ছিলেন। তার পাশের সহযাত্রী বেতারকর্তা তখন বার বার তাঁর উপর ঢলে পড়ছিলেন। কারণ ঘুমের মাঝে মানুষের ভালোমন্দ ভেদাভেদের কোনো চেতনা কাজ করে না। ঘুমের মধ্যে প্রতিটি মানুষই একই রকম আচরণ করে।
এখানে সবার কার্যকলাপ এক ও অভিন্ন। সেই বাসের- “ঝাঁকুনি, ধুলো, কঠিন আসন, ক্ষুধাতৃষ্ণা সত্ত্বেও বেতারকর্তা ও আমার দু'জনেরই ঘুম পাচ্ছিল। মাঝে মাঝে তাঁর মাথা আমার কাঁধে ঢলে পড়ছিল, আমি তখন শক্ত হয়ে বসে তাঁর ঘুমে তা দিচ্ছিলুম।”
তারপর হঠাৎ একটা জোর ঝাঁকুনি খেয়ে ধড়মড়িয়ে জেগে উঠে তিনি লেখকের কাছে মাফ চেয়ে শক্ত হয়ে বসেছিলেন। তারপর লেখকের পালা। শত চেষ্টা সত্ত্বেও ভদ্রতার বেড়া ভেঙে লেখকের মাথা তাঁর কাঁধে জিরিয়ে নিচ্ছিল। লেখক সেই গরমে বসে বসে এ তত্ত্বটি হৃদয়ঙ্গম করলেন।
ডিমোক্রেসি ডিমোক্রেসি জিগির তুলে বড্ড বেশি চেঁচামেচি করাতে দক্ষিণ ভারতের এক সাধক বলেছিলেন, 'তাহলে সবাই ঘুমিয়ে পড়। ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষে মানুষে ভেদ থাকে না, সবাই সমান।'বাংলা নাটক সিরাজউদ্দোলা
নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তার প্রজারা কোম্পানির লোকের কাছে শারীরিক ও আর্থিকভাবে নিষ্পেষিত। শাসক হিসেবে তার দায়িত্ব প্রজার নিশ্চিত জীবনদান কিন্তু সিরাজ নানা কারণে তা করতে ব্যর্থ ও অক্ষম। নিজের দায়িত্ব পালনে অপারগতার কারণে নবাব নিজেকে অভিযুক্ত করছেন।
নিজেকে অপরাধী করে তার নিজের বিচার দাবি করছেন সবার কাছে। মূলত সিরাজ নিজেকে নিজে অভিযুক্ত করে তার সহযোগীদের নিজ নিজ কৃতকর্মকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। ঝিকে মেরে বৌকে শেখানোর মত সিরাজ নিজেকে অভিযুক্ত করে প্রকারান্তরে পারিষদকে তীব্র অপমান করেছেন এবং তাদের বিবেক জাগাতে প্রয়াস পেয়েছেন ।
.png)