সুবর্ণ দেউসী তুলসীর মূলে যেন জ্বলিল উজলি দশ দিশ ব্যাখ্যা কর
সুবর্ণ দেউসী তুলসীর মূলে যেন জ্বলিল উজলি দশ দিশ ব্যাখ্যা কর
![]() |
| সুবর্ণ দেউসী তুলসীর মূলে যেন জ্বলিল উজলি দশ দিশ ব্যাখ্যা কর |
উত্তর মেঘনাদবধ কব্যে রাবণ সীতাকে ধরে এনে অশোকবনে রেখেছে। রাবণের ভ্রাতৃবধূ সরমা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সীতার কাছে আসতে পারে নি।
মেঘনাদের অভিষেকজনিত আনন্দের অবকাশে নিঃসঙ্গ সীতার কাছে সরমা আসতে গিয়ে সিঁদুরের কৌটা সাথে এনেছে। কারণ এয়ো সীতার সিঁদুরশূন্য ললাট সরমাকে নিরন্তর কাঁদিয়েছে। দেব আকাঙ্ক্ষিত বরাঙ্গ সীতার অনুমতি নিয়ে সরমা সীতার ললাটে সিঁদুরের ফোঁটা
এঁকে দেয়ায় মনে হয়েছে যেন সন্ধ্যাকাশে তারা জ্বলজ্বল করছে। অতঃপর সরমা সীতার পদধূলি গ্রহণ করে। কবি এ দৃশ্যটিকে মোহনীয় করে দেখেছেন। মনে হয়েছে সীতারূপ তুলসী তুলে সরমারূপ প্রদীপ যেন দশ দিককে উজ্জ্বল করছে।
তুলসীর সাথে উপমিত হওয়ায় সীতার পবিত্রতা ও দেবত্বের সাথে সরমার আরতির ব্যবস্থার চিত্র কবি হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছেন।
সরমাকে সুবর্ণ প্রদীপের সাথে তুলনা করে যেমন কবি পূজারিণী হিসেবে সরমার অন্তরের প্রশস্ততা ব্যাখ্যা করেছেন, তেমনি সীতাকে তুলসীর সাথে তুলনা করে কবি সীতার দেবী মহত্ত্ব তুলে ধরেছেন। উপর্যুক্ত উপমায় কবির পবিত্র মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
