রহিলা দেবী সে বিজন বনেএকটি কুসুম মাত্র অরণ্যে যেমতি। — ব্যাখ্যা কর
রহিলা দেবী সে বিজন বনেএকটি কুসুম মাত্র অরণ্যে যেমতি। — ব্যাখ্যা কর।
![]() |
| রহিলা দেবী সে বিজন বনেএকটি কুসুম মাত্র অরণ্যে যেমতি। — ব্যাখ্যা কর। |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে সরমার ভাসুর লঙ্কারাজ নিষ্ঠুর বলদীপ্ত রাবণ বোনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে পঞ্চবটী বনের সুখ সংসার থেকে সন্ন্যাসীর ছলে সীতাকে হরণ করে এনে তাঁর প্রাসাদসংলগ্ন অশোকবনে বন্দী করে রাখে।
মেঘনাদের অভিষেকের উৎসবে রাক্ষসকুল মত্ত, এ অবকাশে সীতাদরদী সরমা সিঁদুরের কৌটাসহ সীতার কাছে আসে। সে সীতার অসহায়ত্বে নিজেকে আরও অসহায়া জ্ঞান করে চোখের জলে ভাসে এবং এয়ো সীতার কপালে সিঁদুর ফোঁটা দিয়ে প্রণাম করে।
অতঃপর সীতা হরণের কাহিনী সীতার মধুমুখে শুনতে শুনতে আত্মহারা হয়ে রাজসুখ ত্যাগ করে বনে বাস করার সংকল্প ব্যক্ত করে। নির্জন অশোকবনে নিঃসঙ্গ সরমাকে পেয়ে সীতা পঞ্চবটী বনে সুখ সংসারের সুখস্মৃতি বর্ণনা করে এবং পতি সোহাগিনী সীতা রামের বিরহে চঞ্চল হয়ে ওঠে।
সীতার কণ্ঠে বেদনার কাহিনী শুনে সরমা সে আর্দ্র হয়ে ওঠে। কিন্তু সেও নিরুপায়। তার স্বামী বিভীষণ রাঘবদের দলে, তাই সরমা সীতার কাছে আসতে গিয়ে লুকিয়ে আসতে হয় । সীতার বেদনার কথা শুনে সরমার ইচ্ছে হয় সীতার কাছে থাকতে।
কিন্তু সীতার কাছে থাকলে সরমা রাবণের রোষানলে পড়বে। তাই সীতার পাহারাদারেরা ফিরে আসছে শুনে সরমা দ্রুত অশোকবন ছেড়ে নিজগৃহের দিকে পা বাড়াল।
কিন্তু সীতাকে সে অশোকবনে একা রেখে চলে গেল। তার মনে হলো, ফুলবনের মধ্যে মাত্র একটি ফুল ফুটলে সেই ফুলটি যেমন বাগানে শোভা পায়, অশোকবনে সীতা তেমনিভাবে শোভা পেতে লাগল।aa
