থাক, মা, আমার সঙ্গে তুমি, জুড়াইব,ও বিধুবদন হে পরাণ।”- ব্যাখ্যা কর
থাক, মা, আমার সঙ্গে তুমি, জুড়াইব,ও বিধুবদন হে পরাণ।”- ব্যাখ্যা কর ।
![]() |
| থাক, মা, আমার সঙ্গে তুমি, জুড়াইব,ও বিধুবদন হে পরাণ।”- ব্যাখ্যা কর ।রি, এ পোড়া |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে সীতা উদ্ধারে রাঘবেরা লঙ্কা আক্রমণ করলে রাবণপুত্র বীরবাহু মারা যায়। অতঃপর মেঘনাদ যুদ্ধে যাবে।
যদিও সে ইন্দ্রজিৎ তবুও রাবণের বুক কেঁপে ওঠে, তাই যজ্ঞাগারে পূজা সম্পন্নের জন্য মেঘনাদকে যেতে হয়। পতিপ্রাণা প্রমীলা ভেবেছিল স্বামীর সাথে যজ্ঞাগার পর্যন্ত যাবে। কিন্তু শাশুড়ির আহ্বানে তার অভীষ্ট পূর্ণ হলো না।
কারণ প্রমীলা শুধু প্রেমসচেতনই নয়, কর্তব্যসচেতনও। তাই পুত্রকে বিদায় দিয়ে রোদন বিবশা মাতা মন্দোদরীর আকুল কণ্ঠের আবেদন প্রমীলা অগ্রাহ্য করতে পারে নি। পতির জন্য প্রমীলার আবেগ যতই উদ্দাম হোক শাশুড়ির প্রতি কর্তব্য সে অবহেলা করে নি ।
এখানে প্রমীলার কর্তব্যচেতনার মধুর পরিচয় নিহিত। তাছাড়া মন্দোদরীর ছেলে চলে গেলেও সে পুত্রবধূর মুখ দর্শনে কিছুটা তৃপ্ত হবে। সূর্য অস্তমিত গেলে রাতে যেমন তারকা ধরণীকে উজ্জ্বল রাখে, তেমনি পুত্রকে বিদায় দিলেও পুত্রবধূ মন্দোদরীকে সামান্য সুখস্বস্তি দিতে পারবে।
