হৃদয় বৃত্তে ফুটে যে কুসুম, তাহারে ছিঁড়িলে কাল, বিকল হৃদয় ব্যাখ্যা কর
হৃদয় বৃত্তে ফুটে যে কুসুম, তাহারে ছিঁড়িলে কাল, বিকল হৃদয় ব্যাখ্যা কর
![]() |
| হৃদয় বৃত্তে ফুটে যে কুসুম, তাহারে ছিঁড়িলে কাল, বিকল হৃদয় ব্যাখ্যা কর |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে লঙ্কারাজ রাবণের বোন সূর্পণখাকে লক্ষ্মণ অপমান করার পর রাবণের পৌরুষে লাগে। ফলে এর প্রতিশোধ নিতে সে রামের স্ত্রী সীতাকে পঞ্চবটী বন থেকে ধরে নিয়ে আসে।
সীতাকে উদ্ধার করতে রাম-লক্ষ্মণ বিশাল বাহিনী নিয়ে লঙ্কায় প্রবেশ করে। যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। মাতৃভূমির সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে লঙ্কার লাখো সন্তানের সাথে রাবণ পুত্র বীরবাহুও প্রাণ হারায় ।
দূতের মুখে রাবণ বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। রাবণ জানে যে, মায়াময় এ জগতের সুখ-দুঃখ সবই বৃথা।
কিন্তু বৃন্ত থেকে পদ্মকে ছিঁড়ে নিলে পদ্মের ডাঁটা যেমন জলে ডুবে যায়, তেমনি বীরবাহু রূপ পুত্রকে রাবণের বুক থেকে মৃত্যু নামক মহাশক্তি হরণ করে নেয়াতে রাবণও শোকাকুল না হয়ে পারে না। অংশটিতে পদ্ম সংক্রান্ত উপমা সৃষ্টি করে কবি পিতা রাবণের বেদনাকে চিত্রণ করেছেন বিশেষ পারঙ্গমতায়।
