জন্মভূমি রক্ষাহেতু কে ডরে মরিতে
জন্মভূমি রক্ষাহেতু কে ডরে মরিতে
![]() |
| জন্মভূমি রক্ষাহেতু কে ডরে মরিতে |
যে ডরে, ভীরু সে মূঢ়, শত ধিক তারে। - ব্যাখ্যা কর। উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে বোনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে রাবণ সীতাকে হরণ করে। সীতা উদ্ধারে রাম-লক্ষ্মণ লঙ্কায় প্রবেশ করে এবং রাবণ সৈনিকের সাথে যুদ্ধ সংঘটিত হলে লঙ্কার বহু সৈনিক মারা যায়, সাথে রাবণ পুত্র বীরবাহুও মারা যায়।
দূতের মুখে রাবণ বীরবাহুর মৃত্যু খবর শুনে শোকে আকুল হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে সে প্রাসাদ শিখরে উঠে লঙ্কার যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে তাকিয়ে দেখে তার পুত্র বীরবাহু মরে পড়ে আছে। পুত্রের এ মৃত্যুকে রাবণ গৌরবের চোখে দেখে। কারণ যে বীর তার মৃত্যু সমররক্ষত্রে হওয়াই বাঞ্ছনীয় ।
অর্থাৎ যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুবরণের মাধ্যমেই বীরের জীবন ধন্য হয়। দেশমাতৃকা বহিঃশত্রু দ্বারা লাঞ্ছিত, সেই দেশ রক্ষা করার জন্য তার পুত্র বীরবাহু জীবন দিয়েছে, এর চেয়ে গৌরবের আর কী থাকতে পারে। বরং দেশ রক্ষা করতে যে জীবন দিতে ভয় পায়, সবার কাছে সে ধিকৃত ঘৃণ্য।
অথচ তার পুত্র সবার কাছে নন্দনীয়। এই দেশপ্রেমবোধ কবি পাশ্চাত্য সাহিত্য থেকে গ্রহণ করে তাঁর রাবণ চরিত্রে প্রোথিত করেছেন। 'মেঘনাদবধ কাব্যে আধুনিকতার এ মাত্রাটি রাবণ চরিত্রে উচ্চকিত।
