মন্দোদরীর পরিচয় দাও
মন্দোদরীর পরিচয় দাও ৷
![]() |
| মন্দোদরীর পরিচয় দাও |
উত্তর মেঘনাদ জননী মন্দোদরী কেবল মেঘনাদেরই জননী নয়, রাক্ষসকুল ঈশ্বরী লঙ্কার জননীও বটে। মন্দোদরী রাবণের আরেক স্ত্রী, সে আদর্শ বঙ্গনারী।
লঙ্কার যুদ্ধের ডামাডোলের মাঝে কবি অন্তঃপুরে শাশ্বত জননী হিসেবে মন্দোদরীকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি যখন বিভীষণ সম্পর্কে বলেন – “এ কনক লঙ্কা মোর মজালে দুর্মতি।”
তখন তার মুখের 'মোর' সমগ্র লঙ্কাপুরীর সঙ্গেকার সম্বন্ধ শুধু কর্তব্যের নয়, অপরিসীম মমত্বের হয়ে ভেসে ওঠে। বাৎসল্যে, পতিব্রতে ও সংসারধর্ম পালনে সে আত্মতৃপ্ত। স্বামীর অপকর্মে সে তিরস্কার না করে বুক পেতে স্বামীর বিপদের ভাগ নিয়েছে।
পুত্র যুদ্ধে গমনকালে সে উদ্বিগ্ন, পুত্রের কল্যাণ কামনায় শিবের আরাধনায় আত্মনিয়োগ করেছে। খাঁটি বাঙালি মায়ের মত ব্রত, উপবাস পালন করে প্রার্থনা করেছে। কৃত্তিবাসের রামায়ণে মন্দোদরী রাক্ষসী। কিন্তু মধুসূদন মন্দোদরীকে মাতৃত্বের সর্বৈব গুণে সমুন্নত করেছেন।
