ক্ষেত্রমণির পরিচয় দাও

ক্ষেত্রমণির পরিচয় দাও


ক্ষেত্রমণির পরিচয় দাও
ক্ষেত্রমণির পরিচয় দাও

উত্তর ক্ষেত্রমণি  কৃষক কন্যা ক্ষেত্রমণি নাটকে সামান্য সময় বিচরণ করলেও তার ট্র্যাজেডি নাটকটিকে বিশেষ সাফল্য দিয়েছে। সে পরিবারের একমাত্র সন্তান, পিতামাতা ও পিতৃব্যের স্নেহমমতায় তার মানস বর্ধিত। সে সদ্য বিবাহিতা। 

পারিবারিক জীবনে স্নেহের সাথে স্বামী প্রেম যুক্ত হওয়ায় তার জীবন হয়ে উঠেছে রসসমৃদ্ধ। তার স্বামীপ্রেম যে কত সত্য ছিল, তা তার নারীধর্ম রক্ষার শক্তির মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। রোগের লাম্পট্যে সে জীবনে নির্মম ও ভয়ঙ্কর বাস্তবতার সম্মুখীন হয়। 

একান্ত অভ্যস্ত জীবনের সাথে তার এ বাস্তবতার বিশাল বৈষম্য, ফলে তার সহজাত প্রবৃত্তি বিকশিত হয় এবং নারীধর্ম রক্ষায় প্রবৃত্ত হয়। তার সংলাপে চরিত্রের বিশেষত্বটি স্পষ্ট।

ক্ষেত্র ঃ ময়রা পিসি, মোরে এমন কথা বল না, মুই পরান দিতি পারবো, ধর্ম্ম দিতি পারবো না, মোরে কেটে কুচি কুচি কর, মোরে পুড়য়ে ফেল, ভেসয়ে দাও, পুঁতে রাখ, মুই পরপুরুষ ছুঁতি পারবো না।

নারীত্ব রক্ষার্থে ক্ষেত্রমণির শেষ আহাজারি আজও আমার কানে বাজে-“ও সাহেব মুই তোমার মা, মোরে ন্যাংটো করো না, তুমি মোর ছেলে, মোর কাপড় ছেড়ে দাও—"পশু রোগের হাত হতে নারীত্ব রক্ষা করতে গিয়ে সে তার ভবিষ্যৎ প্রাণের নিধি গর্ভজাত সন্তানকে হারায়। 

aরোগ তার পেটে লাথি মারায় তার গর্ভপাত হয়। নবীন মাধব তোরাপের সহযোগিতায় তাকে রোগের হাত হতে উদ্ধার করে বটে, কিন্তু সে অস্থির যন্ত্রণায় বিছানায় ছটফট করে করে শেষ পর্যন্ত মারা যায় ।





Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ