কর্মমুখী শিক্ষা রচনা jsc, SSC, hsc | কর্মমুখী শিক্ষা রচনার ২০ পয়েন্ট

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কর্মমুখী শিক্ষা রচনার ২০ পয়েন্ট জেনে নিবো। তোমরা যদি কর্মমুখী শিক্ষা রচনা hsc টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কর্মমুখী শিক্ষা রচনা ssc  টি।

কর্মমুখী শিক্ষা রচনা SSC  কর্মমুখী শিক্ষা রচনা HSC
কর্মমুখী শিক্ষা রচনা SSC  কর্মমুখী শিক্ষা রচনা HSC

এই কর্মমুখী শিক্ষা রচনা টি যেকোন ক্লাসের জন্য প্রযোজ্য। তোমরা যারা SSC বা HSC তে পড়ো তারা খুব ভালো ভাবে পড়ে নিবা। নিজের ভিতরে যতক্ষন এই কর্মমুখী শিক্ষা রচনা টি ডুকেনি ততক্ষন তোমরা পড়তেই থাকবে। নিচে থেকে পড়ে নাও কর্মমুখী শিক্ষা রচনা। 

কর্মমুখী শিক্ষা রচনা

সূচনা: শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া জীবন অপূর্ণ। কিন্তু যে শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে ল শিক্ষা অর্থহীন। এ ধরনের শিক্ষায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বােঝা বাড়ে। তাই জীবনভিত্তিক শিক্ষাই প্ৰকত। শিক্ষা। আর জীবনের সাথে সম্পৃক্ত যে শিক্ষা সেটই কমমুখা শিক্ষা। একমাত্র কর্মমুখী শিক্ষাই হচ্ছে আমাদের বাস্তব জীবনের সহায়ক।

কর্মমুখী শিক্ষা কী: কর্মমুখী শিক্ষা হচ্ছে একজন ব্যক্তিকে তার আত্মপ্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার লক্ষ্যে বিশেষ কোনাে কর্মে প্রশিক্ষিত করে তোলা। অর্থাৎ যে শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ কোনাে একটি বিষয়ে হাতেলাভ করে এবং শিক্ষা শেষে জীবিকার্জনের যােগ্যতা অর্জন করে, তাকেই কর্মমুখী শিক্ষাকে কারিগরি বা বৃত্তিমূলক শিক্ষাও বলা হয়ে থাকে। 

কর্মমুখী শিক্ষার প্রকারভেদ: কর্মমুখী শিক্ষা আঙ্গিক শিক্ষা নয় জীবনমুখী শিক্ষার পরিমণ্ডলেই তার অবমান। তাই পরিপূর্ণ ও সামগ্রিক জীবনবােধের আলােকে কর্মজী শিক্ষা দই গেল বিভক্ত। একটি হলাে- কর্মমুখী শিক্ষা। এটিতে যারা বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী তলা - কিভন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তরত্র অর্জন করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ ইত্যাদি স্বাধীন পেশা গহণ লতে পারে। চাকরির আশায় বসে থাকতে হয় না। আরেকটি হলাে - সাধারণ কর্মমুখী শিক্ষা। এর জন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচশমার দরকার হয় না। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষাই যথেষ্ট। সাধারণ কর্মমুখী শিক্ষার মধ্যে পড়ে কামার, কুমার, তাতি, পা, কলকারখানার কারিগর মােটরগাড়ি মেরামত, ঘড়ি-রেডিও-টিতি.upজ মেরামত, ছাপাখানা ও। বঁধাইয়ের কাজ, চামড়ার কাজ, গ্রাফিক্স আর্টস, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, কাঠমিচিত্র, রাজমিচিত্র, মৎস্য চাষ, হাঁসমুরগি পালন, নার্সারি , ধাত্রীবিদ্যা ইত্যাদি। এ শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কারােরই বেঁচে থাকার জন্য ভাবতে হয় না।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা: মানুষের মেধা ও মননকে বিকশিত করার জন্য প্রয়ােজন শিক্ষার। তাই মানুষকে সেই শিক্ষাই গ্রহণ করা উচিত, যে শিক্ষা তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনধারার উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের অশিক্ষা ও অপরিকল্পিত পুঁথিগত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে প্রায় দেড় কোটি লােক কর্মহীন। এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে জীবন সম্পৃক্ত ও উপার্জনক্ষম কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন জরুরি। কর্মমুখী শিক্ষা আত্মকর্মসংস্থানের নানা সুযােগ সৃষ্টি করে। ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করে তােলে। এ শিক্ষা ব্যক্তি ও দেশকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমােচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কর্মমুখী শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তিকে আমরা বিদেশে। পাঠিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও কর্মমুখী। শিক্ষাব্যবস্থাকে শিল্প, বিজ্ঞান, কারিগরি উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের উপযােগী করে তােলা অনিবার্যভাবে। প্রয়ােজনীয় হয়ে পড়েছে।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার: ও কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব আজ সর্বত্র স্বাকৃত। এর মাধ্যমে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা পেশাগত কাজের যােগ্যতা অর্জন করে এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে কর্মক্ষেত্রে যােগ দেয়। কর্মমুখী শিক্ষা প্রসার ও উৎকর্ষ সাধন বিনা কোনাে জাতির কৃষি, শিল্প, কল-কারখানা, অন্যান্য উৎপাদন এবং কারিগরি ক্ষেত্রে উনতি সব নয়। বাজাদেশে কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র যে সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশে পাশ .. .। এক কষি বিশ্ববিদ্যালয়। পলিটেকনিক ও ভােকেশনাল জোন, হনমিটউট, লেদার এ টকনােলজি কলেজ, গ্রাফিক্স আর্টস্ কলেজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলাে কর্মমুখী শিক্ষা প্রসারে ভুমিকা : রাখছে। কিন্তু প্রয়ােজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। তাই আমাদের দেশে সরকার ও জনগণের সক্রিয় প্রচেষ্টায় ।

অনেক কর্মমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তােলা দরকার। বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে কর্মমুখী শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।  এর মধ্যে স্কুল ও মাদরাসায় নবম ও দশম শ্রেণিতে বেসিড ট্রেড কোর্স চালু, কৃষিবিজ্ঞান, শিল্প, সমাজকল্যাণ ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত; পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডবল শিফট চালু ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।

উপসংহার: বাংলাদেশ বিপুল জনসংখ্যার দেশ। কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে এ জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। দক্ষ জন শক্তি দেশের সম্পদ উনয়নের মল চাবিকাঠি। তাই আমাদের দেশে অত্যন্ত গরতের সাথে। ব্যাপকভাবে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানাে দরকার।

কর্মমুখী শিক্ষা রচনা

ভূমিকা: শিক্ষাই মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায় । শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানের আলো দান করে, সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করে, মানুষে মানুষে সম্প্রীতি বাড়ায় এবং সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে করে সমৃদ্ধ। তাই শিক্ষাকে জীবনের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয়। জীবনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষাই কর্মমুখী শিক্ষা । আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন— ‘আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার সঙ্গে জীবনের কোনো সংযোগ নেই।' বাস্তবিকই প্রচলিত শিক্ষা আমাদের জীবনকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে না। আজ পৃথিবী দ্রুতবেগে এগিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার সাথে কর্মমুখী শিক্ষার ফলেই তা সম্ভব হচ্ছে।

কর্মমুখী শিক্ষার বৈশিষ্ট্য: যে শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ কোনো একটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষালাভ করে জীবিকার্জনের যোগ্যতা অর্জন করে, তাই কর্মমুখী শিক্ষা। অর্থাৎ বৃত্তিমূলক বা কর্মমুখী শিক্ষার অর্থ হচ্ছে একজন ব্যক্তিকে বিশেষ বৃত্তি বা কর্মে প্রশিক্ষিত করে তোলা । শিক্ষাকে হতে হবে আত্মপ্রতিষ্ঠায় সহায়ক। অন্যথায় সে শিক্ষা হবে নিরর্থক। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশে বেকার সমস্যার সমাধান দিতে পারছে না। তাই দিনদিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষা চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন ।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রকারভেদ: কর্মমুখী শিক্ষা দ্বিবিধ। একটি হলো ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং কৃষিবিদ যাঁরা বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রশিক্ষণ নিয়ে উচ্চ ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁরা ইচ্ছেমতো স্বাধীন পেশায় নিয়োজিত হতে পারেন। চাকরির আশায় তাঁদের বসে থাকতে হয় না। অন্যটি হলো সাধারণ কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা। এ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না। সাধারণত প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক শিক্ষাই যথেষ্ট। এ শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কারোরই খাওয়া-পরার ব্যাপারে ভাবতে হয় না। এ জাতীয় শিক্ষার মধ্যে ধাত্রীবিদ্যা, সেলাইকাজ, কাঠমিস্ত্রির কাজ, দর্জির কাজ, ছাপাখানার কাজ, বই বাঁধাই, বিদ্যুতের কাজ, টেলিভিশন-বেতার-মোটর মেরামতের কাজ, ওয়েল্ডিংয়ের কাজ, কারখানায় শ্রমিকের কাজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এখনো পরাধীন যুগের। এখনো ব্রিটিশদের কেরানি বানাবার শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত। কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ এখনও হয়নি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের কথা ওঠে ঠিকই, কমিশনও গঠিত হয়, এর রিপোর্টও প্রকাশিত হয় কিন্তু বাস্তবে তা প্রয়োগ করা হয় না। অবশ্য শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে দেশে মাধ্যমিক স্তরে 'এসবিএ' চালু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের ৪৮ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণদানের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু। এর লক্ষ্য বাস্তবতার আলোকে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাদান। এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাব্রতীদের অধিক সচেতন হতে হবে। কিন্তু আমাদের মনমানসিকতা সেই পুরোনো আমলের অযথা অহংকারের আভিজাত্য ত্যাগ করতে পারছে না। ফলে অনেক শিক্ষিত যুবক অভিশপ্ত বেকার জীবনযাপন করছে। গতানুগতিক গ্রন্থগত শিক্ষাব্যবস্থা ডিগ্রিধারী শিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি করছে বটে, কিন্তু তা কর্মভিত্তিক না হওয়াতে ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে না। ফলে দেশ আজ ধীরে ধীরে অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে কর্মমুখী শিক্ষা প্রবর্তন অত্যাবশ্যক ।

যায় কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব: কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা প্রায়, বহুবিধ। এ শিক্ষা গ্রহণের পর একজন শিক্ষার্থীকে চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এ শিক্ষা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে। দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দারিদ্রমোচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এ শিক্ষা । এ শিক্ষা রুজি-রোজগারের পথ খুলে দেয় এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেয়। কর্মমুখী শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তিকে আমরা বিদেশে পাঠিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। তাই কর্মমুখী শিক্ষার আরও ব্যাপক প্রসার হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ জনবসতিপূর্ণ একটি দরিদ্র দেশ। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জনসংখ্যাকে কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে শিল্প, বিজ্ঞান, কারিগরি উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের উপযোগী করে তুললে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও বেকার সমস্যার সমাধান হবে। কর্মমুখী শিক্ষার ওপর যত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তত সুদৃঢ় হবে। তাই আমাদের উচিত এ শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা।

বাংলাদেশে কর্মমুখী শিক্ষার স্বরূপ: একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, বিশ্বায়নের এ যুগে বিশ্বের সাথে সমান পদবিক্ষেপে চলতে জনগণকে জনশক্তিতে রূপান্তরের বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে, দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে সরকার সারাদেশে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১২৮ টি কারিগরী 1 (ভোকেশনাল) স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন পর্যন্ত সরকারি পলিটেকনিক ■ ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ৪৯টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা কোর্স পাস করেন। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র ১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৮০)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর মাত্র ৬৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেন। কর্মমুখী শিক্ষায় উচ্চশিক্ষার অপ্রতুলতা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর নিম্নমুখী মান সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনাকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে। ফলে, আশানুরূপ ও মানসম্পন্ন প্রকৌশলী সৃষ্টি হচ্ছে না, প্রভাব পড়ছে সর্বক্ষেত্রে

কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার: দেশের ও জাতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টায় অধিক পরিমাণ কর্মমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন । | বিশেষ করে কৃষিকার্যে সহায়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ওপর অধিক জোর দিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কোর্সে উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে আমাদের তরুণ বেকারদের সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন কুটিরশিল্প, বয়নশিল্প, ডেইরিশিল্পের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন । তাছাড়া পাটকল, চিনিকল, ইস্পাতশিল্প, জাহাজশিল্প ইত্যাদিতে দক্ষ কারিগর হিসেবে কাজ করতে পারে, এমন সহায়ক কর্মমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ওপরও জোর দিতে হবে। কর্মমুখী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যুগোপযোগী নতুন নতুন বিষয়ে শিক্ষা প্রবর্তন করতে হবে ।

উপসংহার: বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। এ যুগে কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র কর্মমুখী শিক্ষাই দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে। শিক্ষার উদ্দেশ্য শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ সাধন। সাধারণ শিক্ষায় মানসিক বিকাশ ঘটে আর কর্মমুখী শিক্ষায় শারীরিক উন্নতি আসে। এমনি করে জীবনের সাথে শিক্ষার সমন্বয় হয়ে জীবন হয় সমৃদ্ধ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ কর্মমুখী শিক্ষা রচনা SSC | কর্মমুখী শিক্ষা রচনা HSC

বন্ধুরা আজকে তাহলে জানলাম কর্মমুখী শিক্ষা রচনা SSC | কর্মমুখী শিক্ষা রচনা HSC যদি আমাদের আজকের এই কর্মমুখী শিক্ষা রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে তোমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন। আর এই রকমই নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান এর সাথে থাকুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ