অধ্যবসায় রচনা ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯ | অধ্যবসায় রচনার উক্তি

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য অধ্যবসায় রচনা নিয়ে আসছি। তোমাদের এই অধ্যবসায় রচনা টি খুব কাজের দিবে। কারন তোমরা যদি কোনো কাজে সফলতা না পাও তাহলে তোমরা এই অধ্যবসায় রচনা টি পড়ে নিবে। 

অধ্যবসায় রচনা ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯  অধ্যবসায় রচনার উক্তি
অধ্যবসায় রচনা ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯  অধ্যবসায় রচনার উক্তি

তাহলে তোমদের মনে একটা শক্তি জাগবে যে এই কাজটাই আমাকে সফলতা পাওয়ায় লাগবে। তো চলুন বন্ধুরা আমরা অধ্যবসায় রচনা টি পড়ে নেই।

অধ্যবসায় রচনা

সূচনা: ব্যর্থতা কেউ চায় না। সবাই সাফল্য খোজে। কিন্তু কেউই সব কাজে একবারে সফল হয় না। সফলতার জন্য বারবার চেষ্টা করতে হয়। কোনাে কাজে সাফল্য লাভের জন্য বারবার এই চেষ্টার নামই অধ্যবসায়। অধ্যবসায় ছাড়া জীবনে উন্নতি লাভ করা যায় না। অধ্যবসায়ই হচ্ছে মানব সভ্যতার অগ্রগতির চাবিকাঠি।

অধ্যবসায় কী: অধ্যবসায় শব্দের আভিধানিক অর্থ অবিরাম সাধনা, ক্রমাগত চেষ্টা। কোনাে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানাের জন্য অবিরাম সাধনা বা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াকে বলে অধ্যবসায়। ব্যর্থতায় নিরাশ না হয়ে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্যের সাথে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছানাের মধ্যেই অধ্যবসায়ের সার্থকতা নিহিত।

অধ্যবসায়ের প্রয়ােজনীয়তা: ব্যর্থতাই সফলতার প্রথম সােপান। ব্যর্থতা থেকে সাধনার শুরু, আর সফলতার মাধ্যমে তার শেষ। তাই মানবজীবনে সাধনা বা অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। অধ্যবসায়ী মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে। এমনকি অধ্যবসায়ের গুণেই মানুষ পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করতে পারে। তাই মানবজীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম। 

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়: ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ছাত্রজীবনই ভবিষ্যৎ গড়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ মানবজীবনই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। যে ছাত্র অধ্যবসায়ী, সাফল্য তার। নয়। অলস ছাত্র-ছাত্রী মেধাবী হলেও পড়াশােনায় কখনাে সফল হতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায় ছাড়া কোনাে কাজেই জয়ী হওয়া যায় না। ছাত্রজীবনেই এই সা গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে কবি কালী প্রসন্ন ঘােষের বিখ্যাত উক্তিঃ

পারিব না একথাটি বলিও না আর, 
কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার,
পার কি না পার কর যতন আবার। 
একবার না পারিলে দেখ শতবার।

অধ্যবসায় ও প্রতিভা: অধ্যবসায় প্রতিভার চেয়ে অনেক বড়। মনীষী ভলতেয়ারের ভাষায়, প্রতিভা বলে কোনাে কিছু নেই। পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও তাহলে প্রতিভাকে অগাহা করতে পারবে। ' ডালটন বলেছেন, লােকে আমাকে প্রতিভাবান বলে; কিন্তু আমি পরিশ্রম ছাড়া আর কিছু জানি না।' বিজ্ঞানী নিউটনের ডাক, “আমার আবিষ্কার প্রতিভা-প্রসূত নয়, বহু বছরের অধ্যবসায় ও নিরবচ্ছিন সাধনার ফল।' এ থেকেই বােঝা। যায় , অধ্যবসায় ও পরিশ্রম ছাড়া শুধু প্রতিভার কোনাে মূল্য নেই। প্রতিভাবান ব্যক্তিরা অধ্যবসায় দ্বারাই নিজের কাজকে সুসম্পন্ন করে তােলেন। আবার অধ্যবসায়ের দ্বারা অনেকে প্রতিভাবান হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।

অধ্যবসায়ের উদাহরণ: পৃথিবীতে যেসব মনীষী সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরােহণ করে অমরত্ব লাভ করেছেন, তারা সকলেই ছিলেন অধ্যবসায়ী। স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রস ও ফ্রান্সের বিখ্যাত ঐতিহাসিক কালাইল। অধ্যবসায়ের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। রবার্ট ব্রুস বারবার ইংরেজদের কাছে পরাজিত হয়েও যুদ্ধ-জয়ের আশা ও চেষ্টা ত্যাগ করেন নি। ষষ্ঠবার পরাজিত হয়ে তিনি যুদ্ধ চিন্তায় মগ্ন আছেন, এমন সময় দেখতে পেলেন একটি মাকড়সা বারবার কড়িকাঠে সুতা বাধবার চেষ্টা করছে এবং ব্যর্থ হচ্ছে। এইভাবে ছয়বার ব্যর্থ হয়ে সপ্তমবারে মাকড়সাটি সফল হলাে। এই দেখে রবার্ট ব্রুসও সপ্তমবার যুদ্ধ করে ইংরেজদের পরাজিত করেন এবং স্কটল্যন্ডের ওপর নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন। মনীষী কার্লাইল তার লেখা ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাসের পাণ্ডুলিপি এক বন্ধুকে পড়তে দিয়েছিলেন। বন্ধুর বাড়ির কাজের মহিলা সেটিকে বাজে কাগজ ভেবে পুড়িয়ে ফেলেন। কার্লাইল এতে একটুও দমে যান নি। তিনি আবার চেষ্টা করে বইখানা লিখে বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছিলেন। সম্রাট নেপােলিয়ান, আব্রাহাম লিঙ্কন, ক্রিস্টোফার কলম্বাস প্রমুখ মনীষীর জীবনও অধ্যবসায়ের এক বিরাট সাক্ষ্য। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় অধ্যবসায়ের গুণেই আজ বিশ্ববিখ্যাত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য অধ্যবসায়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা বাঙালিমাত্রই তাদের জন্য গর্বিত।

উপসংহার: অধ্যবসায় হচ্ছে জীবনসংগ্রামের মূল প্রেরণা। এ সংগ্রামে সফলতা ও ব্যর্থতা উভয়ই সমানভাবে। গরতপর্ণ। তবে অধ্যবসায়ী মানুষ জীবনের সব ব্যর্থতাকে সাফল্যে পরিণত করতে পারে। তাই নির্দিধায় বলা যায়, জীবনে সাফল্যের জন্য অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই।

অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

ভূমিকা: কর্ম ও সাধনায় সাফল্য লাভের জন্য বারবার চেষ্টা বা সংগ্রাম করার নামই অধ্যবসায়। অধ্যবসায় সংগ্রামী জীবনের প্রধান হাতিয়ার। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আদিম মানুষ সভ্য হয়েছে অধ্যবসায়ের সংগ্রামী শক্তির দ্বারা। বিশ্বসভ্যতার বিকাশে অন্যতম মানবিক গুণ হচ্ছে অধ্যবসায়। অধ্যবসায়ের বলেই মানুষ অসম্ভবকে নিজ আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয়েছে।

অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা: অধ্যবসায় মানবজীবনের সংগ্রামের মূল প্রেরণা ও চালিকাশক্তি। সংগ্রামে জয় আছে, আছে পরাজয়। কিন্তু পরাজয়ই শেষ কথা নয়, পরাজয় হচ্ছে নতুন জয়ের সোপান। অতএব ধৈর্য ধরো, ধৈর্য ধরো, বাঁধো বাঁধো বুক।' বারবার চেষ্টার ফলেই মানুষের ভাগ্যাকাশে ওঠে সাফল্যের ধ্রুবতারা। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, ‘Failure is the pillar of success. অধ্যবসায়ের গুণেই মানুষ ব্যর্থতাকে জয় করে, অসাধ্যকে জয় করতে পারে। জগতে বড়ো বড়ো শিল্পী, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, সেনানায়ক, ধর্মপ্রবর্তক সবাই ছিলেন অধ্যবসায়ী। তাই মানবজীবনের প্রতিটি স্তরে অধ্যবসায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ছাত্রজীবনেও সফলতা অর্জনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। গভীর আত্মপ্রত্যয় সহকারে অবিরাম অনুশীলন করলে দুরূহ বিষয়ও আয়ত্তে এসে যায়। এ রকম প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবিচল অধ্যবসায় মানুষকে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দেয়। মানবসভ্যতার শুরু থেকে যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, আজও তার শেষ হয়নি। এ সংগ্রামই মানুষের অভিজ্ঞানপত্র। জীবনযুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে প্রয়োজন সাহস ও অধ্যবসায় । এ শক্তিই মানুষের এক মহৎ চারিত্রিক লক্ষণ । অধ্যবসায়ী হতে হলে চাই ধৈর্য ও দৃঢ়চিত্ততা। যারা দৃঢ়চিত্ত, অধ্যবসায় তাদেরই চরিত্রের এক মহৎ মানবিক গুণ। শান্তচিত্তে প্রতিকূলতাকে জয় করার মূলে আছে অধ্যবসায়। অন্য মানবিক সদ্‌গুণের মতোই জীবনে অধ্যবসায়ের পরিচর্যা প্রয়োজন । নিরন্তর অনুশীলনেই এ গুণের বিকাশ।

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়: ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন সর্বাধিক। ছাত্ররা সমাজের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। অধ্যবসায়ী শিক্ষার্থী অল্প মেধাশক্তিসম্পন্ন হলেও সাফল্য লাভ করতে পারে। কাজেই অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে হতাশ না হয়ে পুনরায় দ্বিগুণ উৎসাহে অধ্যয়নে মনোনিবেশ করা উচিত। কারণ অধ্যবসায়ই পারে ব্যর্থতার গ্লানি মুছে দিয়ে সাফল্যের পথ দেখাতে । প্রবাদ আছে— গাইতে গাইতে গায়েন। অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী যেকোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে ।

অধ্যবসায় ও প্রতিভা: অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী না হলে বড় কাজ সাধন করা যায় না- এমন ধারণা পোষণ করা মোটেও উচিত নয়। কারণ অধ্যবসায় ও পরিশ্রম ব্যতীত শুধু প্রতিভায় কাজ হয় না। জগতে বহু বিখ্যাত লোক জন্মেছেন, যাঁরা প্রতিভাবান অপেক্ষা অধ্যবসায়ীই ছিলেন বেশি। ভলটেয়ার বলেছেন— 'প্রতিভা বলে কিছু নেই। পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও । তাহলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।'

অধ্যবসায়ের ভূমিকা: পৃথিবীর প্রতিটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পশ্চাতে রয়েছে অধ্যবসায়ের উজ্জ্বল ভূমিকা। মানুষ বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে দূর করেছে আঁধার, বিমান আবিষ্কার করে জয় করেছে আকাশ, রকেটের সাহায্যে অর্জন করেছে চন্দ্রবিজয়ের গৌরব। আর এসব সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে মানুষের যুগ-যুগান্তরের সাধনা ও অবিরাম অধ্যবসায় ।

মানবজীবনে অধ্যবসায়: ধৈর্যশীল ও অধ্যবসায়ী ব্যক্তিরাই মানবজন্মকে সার্থক করে তুলতে পারেন। অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়েই মনীষীরা কর্মের পথে এগিয়ে গেছেন অবিচল নিষ্ঠায়। তাঁদের জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কত কালবৈশাখি। তাঁরা জীবনে সয়েছেন কত লাঞ্ছনা। চরম ত্যাগ ও ধৈর্যের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য নামক অমৃতের পাত্র তাঁরা তুলে দিয়েছেন মানুষের হাতে। নিজেরা পান করেছেন জীবন মন্থনের গরল। সেই নীলকণ্ঠ মহামানবের পুণ্যস্পর্শে সাধারণ মানুষের জীবন ধন্য হয়েছে। রাজার দুলাল গৌতম বুদ্ধও একদিন জীবনের সত্য সন্ধান করতে গিয়ে সুখের স্বর্ণসিংহাসন থেকে নেমে এলেন পথের ধুলায়। সেদিনও কি কপিলাবস্তুর রাজপুরীতে কম ঝড় উঠেছিল? প্রতিকূলতাকে তিনি জয় করেছিলেন অসীম আত্মত্যাগ আর তিতিক্ষায়। অধ্যবসায়ই ছিল তাঁর সেদিনের মন্ত্র। পৃথিবীতে একদিন শান্তি ও মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন মহানবি হজরত মুহম্মদ (স.)। মুক্তিমন্ত্রে উজ্জ্বীবিত এই মহাপুরুষের । 

মানুষের জীবনেও কি দুঃখকষ্টের আঘাত কম ছিল?, সহনশীলতা জীবনকে যে কী পরিমাণে সত্যের আলোকে উদ্ভাসিত করতে পারে, তাঁদের জীবনই। তার প্রমাণ। করুণা-সাগর বিদ্যাসাগরের সমুন্নত মহিমা সহিষ্ণুতার আদর্শেই প্রোজ্জ্বল। এছাড়া সাহিত্য-শিল্প-বিজ্ঞান সাধনায়ও মানুষের অধ্যবসায়ের তুলনা নেই। ম্যাক্সিম গোর্কি, দস্তয়েভস্কি জীবনে কি কম দুঃখ পেয়েছিলেন? রবীন্দ্রনাথও কি কম নিন্দা-সমালোচনার বাক্যবাণে জর্জরিত হয়েছিলেন? 

চরম দারিদ্র্য, হতাশার মধ্যেও কত কবি-সাহিত্যিক সুন্দরের আরাধনা করে গেছেন। এমনই কত বিজ্ঞানীকেও বারবার অধ্যবসায়ের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে। বিজ্ঞানী গ্যালিলিও, মাইকেল ফ্যারাডে, লুই পাস্তুর, মাদাম কুরি, নিউটন, আইনস্টাইন এঁদের জীবনেও এসেছে কত প্রতিকূলতার আঘাত। মাইকেল এঞ্জেলো, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মতো শিল্পীর জীবনও নানা ঘাত-প্রতিঘাতে হয়েছে সংক্ষুব্ধ। তবু তাঁরা পরাজিত হননি। বরং এসব প্রতিকূলতাকে জয় করে অর্জন করেছেন সাফল্য। কারণ অধ্যবসায়ের প্রদীপ্ত আদর্শই ছিল তাঁদের সৃষ্টির প্রেরণা যুগে যুগে অভিযাত্রীরাও মৃত্যুর ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে আবিষ্কার করেছেন নতুন নতুন দেশ। দুর্গম পর্বত শিখরে রেখে এসেছেন জয়ের নিশান। 

অধ্যবসায়ী ছিলেন বলেই সম্রাট নেপোলিয়ন এমন দৃঢ়কণ্ঠে বলতে পেরেছিলেন, ‘অসম্ভব' শব্দটি কেবল নির্বোধের অভিধানেই পাওয়া যায়। স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুস অধ্যবসায়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন । ইংরেজদের সঙ্গে পর পর ছয় বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি ভগ্নহৃদয়ে বনে পালিয়ে যান। একদিন এক পরিত্যক্ত দুর্গে তিনি চিন্তায় মগ্ন ছিলেন । এমন সময় তিনি দেখতে পেলেন, একটা মাকড়সা বারবার একটি স্তম্ভের গায়ে ওঠার চেষ্টা করছে, কিন্তু খানিকটা উঠেই পড়ে যাচ্ছে। ছয় বার চেষ্টার পর সপ্তম বারে সে স্তম্ভগাত্রে উঠতে সমর্থ হলো। সামান্য একটি প্রাণীর এরূপ অদম্য প্রচেষ্টা এবং সাফল্য লাভের দৃশ্য রবার্ট ব্রুসকে অশেষ প্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি পুনরায় সৈন্য সংগ্রহ করে শত্রুর হাত থেকে স্বদেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছিলেন ।

উপসংহার: অধ্যবসায়ই মানুষকে পৃথিবীতে সুফল জীবনের অধিকারী করতে পারে। করতে পারে স্মরণীয়-বরণীয়। তাই প্রতিটি মানুষকে হতে হবে অধ্যবসায়ী। যারা সংকল্পে অটল, জীবন যাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের কাছে অসাধ্য বলে কিছুই নেই। একমাত্র অধ্যবসায়ের গুণেই মানুষ নিজের জীবনকে সুষমামণ্ডিত করে দেশ ও জাতির নিকট স্মরণীয়-বরণীয় হতে পারে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অধ্যবসায় রচনা ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯ | অধ্যবসায় রচনার উক্তি 

বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম অধ্যবসায় রচনা ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯ | অধ্যবসায় রচনার উক্তি গুলো সম্পর্কে। যদি এই অধ্যবসায় রচনা টি তোমাদের ভালো লাগে তাহলে নিজের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন আর এই রকমই নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাইট টি প্রতিদিন ভিজিট করুন। অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট, অধ্যবসায় রচনা ২০০ শব্দ, অধ্যবসায় রচনা ৩০ পয়েন্ট, অধ্যবসায় রচনা ১০ পয়েন্ট, অধ্যবসায় রচনার ২০ পয়েন্ট, অধ্যবসায় রচনা ২৫ পয়েন্ট, দ্বাদশ শ্রেণির অধ্যবসায় রচনা, অধ্যবসায় রচনা 20 পয়েন্ট

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ