আযানের পরের দোয়া বাংলা | আজান দেওয়ার নিয়ম | আযানের জবাব

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা । আজকের ব্লগ পোস্টের বিষয় হলো আযানের পরের দোয়া, আযান দেওয়ার নিয়ম, আযানের জবাব, আজানের দোয়া বাংলা। আপনারা যদি আযান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্ট টি আপানকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আযানের পরের দোয়া  আযান দেওয়ার নিয়ম  আযানের জবাব
আযানের পরের দোয়া  আযান দেওয়ার নিয়ম  আযানের জবাব

এই পোস্ট থেকে আমরা যা জানবো আযানের দোয়া, আযান দেওয়ার নিয়ম, আযানের জবাব ও ফজীলত, আযানের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো।

আযানের দোয়া | আযানের পরের দোয়া বাংলা | azan er dua

اللهم رب هذه الدعوي التامة . واللوة القائمةات سید تا محمدن الوسيلة والفضيلة والدرجة الرفيعة . وابعه مقام محمودن الذي وعدته . انك تخلف الميعاد .
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বা হাযিহিদ্দা'ওয়াতি তাম্মাতি, ওয়াছছালাতিল কায়িমাতি আতি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদ্বীলাতা ওয়াদ্দারাজাতার রাফীআ'তা ওয়াবআ’সহু মাক্কামা মাহমূদানিল্লাযী ওয়া আত্তাহু, ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মীআ'দ।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি এ পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাযের প্রভু। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাকে উসীলা এবং সমস্ত সৃষ্টির মাঝে মর্যাদা দান কর এবং তাঁকে ঐ প্রশংসিত স্থান দান কর যা তার জন্য তুমি | ওয়াদা করেছ। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ কর না অঙ্গীকার।

আযান দেওয়ার নিয়ম এবং বাক্যসমূহ | আযান আরবিতে | ajan bangla | আযানের পরের দোয়া | আযান দেওয়ার নিয়ম | আযানের জবাব

আযান দেয়ার সুন্নাত তরীকা হলাে মুয়াযযিনের গােসলের প্রয়ােজন হলে গােসল করবে এবং ওযূ না থাকলে ওযু করে মসজিদের বাইরে একটু উঁচু জায়গায় কেবলার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে দু'হাতের শাহাদাত আঙ্গুল দু’কানের ছিদ্রের ভেতর রেখে যথাসম্ভব উচ্চ আওয়াজে খােশ এলহানের সাথে (আল্লা-হু আকবার আল্লাহু আকবার) (আল্লাহ সর্বাপেক্ষা বড়, আল্লাহ সর্বাপেক্ষা বড়) বলে শ্বাস ছাড়বে এবং এ পরিমাণ সময় অপেক্ষা করবে যাতে শ্রোতারা উত্তর দিতে পারে । 

তারপর আবার বলবে (আল্লা-হু আকবার আল্লাহু আকবার) তারপর শ্বাস ছেড়ে দেবে । পরে বলবে (আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ) শ্বাস ছেড়ে আবার বলবে, (আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ)-অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। 

তারপর শ্বাস ছেড়ে দেবে। অতঃপর বলবে - (আশহাদু আন্না | মুহাম্মাদার রাসূলুল্লা-হ অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া। 

মুহাম্মাদার রাসূলুল্লা-হ অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল তারপর শ্বাস ছেড়ে আবার বলবে (হাইয়্যা আলাছ ছলা-হ) অর্থাৎ সকলে নামাযের দিকে আস। এরপর শ্বাস ছেড়ে পুনরায় ডান দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলবে (হাইয়্যা ‘আলাছ ছলা-হ) অতপর শ্বাস ছেড়ে বাম। 

দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলবে  (হাইয়্যা আলাল ফালা-হ) কল্যাণের দিকে আস। তারপর শ্বাস ছেড়ে বাম দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলবে , (হাইয়্যা আলাল ফালা-হ)। এরপর কেবলামুখী হয়ে শ্বাস ছেড়ে বলবে GUI GUI (আল্লা-হু আকবার আল্লাহু আকবার)- অর্থাৎ আল্লাহ সর্বাপেক্ষা বড়, আল্লাহ সর্বাপেক্ষা বড়। সর্বশেষ বসবে।

(লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ)-অর্থাৎ এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই । ফজরের আযানে দ্বিতীয়বার (হাইয়্যা আলাল ফালা-হ) বলার পর শ্বাস ছেড়ে কিবলার দিকে মুখ রেখে বলবে (আছছালা-তু খাইরুম মিনান্নাউ-ম) অর্থাৎ ঘুম থেকে নামায উত্তম । 

তারপর পুনরায় শ্বাস ছেড়ে কিবলার দিকে মুখ রেখে বলবে  আছছলা-তু খাইরুম মিনান্নাউ-ম) এরপর (আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার) । (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ) বলে আযান সমাপ্ত করবে। আযানের মধ্যে মােট ১৫টি বাক্য এবং ফজরের আযানে ১৭টি বাক্য। 

গানের সুরে বা উঁচু নীচু শব্দ করে আযান দেবে না। যথাসম্ভব টেনে লম্বা করে আওয়াজ উচ্চ করে আযান দেবে কিন্তু যেখানে যবরের সাথে আলিফ বা খাড়া যৰর নেই সেখানে টানবে না। যেখানে আলিফ, খাড়া যবর বা মদ আছে সেখানে টানবে। 

এ সম্বন্ধে শিক্ষকের নিকট থেকে শিখে নেবে। শব্দ এত উচ্চ করবে না ৰা এত লম্বা টানবে না যে, নিজের কষ্ট হয় । (জুময়ার দ্বিতীয় আযান অপেক্ষাকত ছােট আওয়াযে হওয়া উচিৎ; কেননা, ওই আযান দিয়ে কেবল উপস্থিত লােকদেরকে সর্তক করা হয়।

আযান ও ইকামাতের উত্তরে যা বলতে হয়

নারী পুরুষ, পাক নাপাক যেই হােক, আযান শুনলে তার জন্য আযানের উত্তর দেয়া মুস্তাহাব। আবার অনেকে ওয়াজিবও বলেছেন কিন্তু অনেকে আবার মুস্তাহাব। কওলকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, আযানের উত্তর দু'প্রকার। প্রথমতঃ মৌখিক উত্তর, দ্বিতীয়তঃ ডাকে সাড়া দিয়ে মসজিদের

জামাআতে যােগ দিয়ে কাজের মাধ্যমে উত্তর দেয়া। মৌখিক উত্তর দেয়। মুস্তাহাব। কিন্তু কাজের মাধ্যমে উত্তর দেয়া ওয়াজিব। এখানে মৌখিক উত্তরের বিষয়ই বলা হচ্ছে। মৌখিক উত্তরের নিয়ম হল, মােয়াফিন আযানের যে শব্দটি। 

বলবে, শ্রোতাও সেই শব্দটি বলবে কিন্তু মােয়াযযিন যখন “হাইয়্যা আলাছ ছলাহ" বলবে এবং “হাইয়্যা আলাল ফালাহ" বলবে তখন শ্রবণকারী বলৰে এবং ফজরের নামাযের আযানে মােয়াযযিন যখন, “আছছলাতু খাইরুম মিনান নাউম" বলবে তখন যে শুনবে সে বলবে, আযান শেষ হওয়ার পর সকলেই একবার দুরূদ শরীফ এবং আযানের দোয়া পাঠ করবে।

একৃামতের উত্তর দেয়াও মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। একৃামতের উত্তর আযানের অনুরূপই । কিন্তু একামতে “কাদামাতিছ ছলাহ" শুনে শ্রোতা বলবে “আকা-মাহাল্লা-হু ওয়া আদামাহা।”

আযান ও ইকামাতের উত্তর দেয়া | আযানের জবাব ও দোয়া

* আযান ও ইকামতের উত্তর দেয়া কারাে মতে ওয়াজিব, আবার কারাে মতে মুস্তাহাব।

* পুরুষ এবং নারী সকলের জন্যই আযানের উত্তর দেয়া ওয়াজিব, কারাে মতে মুস্তাহাব। 

* মসজিদের ভিতর থাকা অবস্থায় আযান হলে আযানের জবাব দেয়া মুস্তাহাব। আর মসজিদের বাইরে থাকা অবস্থায় আযান শ্রবণ করলে আযানের উত্তর দেয়া কারাে মতে ওয়াজিব, কারাে মতে মুস্তাহাব।

* কয়েক স্থানের আযান একসঙ্গে শ্রবণ করা গেলে সর্ব প্রথম যে স্থানের আযান শােনা যাবে তার উত্তর দিলেই যথেষ্ট হবে। তবে সব আযানেরই উত্তর দেয়া উত্তম।

* জুমুআর দ্বিতীয় আযানের উত্তর দিতে হয় না। তবে মনে মনে উচ্চারণ করা যায় ।

* ওযু রত অবস্থায় আযান শ্রবণ করলে ওযুও করতে থাকবে এবং আযানের উত্তরও দিতে থাকবে। (ফতােয়ায়ে মাহমুদিয়া)।

আযান ও ইকামাতের উত্তর দেয়া যাদের উপর ওয়াজিব নয়

যারা আযানের বাক্যগুলাে শ্রবণ করবে তাদের সবার উপর আযানের উত্তর দেয়া মুস্তাহাব। কারাে কারাে মতে ওয়াজিব। চাই সে পুরুষ হােক বা নারী হােক। কিন্তু নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের উপর আযানের উত্তর দেয়া মুস্তাহাব কিংবা ওয়াজিব নয়।

* যে ব্যক্তির উপর গােসল করা ফরয হয়েছে। 

* হায়েজ ও নিফাসের সময় । 

* নামায আদায়রত অবস্থায়। 

* ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেয়া অবস্থায়। 

* খুত্বা পাঠকালীন অবস্থায়। 

* প্রস্রাব পায়খানা করার সময়। 

* স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময় । 

* খানা খাওয়ার সময়।

আযানের উত্তর ও দোয়ার ফযীলত 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, যখন তােমরা মুয়াযযিনকে আযান দিতে শুনবে, তার উত্তরে বলবে সে যা বলে তার অনুরূপ। অতঃপর আমার উপর দরূদ পাঠ করবে। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, মহান আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। অতঃপর আমার জন্য আল্লাহর নিকট ওসীলা চাবে, আর তা হচ্ছে জান্নাতের একটি উচ্চ মর্যাদার স্থান, যা মহান আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজন ভিন্ন অন্য কারাে জন্য উপযােগী নয়। আমি আশা করি আমিই হবাে সেই বান্দা। আর যে ব্যক্তি আমার জন্য উসীলা করবে তার জন্য। আমার শাফাআত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (মুসলিম)

হযরত ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, যখন মুয়াযযিন আযান দিবে তখন তােমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এর উত্তর দিবে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম)

হযরত সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শ্রবণ করার পর নিম্নলিখিত দু'আ পাঠ করবে তার গুণাহসমূহ ক্ষমা করা হবে। (মুসলিম)।

اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له وأشهد ان محمدا عبده ورسوله رضيت بالله ربا ب دن رسولا وبالإسلام دیا *

উচ্চারণঃ আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারী কৃালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। রাদ্বিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়া বিমুহাম্মাদানির রাসূলাওঁ ওয়া বিল ইসলামি দীনান। 

অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তার কোন শরীক নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । আমি আল্লাহকে পালনকর্তা হিসেবে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে রাসূল হিসেবে এবং ইসলামকে ধর্ম হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি।

আযান ও ইকামাতের বিবরণ

আযান শব্দের আভিধানিক অর্থ আহবান করা । শরীয়তের পরিভাষায়, বিশেষ শব্দসমূহের মাধ্যমে এক বিশেষ পদ্ধতিতে লােকদেরকে নামাযের জন্য আহবান করাকে আযান বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা প্রত্যেক মুমিনের উপর অবশ্য কর্তব্য, তাই নামাযের সময় আগমনের সাথে সাথে অবহিত করণের জন্য শরীয়তে আযান প্রবর্তিত হয় । পবিত্র কালামে পাকে বলা হয়েছে

واذا تاديم إلى الصلوة اخذوها هزوا ولعبا ط ذالك بانهم قوم لأيعقلون *

অর্থাৎ তােমরা যখন নামাযের জন্য আহবান কর, তখন তারা একে হাসি তামাশা ও খেলার বস্তুরূপে গ্রহণ করে। (এটা) এ জন্য যে, তারা এমন এক সম্প্রদায় যাদের বােধশক্তি নেই। (সূরা মায়েদা ঃ ৫৮)

এ আয়াতে আহ্বান করার অর্থে আযানকে বুঝানাে হয়েছে।

ফরয নামায জামাআতে আদায় করার জন্য আযান দেয়া সুন্নাত। আযানের প্রতিটি শব্দের মধ্যে ইসলামের মৌলিক বিষয় তথা তওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য ঘােষণা করা হয়। | উপস্থিত লােকদেরকে জামাআতে শরীক হবার উদ্দেশ্যে নামায শুরু করার আহবানমূলক যে সব শব্দ উচ্চারণ করা হয় শরীআতের পরিভাষায় বলা হয়।

আযানের ইতিহাস | আযান সম্পর্কে হাদিস

পবিত্র মি'রাজ রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হয়। নামায ফরয হওয়ার পর মক্কায় আযান ব্যতীতই জামাআতের সাথে নামায আদায় করা হতাে। মদীনায় আগমনের পর মহানবী (সঃ) নামাযের জন্য লােকদেরকে সংবাদ দেয়ার একটি উপায় উদ্ভাবন করার ব্যাপারে সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করলেন। 

এতে কেউ বললেন, ঘন্টা বাজানাে হােক, কেউ বললেন, শিংগায় ফুক দেয়া হােক, আবার কেউ বললেন, আগুন জ্বালানাে হােক। কিন্তু এতে আপত্তি করে কেউ কেউ বললেন, ঘণ্টায় খৃষ্টানদের, শিংগায় ইহুদীদের এবং অগ্নিতে অগ্নিপুজকদের অনুসরণ হয়ে যায়। 

অতঃপর এক রাতে কতিপয় সাহাবী বর্তমান আযানের প্রচলিত শব্দসমূহ স্বপ্নে দেখলেন। তারা মহানবী (সঃ)-কে স্বপ্নের কথা বলার পর মহানবী (সঃ) ওহী বা ইজতিহাদ অনুসারে এ সব শব্দসমূহকে আযানের জন্য নির্ধারণ করলেন। দায়লামীর এক রেওয়ায়েত অনুসারে জানা যায় এ সব শব্দ মিরাজ রজনীতে মহানবী (সঃ) জনৈক ফেরেশতার মুখে শুনেছিলেন। সাহাবীদের স্বপ্ন শুনার পর মহানবী (সঃ) তা স্মরণ করতে পেরেছিলেন।

আযানের দোয়ার ফজিলত | আযানের জবাব দেওয়ার ফজিলত

আযানের ফযীলত সম্পর্কে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

যে আযান দেবে ও একামত দেবে এবং আল্লাহ পাককে ভয় করবে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানাে হবে। অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে আযান দেবে সে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর এক হাদীসে বর্ণিত আছে, কেয়ামতের ময়দানে মুয়াযযিনের মর্তবা এত বড় হবে যে, সে যত লােকের ভিড়ের মাঝেই থাকুক না কেন সবার মাথার ওপর দিয়ে তার মাথা দেখা যাবে। | যে কাজের যত বড় মর্তবা, তার দায়িত্বও ততবেশি হয়।

মুয়াযযিন আমানতদার আর ইমাম যিম্মাদার; অর্থাৎ নামাযের ওয়াক্ত না চিনে আযান দিলে বা মিনারের ওপর ওঠে লােকের ঘর বাড়ীর দিকে দৃষ্টি দিলে মুয়াযযিন শক্ত পাপী হবে। আর নামাযের মধ্যে কোন ক্ষতি করলে বা যাহেরী বাতেনী তাকওয়া ও পরহেযগারীর সাথে নামায না আদায় করলে তার জন্য ইমাম দায়ী।

মুয়াযযিনের শব্দ যতদূর যাবে ততদূর পর্যন্ত জীন, ইনসান, আসমান, জমিন, বৃক্ষ, পশুপাখী সকলেই তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। অতএব, যথাসম্ভব উচ্চৈঃস্বরে আযান দেয়া উচিত।

ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে আযান দিলেবাব

ওয়াক্ত হওয়ার আগে আযান দিলে সে আযান শুদ্ধ হবে না, আবার আযান দিতে হবে, তা ফজরের আযান হােক আর জুময়ার নামাযের আযান হােক।

যাদের আযান শুদ্ধ হবে না

হযরত মুহাম্মদ (ছঃ) থেকে শ্রুত এবং বর্ণিত অবিকল আরবি শব্দগুলাে। ব্যতিরেকে অন্য কোন প্রকার বা অন্য কোন ভাষায় আযান দিলে তা শুদ্ধ হবে না। যদিও তা দ্বারা আযানের উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়।

মহিলাদের জন্য আযান নেই। আযান দেবে পুরুষরাই। মেয়েলােকের আযান দেয়া জায়েয নেই। (কেননা, মেয়েলােকের উচ্চ শব্দ করা এবং অপর পুরুষকে। শব্দ শােনানাে নিষেধ ।) কাজেই মেয়েলােক আযান দিলে পুরুষকে আবার আযান দিতে হবে। আযান না দিলে যেন আযান ছাড়াই নামায আদায় করা হলাে। | পাগল বা অবুঝ বালক আযান দিলে সে আযান শুদ্ধ হবে না, পুনরায় আযান দিতে হবে।

আযান ও ইকামাতের সুন্নতসমূহ

আযান দাড়িয়ে দিতে হবে। আযান বসে দেয়া মাকরূহ। বসে আযান দিলে আযান দোহরাতে হবে। তবে কোন মায়ূর, বিমারী ব্যক্তির শুধু তার নিজের। নামাযের জন্য বসে আযান দেয়াতে দোষ নেই। অবশ্য যদি কোন মুসাফীর, আরােহী ও মুকিম প্রভৃতি ব্যক্তি কেবল নিজ নামাযের জন্য বসে আযান দেয়, তাহলে আযান দোহরানাের দরকার নেই।

যথাসম্ভব আযান উচ্চ আওয়াজে দেয়া প্রয়ােজন। কেউ যদি কেবল নিজের নামাযের জন্য আযান দেয়, তবে সে আস্তে নিম্ন আওয়াজে দিতে পারবে কিন্তু। উচ্চঃস্বরে আযান দিলে অধিক ছাওয়াব পাওয়া যায় । | আযানের সময় দু হাতের শাহাদত অঙ্গুলি দিয়ে উভয় কানের ছিদ্র বন্ধ করা মুস্তাহাব।

আযানের শব্দগুলাে থেমে থেমে ও টেনে টেনে বলা এবং এক্বামতের শব্দগুলাে জলদি বলা সুন্নাত। অর্থাৎ আযানের মধ্যে প্রতি দু' তকবীর অন্তর এ । পরিমাণ সময় চুপ থাকতে হবে যেন শ্রোতাগণ উত্তর দিতে পারে। তকবীর ব্যতীত অন্যান্য প্রতিটি বাক্যের পর; এ পরিমাণ সময় চুপ করে থাকবে, অতঃপর অপর বাক্য বলবে। 

যদি কোন কারণে আবানের বাক্যগুলাে থেকে থেমে না বলা হয়, তবে পুনরায় আযান দেয়৷ মুস্তাহাব। আর যদি একামতের বাক্যগুলাে তাড়াতাড়ি না বলে থেমে থেমে বলে, তবে পুনঃ একামত বলা মুস্তাহাব নয়।

আযানের মধ্যে হাইয়্যা আলা| দুলাহ" বলার সময় ডানে এবং “হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলার সময় বামে মুখ ফেরানাে সুন্নাত, তা নামাযের হােক বা আর। অন্য কোন আযানই হােক, কিন্তু বুক ও পা ঘুরানাে যাবে না।

(আরােহী না হলে) কা'বার দিকে মুখ করে আযান ও একামত বলা সুন্নাত। অন্য দিকে মুখ রেখে বলা মাকরূহ তানযিহী।

আযানের সময় বড় হদস থেকে পাক হওয়া সুন্নত। উভয় হদস হতে পবিত্র হওয়া মুস্তাহাব। গােসল বাদে আযান দেয়া মাকরূহ তাহরীমী। যদি কেউ গােসলহীন অবস্থায় আযান দেয়, তবে আযান দোহরানাে উচিৎ। কিন্তু ওযুহীন অবস্থায় আযান দিলে তা পুনরায় দিতে হবে না। ওযু-গােসলহীনভাবে একৃামত বলা মাকরূহ তাহরীমী।

আযান অথবা একামতের বাক্যগুলাে যে তরতীব অনুযায়ী লেখা রয়েছে তা ঠিক রাখা সুন্নাত। তবে কেউ পরের বাক্য আগে বললে, তাহলে পুরাে আযান পুনরায় দিতে হবে না, কেবল যে বাক্য ছেড়ে গেছে তা বলে তারপর তরতীব বজায় রেখে আযান দেবে।

আযান ও ইকামাতের মাকরূহসমূহ

* যে ব্যক্তির উপর গােসল ফরয হয়েছে সে ব্যক্তির আযান ও ইকামত দেয়া মাকরূহ তাহরীমী। তবে ওযুবিহীন শুধু আযান দিতে পারবে।

* মহিলাদের আযান দেয়া মাকরূহ তাহরীমী। কখনও মহিলারা আযান দিলে আযান পুনরায় দিতে হবে। | * বসা এবং শােয়া অবস্থায় আযান দেয়া মাকরূহ।

* অবুঝ ও নির্বোধ বালকের আযান দেয়া মাকরূহ। নাবালেগ বালক বুদ্ধি সম্পন্ন হলে তার আযান দেয়া মাকরূহ হবে না।

* অন্ধ লােককে ওয়াক্ত জানিয়ে দিলে তার আযান দেয়া মাকরূহ হবে না।

* একই ব্যক্তির দুই মসজিদে একই ফরয নামাযের জন্য আযান দেয়া। মাকরূহ।

* উল্লেখিত যে সব ব্যক্তির আযান দেয়াকে মাকরূহ বলা হয়েছে তা সবই মাকরূহ তানযীহ।

আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান

আযান ও ইকামতের মধ্যে কি পরিমাণ সময়ের ব্যবধান থাকতে হবে সে বিষয়ে। শরীয়তে সুনির্দিষ্ট কোন বাধ্যবাধকতা নেই। উভয়ের মধ্যে এ পরিমাণ ব্যবধান থাকা উচিত, যাতে নিয়মিত মুসল্লিগণ জামাআতে উপস্থিত হতে পারে। 

যে সব নামাযে ফরযের পূর্বে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ আছে সে সব নামাযে আযান ও ইকামতের মধ্যে কমপক্ষে সুন্নাত নামায আদায় করার মতাে সময়ের ব্যবধান থাকতে হবে। আর যে সব নামাযে ফরযের পূর্বে কোন সুন্নতে মুয়াক্কাদহ নেই সে সব নামাযে আযানের পর ফরয এর পূর্বে কিছু নফল পড়া মুস্তাহাব। মােটকথা মুসীগণ যাতে আযানের পর জামাআতে শরীক হতে পারে সে পরিমাণ সময় স্থান-কাল নির্বিশেষে বিলম্ব করতে হবে।

ইমাম ও মুয়াযযিনের দায়িত্ব

যে আযান দেবে ও একামত দেবে এবং আল্লাহ পাককে ভয় করবে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানাে হবে। অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে আযান দেবে সে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর এক হাদীসে বর্ণিত আছে, কেয়ামতের ময়দানে মুয়াযযিনের মর্তবা এত বড় হবে যে, সে যত লােকের ভিড়ের মাঝেই থাকুক না কেন সবার মাথার ওপর দিয়ে তার মাথা দেখা যাবে।

যে কাজের যত বড় মর্তবা, তার দায়িত্বও ততবেশি হয়। মুয়াযযিন আমানতদার আর ইমাম যিম্মাদার; অর্থাৎ নামাযের ওয়াক্ত না চিনে। আযান দিলে বা মিনারের ওপর ওঠে লােকের ঘর বাড়ীর দিকে দৃষ্টি দিলে মুয়াযযিন। শক্ত পাপী হবে। আর নামাযের মধ্যে কোন ক্ষতি করলে বা যাহেরী বাতেনী। তাকওয়া ও পরহেযগারীর সাথে নামায না আদায় করলে তার জন্য ইমাম দায়ী।

জুমুআ'র নামাযের আযান

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) ও হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)-এর সময় জুমুআর নামাযের জন্য শুধুমাত্র এক আযান দেয়া হত । যা খুতবার পূর্বে ইমাম সাহেব মিম্বরে উপবেশন করলে দেয়া হয় । 

হযরত উসমান (রাঃ)-এর খিলাফতের সময় মুসলমানের সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পেতে লাগল এবং মদীনা শরীফের বসতি এলাকা অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃতি হলাে তখন খলীফা হযরত উসমান (রাঃ)-এর নির্দেশে মুসলমানদের নামাযের ওয়াক্ত অবহিতকরণ এবং নামাযে আসার উদ্দেশ্যে আহ্বানের জন্য খুতবার আযানের পূর্বে আর একটি আযানের প্রচলন করা হয় । 

জুমুআর নামাযের ওয়াক্ত অবহিত করণে আযানের প্রবর্তন হলে মহানবী (সঃ)-এর যমানায় যে আযানের প্রচলন ছিল সে আযান ইমাম মিম্বরে বসার পর খুতবা প্রদানের পূর্বে ইমামের সম্মুখে দাড়িয়ে দেয়ার রীতি প্রচলিত হয় । 

জুমুআর প্রথম আযান শুনার সাথে সাথেই সকল কাজকর্ম ছেড়ে মসজিদে যাওয়া ওয়াজিব। জুমুআর আযানের পর কাজকর্মে ব্যস্ত থাকা হারাম। জুমুআর দিনে খুতবার আযানের উত্তর দেয়া ওয়াজিব নয়, মাকরূহও নয় বরং মুস্তাহাব।।

আযান ও ইকামাতের কয়েকটি মাসআলা

* নামাযের ওয়াক্ত হবার পর আযান দিতে হবে। ওয়াক্ত হবার পূর্বে আযান দিলে সে আযান সহীহ হবে না, পুনরায় আযান দিতে হবে। (বেহেশতী জেওর)

* কোন কারণ বশতঃ অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেকের একসাথে নামায কাযা হয়ে থাকলে সে নামাযের জন্য উচ্চস্বরে আযান ও ইকামত বলা সুন্নাত। (ইসলামী ফিকহ) ।

* কয়েক ওয়াক্তের নামায এক সাথে কাযা হয়ে থাকলে প্রথম ওয়াক্তের জন্য আযান দেয়া সুন্নত। আর বাকী ওয়াক্তগুলাের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে আযান দেয়া সুন্নত নয়; বরং মুস্তাহাব। তবে ইকামত সব ওয়াক্তের ফরয নামাযের জন্যই পৃথক পৃথক ভাবে দেয়া সুন্নাত।

* মাঠে, দোকানে বা বাড়ীতে একাকী বা জামাআতে নামায আদায় করলে আযান দেয়া মুস্তাহাব, আর ইকামত দেয়া সুন্নাত।

* আযান ও ইকামতের মধ্যে সুন্নাত হচ্ছে আযান ও ইকামতের মাঝে এতটুক সময়ের ব্যবধান করা যাতে নিয়মিতভাবে যে সব মুসাল্লী জামাআতে শরীক হয়ে থাকে তারা যেন জামাআতে শরীক হবার জন্য মসজিদে এসে পৌছতে পারে।

* আযান শুরু হবার পর ইস্তিনজায় লিপ্ত হবে না এবং ইস্তিনজায় প্রবেশও করবে না। তবে প্রস্রাবের বেগ বেশী হলে বা বিশেষ কোন ওযর দেখা দিলে ভিন্ন কথা। (ফতােয়ায়ে দারুল উলুম)।

* আযানের সময় আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলার সময় আঙ্গুলে ফুক দিয়ে তা চোখে লাগানাের কোন প্রমাণ শরীয়াতে নেই। এটা সুন্নাতের পরিপন্থী। এবং প্রচলিত কুপ্রথা । সাওয়াবের নিয়াতে করা বিদআত। তবে চক্ষুরােগের তদবীর হিসেবে এরূপ করলে অবৈধ হবে না। (ফতােয়ায়ে মাহমুদিয়া)।

* সন্তান ভূমিষ্ট হলে তার ডান কানে আযান এবং বাম কানে ইকামাত দেয়া মুস্তাহাব।

* আযান দেয়ার সময় কথা বলা অথবা সালামের জবাব দেয়া দুরস্ত নয়।

* ফরযে আইন নামায ব্যতীত অন্য নামাযে যেমন জানাযা, ঈদ, ওয়াজিব ও নফল নামাযে আযান দেয়া ঠিক নয় । | কেউ আযানের জওয়াব ভুলবশতঃ অথবা ইচ্ছা করে সাথে সাথে না দিয়ে। থাকলে স্মরণ হওয়ার পর বা আযান শেষ হওয়ার পর বেশি সময় পার না হলে জওয়াব দিতে পারে, অন্যথায় নয়।

যদি একৃামতের পর অনেক সময় চলে যাওয়ার পরও যদি জামায়াত আরম্ভ না হয় তাহলে একামত দোহরাতে হবে। কিন্তু সামান্য সময় দেরী করলে কোন ক্ষতি নেই। যদি ফজরের একৃামত হয়ে যায় এবং ঈমাম সাহেব সুন্নাত পড়া শুরু করে, তাহলে এ ব্যবধান ধৰ্য নয় এবং একৃামত দোহরানাের প্রয়ােজন হবে না, কিন্তু যদি নামায ছাড়া আহার ইত্যাদি অন্য কোন কাজে লিপ্ত থাকে, তাহলে তাকে বেশি দেরী ধরা হবে এবং আবার একামত দিতে হবে।

আযানের সময় আযান পূর্ণ হওয়ার আগে যদি মুয়াযযিনের মৃত্যু হয় বা হুঁশ হারিয়ে ফেলে অথবা আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় অথবা এমনভাবে ভুলে যায় যে, মনে করতে পারে না এবং অপর কেউ বলে না দেয় কিংবা মলমূত্রের চাপে বা গােসলের প্রয়ােজনে আযান মাঝখানে ছেড়ে চলে যায়, তাহলে এমতাবস্থায় আযান দোহরানাে। সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।

আযান অথবা একৃামত দেয়ার সময় যদি ঘটনাক্রমে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে আযান বা একৃামত পূর্ণ করেই ওযু করতে যাওয়া উত্তম। | এক মুয়াযযিনের দু' মসজিদে আযান দেয়া মাকরূহ। ফরয নামায যে মসজিদে আদায় করবে সে মসজিদেই আযান দেবে। | যে লােক আযান দেবে, এক্বামত বলার হক তারই । অবশ্য যদি সে হাজির না থাকে বা অন্য কেন ব্যক্তিকে একামত দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে অপর ব্যক্তিও একৃামত দি ত পারবে।

এক মসজিদে একই সময়ে কয়েকজন মিলে আযান দেয়াও দুরস্ত আছে। যে স্থানে দাঁড়িয়ে একৃামত বলা আরম্ভ করবে সেখানেই শেষ করবে।

আযান অথবা একৃামত শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়্যত শর্ত নয় ঠিকই কিন্তু নিয়্যত ব্যতীত ছাওয়াব লাভ থেকে বঞ্চিত থাকবে। নিয়্যত হলাে । মনে মনে এই ভাববে যে, আমি এ আযান অথবা একামত শুধুমাত্র ছাওয়াবের নিয়্যতে ও আল্লাহ । তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বলছি। এ ছাড়া আমার আর অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই।

আর্টিকেলের শেকথাঃ আযানের পরের দোয়া | আযান দেওয়ার নিয়ম | আযানের জবাব

বন্ধুরা আমরা এতক্ষন জানলাম আযানের পরের দোয়া | আযান দেওয়ার নিয়ম | আযানের জবাব। যদি তোমাদের আজকের পোস্ট ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার ও কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ