ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি | ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার কি কি

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি ও ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার জানতে চান? যদি ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কাকে বলে প্যারালাল ট্রান্সমিশন কি, সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কি, অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি, অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা হলো বা সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি এবং সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা জানতে চাইলে পুরো আর্টিকেল টি পড়ুন। 

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি ও ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার
ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি ও ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার

হ্যালো বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে আছি আরকে রায়হান। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি বা ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার কি কি ? আশা করি আজকের ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি | ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার কি কি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চল বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক প্যারালাল ট্রান্সমিশন কি, সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কি, অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি, অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা হলো বা সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি এবং সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা হলো।

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি | ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কাকে বলে (Methods of Data Transmission)

যে পদ্ধতিতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটাৱে তথা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তর বা ট্রান্সমিট। হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলা হয়। ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলতে মূলত ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে সংযুক্ত ডিভাইসগুলাের মধ্যে বিটের আদান-প্রদান বা বিনিময়ের প্রক্রিয়াকে বােঝানাে হয়।

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার | Kinds of Data Transmission

ডিভাইসসমূহের মধ্যে অবস্থানগত দূরত্ব এবং ডেটার ক্ষুদ্রতম একক বিট-এর বিন্যাসের ভিত্তিতে ট্রান্সমিশন মেথডকে দুটি বেসিক শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। যথা:

১. প্যারালাল ট্রান্সমিশন (Paralal Transmission) 

২. সিরিয়াল ট্রান্সমিশন (Serial Transmission)

১. প্যারালাল ট্রান্সমিশন কি (Paralal Transmission) 

যে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে কাছাকাছি অবস্থিত ডিভাইসগুলাের মধ্যে একটি ক্যারেক্টারের সবগুলাে বিট একসাথে সমান্তরালভাবে একই ক্লক পালসে স্থানান্তরিত হয় তাকে প্যারালাল ট্রান্সমিশন বলে। সাধারণত কম্পিউটারের অভ্যন্তরে থাকা বিভিন্ন সাব ইউনিটের মধ্যে দূরত্ব খুব কম হওয়ার কারণে এদের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরের জন্য প্যারালাল ট্রান্সমিশন মেথড ব্যবহার করা হয়। প্যারালাল ট্রান্সমিশনে কী-বাের্ডের একটি ক্যারেক্টারকে বাইনারি এনকোড করে যে ৮ বিট কোড তৈরি করা হয় তার সবগুলাে বিট সমান্তরালভাবে সংযুক্ত ৮টি তারের মাধ্যমে একই সাথে উৎস থেকে গন্তব্যে প্রেরণ করে। একইভাবে n সংখ্যক ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য n সংখ্যক তার ব্যবহার করা হয়। এ সিস্টেমকে কম্পিউটার বাস বলা হয় কিছু কিছু ট্র্যাডিশনাল কম্পিউটারের এক্সটার্নাল ডিভাইসে (যেমন প্রিন্টার) মূল ইউনিট থেকে ডেটা ট্রান্সফারের জন্যও সিরিয়াল পাের্ট ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আমরা যে ইউএসবি পাের্ট ব্যবহার করি এটি প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশনের একটি উন্নত সংস্করণ।

প্যারালাল ট্রান্সমিশনের সুবিধা: প্যারালাল ট্রান্সমিশনের অসুবিধা:
ডেটা ক্যারেক্টার হিসেবে স্থানান্তরিত হয় দূরবর্তী স্থানের জন্য ব্যবহার সম্ভব নয়
ডেটা দ্রুত ও অনেক বেশি দক্ষতার সাথে স্থানান্তরিত এটি ব্যয়বহুল।

সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কি (What is Serial Transmission) 

যে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ক্যারেক্টারের বিটগুলাে একসাথে স্থানান্তরিত না হয়ে সিরিয়াল বা ধারাবাহিকভাবে যে কোনাে দূরত্বে অবস্থিত ডিভাইসগুলাের মধ্যে স্থানান্তরিত হয় তাকে সিরিয়াল ট্রান্সমিশন বলে। দূরবর্তী অবস্থানে থাকা ডিভাইসগুলাের জন্য সিরিয়াল ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয়।এক্ষেত্রে ডেটা ক্যাবল একটি তার বা ওয়েব মাধ্যমে এক একটি বিট হিসেবে স্থানান্তরিত হয় এবং ৮ বিট ডেটা স্থানান্তরের জন্য ৮টি ক্লক পালসের প্রয়ােজন হয়। অর্থাৎ এক একটি বিটের জন্য একটি করে ক্লক পালস প্রয়ােজন। সিরিয়াল ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশনের উভয় প্রান্তে প্যারালাল টু সিরিয়াল এবং সিরিয়াল টু প্যারালাল কনভার্টার ব্যবহৃত হয়।

সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশনে যেহেতু ক্যারেক্টারের বিটগুলাে ধারাবাহিকভাবে স্থানান্তরিত হয়। এক্ষেত্রে ট্রান্সমিশন হওয়ার সময় প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে এমন একটি সমঝােতা দরকার যাতে সিগন্যাল বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে। বিটের। শুরু ও শেষ বুঝতে না পারলে প্রাপক কম্পিউটার উক্ত সিগন্যাল থেকে ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। সিগন্যাল পাঠানাের সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন। 

বিট সিনক্রোনাইজেশনের উপর ভিত্তি করে সিরিয়াল ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলােকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে। যথা:

১. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission) 

২. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronous Transmission) 

৩. আইসােক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Isochronous Transmission)।

সিরিয়াল ও প্যারালাল ট্রান্সমিশনের মধ্যে পার্থক্য

প্যারালাল ট্রান্সমিশন সিরিয়াল ট্রান্সমিশন
১. যে ডেটা ট্রান্সমিশনের পদ্ধতিতে কাছাকাছি অবস্থিত ডিভাইসগুলাের মধ্যে একটি ক্যারেক্টারের সবগুলাে বিট একসাথে সমান্তরালভাবে একই ক্লক পালসে স্থানান্তরিত হয় তাকে প্যারালাল ট্রান্সমিশন বলে। ১. যে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ক্যারেক্টারের বিটগুলাে একসাথে স্থানান্তরিত না হয়ে সিরিয়াল বা ধারাবাহিকভাবে যে কোনাে দূরত্বে অবস্থিত ডিভাইসগুলাের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। তাকে সিরিয়াল ট্রান্সমিশন বলে।
২. ৮-বিট ২. ১-বিট।
৩. ডেটা ট্রান্সমিশন ধীরগতিসম্পন্ন। ৩. ডেটা ট্রান্সমিশন উচ্চগতিসম্পন্ন।
৪. খরচ বেশি। ৪. খরচ কম।
৫. স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত ডিভাইসসমূহের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহৃত হয়। ৫, অধিক দূরত্বে অবস্থিত ডিভাইসসমূহের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহৃত হয়।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি (Asynchronous Transmission) 

গ্রিক শব্দ Asyn অর্থ সাথে নয় এবং Chronous হলাে সময়। অর্থাৎ, সময়ের সাথে নয়। যে পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা গ্রাহক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং ক্যারেক্টারসমূহের ট্রান্সমিশনের মধ্যে সময়। বিরতি সমান নয়, তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। যেহেতু ক্যারেক্টার বিটগুলাে এক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে স্থানান্তরিত হচ্ছে তাই ডেটার শুরু এবং কম্পিউটারকে বােঝানাের জন্য ডেটার সাথে অতিরিক্ত কিছু তথ্য জুড়ে দিতে হয় যেটি ডেটার শুরু এবং শেষকে নির্দেশ করে। ডেটার শুরু বােঝানাের জন্য পাঠানাে বিটটিকে স্টার্ট বিট বলে এবং এটি পেলেই কম্পিউটার তার অভ্যন্তরীণ সিস্টেমের ক্লক পালসকে এ অনুসারে চালু করে। ক্যারেক্টার ডেটাটি পুরােপুরি স্থানান্তরিত হবার পর এর শেষে আবার একটি বা দুটি অতিরিক্ত বিট যােগ করা হয় যা ডেটাটি শেষ হয়েছে এই মর্মে কম্পিউটারকে অবহিত করে। একে স্টপ বিট বলে। অর্থাৎ পুরাে ক্যারেক্টারটির ৮ বিট ছাড়াও একটি স্টার্ট ও দুটি স্টপ বিট মিলিয়ে প্রতি ৮ বিট ক্যারেক্টার ডেটার ক্ষেত্রে মােট ১১ বিট স্থানান্তরিত হয়। ডেটার স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় স্টার্ট ও স্টপ বিট অপরিহার্য হওয়ায় এই পদ্ধতিকে স্টার্ট-স্টপ ট্রান্সমিশনও বলা হয়ে থাকে। অ্যাসিনক্রোনাসে প্রেরক তাৎক্ষণিকভাবে ডেটা প্রেরণ করতে পারে।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ক্যারেক্টারগুলাের ট্রান্সমিশনে যে বিরতি সেটি কখনাে সমান হয় না। এই কারণেই এ পদ্ধতিকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলা হয়। মূলত ক্যারেক্টারসমূহের ট্রান্সমিশনের সময় বিরতি সমান না হওয়ায়, এর ডেটা স্থানান্তরের গতি ধীর।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের এর সুবিধা হলো কোনটি | অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্য হলো |  (Features/Advantages of Asynchronous Transmission) 

১. কাছাকাছি কম করে ডেটা ট্রান্সমিশনে দরকার পড়ে এমন পরিবেশে যেমন, ইন্টারনেট থেকে আগত ডেটা মডেম হতে কম্পিউটারে স্থানান্তরে এ পদ্ধতি বেশি উপযােগী। 

২. এতে প্রেরক যেকোনাে সময় ডেটা পাঠাতে পারে এবং গ্রাহক তা গ্রহণ করতে পারে। 

৩. প্রেরকের কোনাে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস প্রয়ােজন হয় না। 

৪. ইন্সটলেশন খরচ অত্যন্ত কম এবং জটিল সার্কিট ছাড়াই বাস্তবায়ন করা যায়।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধা (Disadvantages of Asynchronous Transmission)

১. প্রতিটি বর্ণের সাথে একটি স্টার্ট বিট ও একটি স্টপ বিট প্রেরণ করতে হয়। 

২. একবারে বেশি ডেটা পাঠানাে যায় না। 

৩. এতে অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করা হয় বলে এটি সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের চেয়ে কম দক্ষ। 

৪. এতে ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম। 

৫. ডেটা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ থাকা অবস্থায় এটির ট্রান্সমিশন মাধ্যমটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। 

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহার (Application of Asynchronous Transmission) 

১. কী-বাের্ড, কার্ড রিডার ইত্যাদি থেকে কম্পিউটারে ডেটা কমিউনিকেশনে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। 

২. কম্পিউটার থেকে প্রিন্টার, কার্ডরিডার ইত্যাদিতে ডেটা কমিউনিকেশনে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। 

৩. ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য মডেম থেকে কম্পিউটার স্থানান্তরে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি (Synchronous Transmission) 

গ্রিক শব্দ Syn অর্থ সময়ের সাথে Chronous হলাে সময়। অর্থাৎ, সময়ের সাথে। যে পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক (যাকে প্যাকেটও বলা হয়) আকারে ভাগ করে সমান বিরতিতে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২টি ক্যারেক্টর থাকে। এ পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার ডেটা প্যাকেটের সাথে কতিপয় টাইমিং | সিগন্যাল জুড়ে দেয়। ডেটা ক্যাবলের মধ্য দিয়ে চলতে চলতে যদি কোনাে ক্রমের মধ্যে কোনাে ত্রুটি সৃষ্টি হয় বা মান। অক্ষুন্ন না থাকে তাহলে ঐ টাইমিং সিগন্যালের (ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চিহ্ন) রূপ পরিবর্তিত হয়। এর মাধ্যমে ক্যাবলের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী ডেটার মান নিশ্চিত করা হয়। স্টার্ট ও স্টপ বিট না থাকায় এবং অনবরত চলতে থাকায় এর গতি অনেক দ্রুত হয়।। প্রতিটি ব্লক ডেটার শুরুতে একটি হেডার ইনফরমেশন ও শেসে একটি টেইলর ইনফরমেশন সিগন্যাল পাঠানো হয়।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা হলো | সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্যাবলি

১. প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরু ও শেষে স্টার্ট এবং স্টপ বিটের প্রয়ােজন না হওয়ায় প্রতিটি ক্যারেক্টারের পর টাইম ইন্টারভেলেরও প্রয়ােজন হয় না। একবারে অনেক তথ্য পাঠানাে যায়। 

২. স্টার্ট ও স্টপ বিট না থাকায় এবং অনবরত চলতে থাকায় এর ট্রান্সমিশন গতি অনেক দ্রুত হয়। 

৩. এর দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের চেয়ে বেশি। 

৪. সময় তুলনামূলক কম লাগে। 

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধা 

১. প্রেরক স্টেশনে প্রেরকের সাথে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়ােজন হয়। 

২. এটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল। 

৩. সার্কিট বেশ জটিল হয়। 

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহার 

১. কম্পিউটার হতে কম্পিউটারে ডেটা কমিউনিকেশনে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। 

২. একস্থান থেকে দূরবর্তী কোনাে স্থানে ডেটা স্থানান্তরে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

৩. এক কম্পিউটার হতে একই সময়ে অনেকগুলাে কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে এটি একটি বহুলব্যবহৃত পদ্ধতি।

অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন
১. এ পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা গ্রাহক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার-বাই-ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয়। ১. এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়।
২. এতে অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করা হয় বলে এই ট্রান্সমিশনের দক্ষতা কম। ২. এর দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের চেয়ে বেশি।
৩. এতে ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম। ৩. ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি অনেক দ্রুত হয়।
৪. প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়ােজন হয় না। ৪. প্রেরক স্টেশনে প্রেরকের সাথে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়ােজন হয়।
৫. ইন্সটলেশন খরচ অত্যন্ত কম। ৫. এটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল।
৬. এ পদ্ধতিতে ট্রান্সমিট সময় বেশি লাগে। ৬. এ পদ্ধতিতে ট্রান্সমিট সময় কম লাগে।
৭. এ পদ্ধতিতে প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরু ও শেষে স্টার্ট এবং স্টপ বিটের প্রয়ােজন হয়। ৭. এ পদ্ধতিতে স্টার্ট এবং স্টপ বিটের প্রয়ােজন পড়ে না। প্রতি ব্লক ডেটার শুরুতে একটি হেডার ইনফরমেশন এবং শেষে একটি টেইলর ইনফরমেশন থাকে।

আইসােক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি (Isochronous Transmission) 

গ্রিক শব্দ Iso অর্থ সমান আর Chronous অর্থ সময়, একসাথে হলাে সমান সময়। যে পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপক স্টেশনের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনের সময় একই অর্থাৎ কোনাে প্রকার দেরি ছাড়া একক সময়ে সমস্ত ডেটা ব্লক বা প্যাকেট ট্রান্সফার করা হয় তাকে আইসােক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে। সাধারণত রিয়েল টাইম এপ্লিকেশনের ডেটা ট্রান্সফারে এ পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন- লাইভ টিভি সম্প্রচার, স্ট্রিমিং ভিডিও ইত্যাদি। প্রকৃতপক্ষে আইসােক্রোনাস পদ্ধতিটি হলাে সিনক্রোনাস এবং অ্যাসিনক্রোনাস এই দুই পদ্ধতির সমন্বিত একটি ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড যেখানে ডেটা সিনক্রোনাসের মতাে ব্লক আকারে কিন্তু অ্যাসিনক্রোনাসের প্রাইমারি ডিভাইসে ডেটা সংরক্ষণ না করে যখন প্রয়ােজন তখনই পাঠাতে সক্ষম হয়।

ডেটা ট্রান্সমিশনের দক্ষতার পরিমাপ ও অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাস উভয় ট্রান্সমিশনেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ডেটার সাথে অতিরিক্ত পরিমাণ কিছু ডেটা স্থানান্তর হয়ে থাকে। এই অতিরিক্ত ডেটার পরিমাপের উপর ভিত্তি করে অরিজিনাল কতটুকু ডেটা ট্রান্সফার হয়েছে সেটির দ্বারা ডেটা স্থানান্তরের দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। যেমন- 1 Byte ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সিনক্রোনাস ও | অ্যাসিনক্রোনাস মেথডের কোনটিতে ডেটা ট্রান্সফারের দক্ষতা কতটুকু তা পরিমাপের জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে

1 Byte = 8 bits 

1 Byte = 8 bits ডেটা স্থানান্তরে অতিরিক্ত বিট প্রয়ােজন হবে (1 start bit + 8 bits + 2 stop bits) = Total 11 bits. 

এখানে, 

প্রকৃত ডেটা = 8 bits, মােট ডেটা = 11 Bits 

এখন, 

দক্ষতা (Efficiency) = প্রকৃত ডেটা/মােট ডেটা X 100 

= 8/11 X 100 = 72.72% প্রায়।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে,

 ৮০ বাইট পরিমাণের একটি ক্যারেক্টার ব্লক স্থানান্তরে ২ বাইট হেডার ও ২ বাইট টেলার ইনফরমেশন যুক্ত করতে হবে। সুতরাং, 

1 Block ডেটা = 2 byte Header + 80 byte+ 2 byte Teller) = 84 byte 

প্রকৃত ডেটা = 80 byte, মােট ডেটা = 84 Byte 

এখন, দক্ষতা = প্রকৃত ডেটা /মােট ডেটা X 100

= 80/84 X 100 = 95.23% প্রায়।।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি | ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার

আমরা আজকে জানলাম ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কি, ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কাকে বলে, ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কত প্রকার, প্যারালাল ট্রান্সমিশন কি, সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কি, অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি, অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা হলো বা সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি এবং সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা । যদি তোমাদের আজকের এই লেখাটি ভালো লাগে তাহলে নিচে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ