ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি ব্যাখ্যা কর | ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কত প্রকার

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কাকে বলে, সিমপ্লেক্স মোড কি, সিমপ্লেক্স কাকে বলে, সিমপ্লেক্স পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি, সিমপ্লেক্স মোডের উদাহরণ, হাফ ডুপ্লেক্স মোড কি, হাফ ডুপ্লেক্স মোড কাকে বলে, হাফ ডুপ্লেক্স এর উদাহরণ কোনটি, হাফ ডুপ্লেক্স পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি, ফুল ডুপ্লেক্স মোড কি, ফুল ডুপ্লেক্স কাকে বলে. ইউনিকাস্ট মোড কি, ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন মোড হলো এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে পুরো লেখাটি পড়তে হবে।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি ব্যাখ্যা কর | ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কত প্রকার
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি ব্যাখ্যা কর | ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কত প্রকার

হ্যালো বন্ধুরা আমি আরকে রায়হান। আপনাদের সাথে আজকে আলোচনা করবো ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি ব্যাখ্যা কর, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কত প্রকার। তো বন্ধুরা চল আমরা স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নিই আজকের আর্টিকেল টি।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি | ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর | ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কাকে বলে (Data Transmission Mode)

ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থাকে ডেটা ট্রান্সমিশন মােড বলা হয়। মােড দ্বারা ডেটা কিভাবে স্থানান্তরিত হয় তা জানা যায়। ডেটা ট্রান্সমিশন মােড ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটার প্রবাহের দিককে নির্দিষ্ট করে। অর্থাৎ উস থেকে গন্তব্যে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মােড বলে। ডেটা স্থানান্তরের প্রবাহের উপর ভিত্তি করে অর্থাৎ দিকের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশন মােডকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা

ক. সিমপ্লেক্স

খ. হাফ ডুপ্লেক্স

গ. ফুল ডুপ্লেক্স

ক. সিমপ্লেক্স মোড কি | সিমপ্লেক্স কাকে বলে (Simplex) 

ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটার একদিকে প্রবাহকে সিমপ্লেক্স মােড বলা হয়।  এ পদ্ধতিতে একটি প্রেরক কম্পিউটার সবসময় অন্য কম্পিউটারে ডেটা পাঠায় এবং প্রাপক ডেটা গ্রহণ করে। যেমন- চিত্রে ক হতে খ-এর দিকে ডেটা প্রেরণ করা যাবে, কিন্তু খ হতে ক-এর দিকে ডেটা প্রেরণ করা যাবে না। উদাহরণ- PABX সিস্টেম, রেডিও, টিভি ইত্যাদি। 

সিমপ্লেক্স পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি | সিমপ্লেক্স মোডের উদাহরণ

আমরা সবাই কম্পিউটার কী-বাের্ডের সাথে পরিচিত। কী-বাের্ড থেকে নির্দেশ কম্পিউটারে প্রেরণ করা হয়, কিন্তু কম্পিউটার থেকে কী-বাের্ডে কোনােকিছু প্রেরণ করা যায় না। কম্পিউটার কেবলমাত্র নির্দেশ গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ডেটা কমিউনিকেশনের একপ্রান্ত কেবল। ডেটা পাঠাতে পারে এবং অপরপ্রান্ত তা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু প্রেরক কখনােই ডেটা গ্রহণ করতে পারে না বা গ্রাহক কখনাে ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। সুতরাং কী-বাের্ড থেকে কম্পিউটারের ডেটা প্রবাহটি সিমপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন হিসেবে অভিহিত করা যায়। একইভাবে কম্পিউটার থেকে মনিটরে, কম্পিউটার থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে ডেটা ট্রান্সমিশনের পদ্ধতিটি হলাে সিমপ্লেক্স।

খ, হাফ ডুপ্লেক্স মোড কি | হাফ ডুপ্লেক্স মোড কাকে বলে (Half-Duplex) 

যে পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপক উভয়দিক থেকে ডেটা প্রেরণ করা যায়, তবে একই সময়ে তা সম্ভব নয় তাকে হাফ ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মােড বলে। এক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপকের কোন প্রান্ত একই সময়ে শুধু ডেটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু ডেটা গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সময়ে করতে পারে না। যেমন- নিচের চিত্রে ‘ক’ হতে 'খ’-এর দিকে ডেটা প্রেরণ করা যাবে এবং খ হতে ক-এর দিকে ডেটা প্রেরণ করা যাবে, কিন্তু একই সময়ে তা করা যাবে না। ক-এর প্রেরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খ-ডেটা প্রেরণ করতে পারবে এবং ঐ সময়ে ক-শুধু ডেটা গ্রহণ করতে পারবে। উদাহরণ : ওয়াকিটকি।

হাফ ডুপ্লেক্স এর উদাহরণ কোনটি | হাফ ডুপ্লেক্স পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি

পুলিশ বা বিভিন্ন আইন প্রয়ােগকারী সংস্থার হাতে আমরা প্রায়ই যােগাযােগের জন্য ওয়াকিটকি যন্ত্রটি দেখতে পাই। একটু লক্ষ্য করলে দেখবে ওয়াকিটকিতে যখন একজন কথা বলে তখন সে তার কথা শেষ করে ওভার’ শব্দটি বলে। একজন ‘ওভার’ শব্দটি বলার পরই অপরপ্রান্তে থাকা অন্যজন আবার তার কথা। বলে এবং কথা শেষ হলে সেও আবার ‘ওভার’ শব্দটি বলে। আসলে ওয়াকিটকি হলাে হাফ-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মােডের একটি আদর্শ উদাহরণ। এখানে প্রেরক ও প্রাপক দুজনেই ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে ঠিকই, কিন্তু তা একসাথে করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ একজন যখন কথা বলবে (ডেটা পাঠাবে) অপরজন তখন কেবলমাত্র শুনতে পারবে (ডেটা গ্রহণ করবে)। একজনের ডেটা প্রেরণ করা শেষ হলে এর পরই অপরজন ডেটা প্রেরণ করতে (কথা বলতে) পারবে। হাফ-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশনের অপর একটি উদাহরণ হলাে ইন্টারনেট ব্রাউজিং। ওয়েব ব্রাউজিং এর সময় আমরা কোন সাইট দেখার জন্য ওয়েব সার্ভারকে রিকোয়েস্ট পাঠাই। সার্ভার তখন রিকোয়েস্টটি গ্রহণ করে সে অনুযায়ী আমাদেরকে প্রয়ােজনীয় ডেটা বা তথ্য (ওয়েবসাইট) প্রেরণ করে।।

গ. ফুল ডুপ্লেক্স মোড কি | ফুল ডুপ্লেক্স কাকে বলে (Full-Duplex)

যে পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপক উভয় দিক থেকে একই সময়ে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায় তাকে ফুল ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মােড বলে। এক্ষেত্রে যে কোনাে প্রান্ত একই সময়ে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণও করতে পারে।  উদাহরণ টেলিফোন, মােবাইল।

ফুল ডুপ্লেক্স পদ্ধতির উদাহরণ | ফুল ডুপ্লেক্স এর উদাহরণ | কোনটি ফুল ডুপ্লেক্স মোড

আমরা প্রায় সকলেই এখন নিজের একটা মােবাইলের মালিক। আমাদের হাতের এই আত কমন। যােগাযােগের যন্ত্রটিই ফুল-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মােডের আদর্শ উদাহরণ। মােবাইলে কথা বলার সময় আমরা একবারে মুখােমুখি কথা বলার মতাে করেই। কথা বলতে পারি। অর্থাৎ একজন কথা বলার সময় অন্যজন কথা বলতে পারি। দুইপক্ষ এভাবে একই সময় ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে বিধায় মােবাইলের ডেটা ট্রান্সমিশন মােড় হলাে ফুল-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মােড।

সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স এবং ফুল ডুপ্লেক্স এর মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Simplex, Half Duplex and Full Duplex)

পার্থক্যের বিষয় সিমপ্লেক্স হাফ-ডুপ্লেক্স ফুল ডুপ্লেক্স
সংজ্ঞা ১. একপ্রান্ত কেবল ডেটা প্রেরণ করে এবং অপরপ্রান্ত কেবল ডেটা গ্রহণ করে। ১. কোনাে প্রান্ত একই সময়ে কেবল ডেটা গ্রহণ কিংবা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সময়ে একসাথে করতে পারে না। ১. এ পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে উভয় দিক থেকে একই সময়ে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।
ডেটা প্রবাহ ২. ডেটার কেবলমাত্র একমুখী প্রবাহ সম্ভব। ২. ডেটার উভয়মুখী প্রবাহ সম্ভব হলেও তা একই সময়ে সম্ভব নয়। ২. যে কোনাে সময় ডেটার যে কোনােমুখী প্রবাহ সম্ভব।
ব্যবহার ৩. কতিপয় বিশেষায়িত ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। ৩. ব্যবহার তুলনামূলক জটিল। ৩. ব্যবহার তুলনামূলক সহজ।
কারিগরি দিক ৪. ডেটা স্থানান্তর নিশ্চিত করা বা পুনঃস্থানান্তরের অনুরােধ করা সম্ভব নয়। ৪. কারিগরিভাবে অসমৃদ্ধ পদ্ধতি। ৪. কারিগরিভাবে সমৃদ্ধ পদ্ধতি। এতে। চার জোড়া টুইস্টেড ক্যাবল ব্যবহার করা হয়, যার দুই জোড়া। ডেটা গ্রহণ এবং দুই জোড়া ডেটা পাঠানাের কাজে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ টেলিভিশন, রেডিও, পিএবিএক্স, কীবোের্ড ইত্যাদি। ওয়াকিটকি, ওয়েব-ব্রাউজার ইত্যাদি। টেলিফোন, মােবাইল ইত্যাদি।

ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রাপকের থেকে প্রেরকের নিকট ডেটা বিতরণ করা হয়। একে ডেটা ডেলিভারি মােড বলা হয় যা । প্রাপকের সংখ্যা ও ডেটা গ্রহণের অধিকারের উপর ভিত্তি করে তিন প্রকার হতে পারে। যথা

১. ইউনিকাস্ট (Unicast)

২. ব্রডকাস্ট (Broadcast).

৩. মাল্টিকাস্ট (Multicast) 

যদিও উপরােক্ত তিন প্রকার ডেটা ডেলিভারি মােডই প্রধানত প্রচলিত কিন্তু বর্তমানে ডেটা কমিউনিকেশনের বেশ কিছু নতুন | প্রযুক্তিগত ধারণার সন্নিবেশ ঘটায় আরও দুটি নতুন ডেটা ডেলিভারী মােড ক্রমশ:ই সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। | এগুলাে হলাে-অ্যানিকাস্ট (Anycast) এবং জিওকাস্ট (Geocast)

১. ইউনিকাস্ট মোড কি | ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন মোড হলো (Unicast) 

যে ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একজন প্রেরক থেকে একজন প্রাপকের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান হয়ে থাকে তাকে ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন মােড বলা হয়। এটি ওয়ান টু ওয়ান (1 to 1) বা পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (Point to Point) মােড হিসেবেও পরিচিত এক্ষেত্রে অনেক প্রাপক একই ডেটা চাইলেও পৃথক পৃথকভাবে ডেটা পৃথক পৃথক। প্রাপকের নিকট একজন গ্রাহকের কাছ থেকে ট্রান্সমিট হয়ে থাকে। সব রকম ল্যান এবং ইন্টারনেটে এই ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন-কোনাে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের দশটি কম্পিউটার থেকে পৃথক ব্যবহারকারীগণ একই ডেটা চেয়ে পাঠালে ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশনে দশজন প্রাপকের জন্য ডেটাটি দশবারই পৃথক পৃথকভাবে সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে ডেলিভারি হবে। ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স, ফুল-ডুপ্লেক্স মােড় হয়ে থাকে। টেলিকমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ইউনিকাস্টের উদাহরণ হলাে- মােবাইল, টেলিফোন, ফ্যাক্স, পেজার ইত্যাদি। কমপিউটার নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ইউনিকাস্টের উদাহরণ হলাে ইথারনেট, ওয়েব ব্রাউজার, ট্রান্সফার কন্ট্রোল প্রােটোকল (TCP), হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রােটোকল (HTTP), ফাইল ট্রান্সফার প্রােটোকল (ftp) ইত্যাদি।

২ ব্রডকাস্ট কি | ব্রডকাস্ট কাকে বলে (Broadcast) 

যে ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কভুক্ত কোনাে প্রেরক কম্পিউটার (বা নােড) হতে ডেটা ট্রান্সমিট হলে ওই নেটওয়ার্কভুক্ত সকল নােডই (প্রাপক) তা গ্রহণ করতে পারে তাকে ব্রডকাস্ট ট্রান্সমিশন বলে। এটি ওয়ান-টু-অল (1 to All) মােড নামে পরিচিত। সকল ধরনের ল্যান কিংবা ইন্টারনেট ছাড়াও ব্রডকাস্ট ট্রান্সমিশনটি আরও ব্যবহার হয় টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে। টেলিভিশনে কোনাে অনুষ্ঠান। সম্প্রচার করা হলে তা সকল টেলিভিশন বা গ্রাহকযন্ত্র একই সাথে গ্রহণ করতে পারে। আবার কোনাে ল্যান নেটওয়ার্ক এ একটি মেসেজ ব্রডকাস্ট সিস্টেম ট্রান্সমিট করলে সেটি নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটারের নিকট পৌছে যাবে। এক্ষেত্রে একজন প্রাপক থাকলেও একসাথে একাধিক গ্রাহক তা গ্রহণ করতে পারে। 

৩, মাল্টিকাস্ট মোড কি | মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন কী | মাল্টিকাস্ট এর উদাহরণ কোনটি(Multicast) 

ডেটা কমিউনিকেশনে ব্রডকাস্টের মাধ্যমে গ্রুপভুক্ত সকল নােডকে ডেটা প্রেরণ করা যায়, কিন্তু যদি এমন ব্যবস্থা করা যায় যে ডেটা গ্রুপভুক্ত সকল কম্পিউটার ডেলিভারি না হয়ে শুধুমাত্র যাদের যাদের ডেটার প্রয়ােজন রয়েছে তাদের কাছে ট্রান্সমিট হলে সেক্ষেত্রে এটি হবে মাল্টিকাস্ট। মাল্টিকাস্ট হলাে নেটওয়ার্কভুক্ত এমন একটি ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, যেখানে প্রেরক কম্পিউটার (বা নােড) হতে ডেটা ট্রান্সমিট হলে তা গ্রুপভূক্ত অনুমােদিত নােড় বা নােডসমূহই (প্রাপক) গ্রহণ করতে পারবে। এটি ওয়ান টু এন (1 to N) নামেও পরিচিত। নেটওয়ার্কভুক্ত যেকোনাে নােডকে এ ব্যবস্থায় ডেটা গ্রহণ হতে বাদ দেয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে টেলিকনফারেন্সিং এবং ভিডিও কনফারেন্সিং-এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। টেলিকনফারেন্সিং-এ অংশগ্রহণরত ব্যক্তিদের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ছাড়া অন্যরা এতে অ্যাকসেস করার সুযােগ পায় না। যেমন। উপরের চিত্রে ক হতে প্রেরিত ডেটা খ, গ এবং ঙ এর কাছে যাবে, কিন্তু ঘ এর কাছে যাবে না কেবল সে অননুমােদিত হওয়ার ফলে। মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশনে হাফ-ডুপ্লেক্স, ফুল ডুপ্লেক্স হয়ে থাকে। অডিও ও ভিডিও কনফারেন্সিং ছাড়াও মাল্টিকাস্ট পদ্ধতির অপর উদাহরণ হলাে গ্রুপ এসএমএস।

৪. অ্যানিকাস্ট (Anycast) | এনিকাস্ট কি

অ্যানিকাস্ট ট্রান্সমিশন হলাে বিশেষ ধরনের একটি অত্যাধুনিক ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন যা ইন্টারনেটে ডেটার ব্যাপক আধিক্যের চাহিদা অনুসারে সৃষ্ট হয়েছে। এই ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একই আইপি অ্যাড্রেস সম্বলিত একাধিক সার্ভারের যে কোন একটি প্রেরক হতে তার সম্ভাব্য প্রাপকদের মধ্যে টপােগ্রাফিক্যালভাবে নিকটতম একটি প্রাপক ডেটা গ্রহণ করে। যদি কোনাে কারণে ঐ নিকটবর্তী প্রাপক রেসপন্স করতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তী প্রাপক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐ ডেটা গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকে। বর্তমানে ইন্টারনেটে IPv6 প্রােটোকল, ডিএনএস ক্লায়েন্ট, ক্লাউড কম্পিউটিং প্রভৃতির ক্ষেত্রে এই ডেটা ডেলিভারি মােড় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই মােডটি ওয়ান টু ওয়ান বাই এন (1 to 1/N) মােড নামেও পরিচিত। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রেরক একটি। হলেও N সংখ্যক প্রাপকের মধ্যে থেকে অবস্থানগতভাবে (topographically) সবচেয়ে নিকটবর্তী একজন প্রাপক ডেটা গ্রহণ করবে। বর্তমানে ইন্টারনেটে এমন অনেক জনপ্রিয় সার্ভিস ওয়েবসাইট রয়েছে যারা একাধিক ওয়েব সার্ভারে সাইটটি হােস্ট করে এবং এই সার্ভারগুলাে ভিন্ন ভিন্ন রাউটিং দূরত্বে অবস্থান করে। একজন ইউজার যখন ঐ সাইটটি ব্রাউজ করার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠায়। তখন এনিকাস্ট ট্রান্সমিশন ব্যবহার করার ফলে তার রিকোয়েস্টটি তার কমপিউটার থেকে সবচেয়ে কম রাউটিং দূরত্বে অবস্থিত। সার্ভার নােডে প্রেরিত হবে। এর ফলে ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে সময়, ব্যয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য উন্নত সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত। হয়। চিত্রে ক হতে প্রেরিত ডেটা খ, গ এবং ঘ এর মধ্যে টপােগ্রাফিক্যালি খ নােডটি নিকটবর্তী হওয়ায় তা গ্রহণ করতে সক্ষম। হবে। কিন্তু কোনাে কারণে খ নােড ডেটা গ্রহণে ব্যর্থ হলে পরবর্তী নিকটবর্তী গ নােড গ্রহণ করবে। অ্যানিকাস্টও ইউনিকাস্টের ন্যায় সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স ও ফুল-ডুপ্লেক্স হতে পারে।

৫. জিওকাস্ট কি (Geocast) 

জিওকাস্ট হলাে একটি বিশেষ ধরনের মাল্টিকাস্ট মােড় যা বর্তমানে মােবাইল এডহক নেটওয়ার্কের জন্য কিছু কি প্রােটোকল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ডেটা ডেলিভারি মােডটিতে একটি প্রেরক থেকে প্রেরিত ডেটা কোনাে সুনির্দিষ্ট জিওগ্রাফিক্যাল লােকেশনের প্রাপক গ্রুপের সকলেই গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাপক গ্রুপটি নির্ধারিত হয় তাদের ভৌগােলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এবং এটি নির্ধারণের জন্য এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের Geo রাউটার (Geographic Router) ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে মােবাইল/স্মার্টফোন নির্ভর ইন্টারনেটে ও এর মাধ্যমে অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং সম্প্রসারিত বাজারের ডেটার চাহিদা মেটাতে এই বিশেষ মােডটির আবির্ভাব ঘটেছে। অনেক সময় কোনাে নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভিস কেবলমাত্র সুনির্দিষ্ট কিছু জিওগ্রাফিক্যাল লােকেশনে তাদের সার্ভিস পরিচালনা করে থাকে। এসব ক্ষেত্রে জিওকাস্ট ট্রান্সমিশন মােডটি কার্যকর একটি পদ্ধতি। জিওগ্রাফিক ম্যাসেজিং, জিওগ্রাফিক অ্যাডভার্টাইজিং, ভৌগােলিকভাবে সীমাবদ্ধ সার্ভিসভিত্তিক ডেটা ট্রান্সমিশন প্রভৃতি জিওকাস্টের উল্লেখযােগ্য উদাহরণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি ব্যাখ্যা কর | ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কত প্রকার

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কাকে বলে, সিমপ্লেক্স মোড কি, সিমপ্লেক্স কাকে বলে, সিমপ্লেক্স পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি, সিমপ্লেক্স মোডের উদাহরণ, হাফ ডুপ্লেক্স মোড কি, হাফ ডুপ্লেক্স মোড কাকে বলে, হাফ ডুপ্লেক্স এর উদাহরণ কোনটি, হাফ ডুপ্লেক্স পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি, ফুল ডুপ্লেক্স মোড কি, ফুল ডুপ্লেক্স কাকে বলে. ইউনিকাস্ট মোড কি, ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন মোড হলো। যদি তোমাদের আজকের এই লেখাটি ভালো লাগে নিচে কমেন্ট ওশেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ