ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় (Website ব্লগে ভিজিটর)

আপনি কি ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় খুজতেছেন? যদি ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় খুজে থাকেন তাহলে Welcome জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। কারন আমরা আজকে আলোচনা করব ব্লগে Blog ভিজিটর বাড়ানোর উপায় নিয়ে। যদি আপনি ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় খুজে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নিই কি কি সব উপায় গুলি।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় (Website ব্লগে ভিজিটর)

একজন পেশাদার ব্লগারের কাছে বেশি Visitors মানেই বেশি টাকা । একজন Blogger সরাসরি টাকা খােজ করতে পারেন না, তিনি ভিজিটর খােজ করেন। সে হিসেবে ব্লগারের মুল লক্ষ আসলে Visitor কে আকর্ষন করা। আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, ব্লগের ভালমন্দ তথ্য এবং অন্যান্য বিষয় দিয়ে বিবেচনা করতে পারেন, তাতে ব্লগারের আর্থিক লাভ নেই। 
তার আর্থিক লাভ বেশি ভিজিটরে।। অনেক ক্ষেত্রে বেশি ভিজিটর মানেই বেশি টাকা একথাও সরলভাবে প্রয়ােগ করা যায় না। এক Website হয়ত দৈনিক ১০ হাজার ভিজিটর যান কিন্তু তারা বিজ্ঞাপন (Advertisement) লিংকে ক্লিক করেন না (বিষয়ের কারনে সেটা হতে পারে), আবার আরেক Website হয়ত গড়ে ১ হাজার ভিজিটর যান কিন্তু নিয়মিত Click করেন। 
ব্লগারকে সমস্ত বিষয়ই হিসেব করে নিয়ন্ত্রন করতে হয় । তবে একটা বিষয়ে দ্বিমত নেই, ভিজিটর যত বেশি, আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। কম Visitors থেকে কোনভাবেই আয় আশা করতে পারেন না। ব্লগে ভিজিটর বাড়ানাের বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। একেক জনের জন্য একেক পদ্ধতি কার্যকর। এই পদ্ধতি গুলিও ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। কাজেই সবসময় একই পদ্ধতি ভাল ফল পেতে থাকবেন এমন কথা নেই । সবকিছু পর্যালােচনা করে নিয়মিত পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হয় । সাধারনভাবে প্রচলিত পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে জেনে নিন। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ও ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জানুন ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 

ব্লগে ভিজিটরের সবচেয়ে বড় উৎস (Search Engine) সার্চ ইঞ্জিন। কাজেই ব্লগারের মুল দায়িত্ব ব্লগকে ঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তুলে ধরা। সার্চ ইঞ্জিন নিজে থেকে প্রতিটি ব্লগকে পড়ে দেখে একথা ঠিক, তারপরও ঠিকভাবে উপস্থাপন করা ব্লগ প্রাধান্য পায় ।
সার্চ ইঞ্জিন Optimization নিজেই একটি বড় বিষয়। অল্প পরিসরে বিস্তারিত বর্ননা করার সুযােগ নেই। একেবারে প্রয়ােজনীয় বিষয়গুলি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে। সার্চ Engine অপটিমাইজেশন প্রক্রিয়াকে দুভাবে ভাগ করা হয়। একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর আভ্যন্তরীন, অন্যটি বাইরে থেকে প্রচারের ব্যবস্থা করা। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ও ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জানুন ।

অন পেজ এস ই ও (On Page SEO) - আভ্যন্তরিন বিষয়গুলি হচ্ছে 

১. ব্লগের নাম (Blog Name)
ব্লগের ডােমেন Name সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপুর্ন। অর্থবােধক সহজ নাম সার্চ ইঞ্জিন সহজে ব্যবহার করতে পারে । বিনামুল্যের ব্লগের চেয়ে রেজিষ্টার্ড ডােমেনকে প্রাধান্য দেয়। কাজেই ভাল ফল পেতে হলে এদিকে দৃষ্টি রাখা প্রয়ােজন।

০২. ব্লগের বর্ননা (Blog Description)
প্রতিটি ব্লগে বা ওয়েবসাইটে সাইটের মুল (Keywords) কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সাইটের সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেয়ার ব্যবস্থা থাকে । সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন । 

০৩. পােষ্টের টাইটেল (Post Of Title)
পােষ্টটি যে বিষয়ে তার পরিচিতি (Post Title) পােষ্ট টাইটেল। যে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে (Search) সার্চ করলে আপনার ব্লগ পাওয়ার আশা করেন সেগুলি পােষ্টের টাইটেলে রাখা জরুরী। এখানে গুরুত্বপুর্ন শব্দ আগে, কম গুরুত্বের শব্দ পরে এভাবে রাখাও জরুরী । অনেকে বাংলা ব্লগেও ইংরেজি টাইটেল ব্যবহার করেন। এতে সার্চ ইঞ্জিনে ভাল ফল পাওয়া যায় (যদিও গুগল সার্চ করার সময় অনুবাদ করে নেয়)। পােষ্ট টাইটেলে একদিকে সার্চের জন্য Keyword রাখা জরুরী অন্যদিকে পােষ্টের বিষয়ের সাথে মিল রাখাও গুরুত্বপুর্ন । টাইটেলের সাথে মুল পােষ্টের তথ্যের গড়মিল থাকলে সেটা সার্চ ইঞ্জিন জানে, একসময় সেটাই ব্লগের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাড়ায়। 

৪. উচুমানের পােষ্ট (Long Post)
ব্লগপােষ্টে ঠিক কি আছে সেগুলি সার্চ ইঞ্জিন যাচাই করে কয়েকভাবে। একবার পুরাে পােষ্ট পড়ে সেখানকার গুরুত্বপুর্ন শব্দগুলির (কিওয়ার্ড) তালিকা তৈরী করা হয় । ভিজিটর কোন কিওয়ার্ড লিখে সেই পােষ্টে এসেছেন এবং তার প্রতিক্রিয়া কি, কতটা সময় সেখানে ব্যয় করেছেন ইত্যাদি হিসেব করা হয় ।
কোন পােষ্ট অন্য কোন সাইটের পােষ্টের কপি কিনা সেটাও যাচাই করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে ব্লগের জন্য। পােষ্টই ব্লগের প্রাণ । সেখানে যত প্রয়ােজনীয় তথ্য থাকবে, Visitors যত বেশি সময় ব্যবহার করবেন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তত ভাল ফল পাওয়া যাবে।

অফ পেজ এসইও (Off Page SEO) আর বাইরের পদ্ধতিগুলি হচ্ছে; 

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ও ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জানুন ।
১. ডিরেক্টরী লিষ্টিং (Directory Listing)
যেখানে ব্লগ বিষয়ক তথ্য থাকে সেখানে ব্লগের নাম তালিকাভুক্ত করা । গুগল (Google), ইয়াহু (Yahoo), বিং(Bing) প্রত্যেকেরই সাইটে গিয়ে ব্লগের নাম এবং বর্ননা টাইপ করে একাজ করা হয়। 

২. অটো পিঙার ব্যবহার করা (Auto Pinger)
পিং-ও-মেটিক এর মত কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য পাঠানাে। এধরনের বেশকিছু সাইট রয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে বিনামুল্যের ওয়ার্ডপ্রেস নিজে থেকে একাজ করলেও ব্লগার করে। 
৩. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার। (Social Network)
ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট ব্যবহার করে ব্লগের প্রচার বাড়ানাের ব্যবস্থা করা। হয়ত লক্ষ করেছেন প্রায় সমস্ত ওয়েবসাইটের নিজস্ব ফেকবুক-টুইটার ইত্যাদি একাউন্ট থাকে। 

৪. অন্যের ব্লগ ব্যবহার (Guest Posting)
অন্য ব্লগে মন্তব্য বা পােষ্ট লিখে নিজস্ব ব্লগের সাথে লিংক তৈরী করা। Link Building সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গুরুত্বপুর্ন একটি কাজ। কারাে সাথে লিংক বিনিময় করা যেতে পারে। অর্থাৎ নিজের লিংক অন্যের সাইটে রাখার বিনিময়ে অন্যের লিংক নিজের সাইটে রাখা। এতে দুপক্ষই উপকৃত হয় । এর ক্ষতিকর দিক হচ্ছে একজনের ক্ষতি হলে অন্যজনেরও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে গুগল বিষয়টি পছন্দ করে না। কারাে সাথে লিংক (Link) বিনিময় করার সময় সেই সাইট সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন।

সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও অন্যভাবে যেহেতু ভিজিটর সাইটে যান সেহেতু অন্যভাবেও ভিজিটর বাড়ানাে যায়। সেক্ষেত্রে পদ্ধতিগুলি হতে পারে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ও ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জানুন ।

১. অনলাইন বিজ্ঞাপন দেয়া (Online Advertisement)
জনপ্রিয় কোন সাইটে ব্যানার বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ভিজিটর বাড়ানাে একটি সাধারন পদ্ধতি । বিশেষ করে প্রথমদিকে দ্রুত প্রচারের জন্য এধরনের বিজ্ঞাপন ভাল কাজ দেয়। 

২.রিভিউ লেখার ব্যবস্থা করা (Write Review)
ওয়েবসাইট বিষয়ক তথ্য প্রচার করা হয় এমন কোথাও সাইটের পরিচিতি তুলে ধরার ব্যবস্থা করা। এজন্য টাকা খরচ করতে হতে পারে । ভুলে যাবেন না, তারাও ব্যবসা করছেন। আপনার ব্লগে কেউ। Review প্রকাশ করতে চাইলে আপনিও টাকা দাবী করবেন, নিতান্ত সেবামুলক বিষয় ছাড়া। 

৩. পিটিসি বিজ্ঞাপন দেয়া (PTC Advertisment)
পিটিসি সম্পর্কে আলােচনা করার সময় বলা হয়েছে পিটিসি আসলে বিজ্ঞাপন (Network) নেটওয়ার্ক। বিজ্ঞাপন। প্রচারের জন্য এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। মাত্র ৫ ডলারে হাজার ক্লিক (ভিজিট) দেয়ার মত PTC সাইট অনেক পাওয়া যায়। পিটিসি Advertisment দেয়ার সময় মনে রাখা ভাল, যারা পিটিসি ব্যবহার করেন তারা কম পরিশ্রমে অল্প টাকা আয় করতে আগ্রহি। সবধরনের সাইটের বিজ্ঞাপন তাদের আকৃষ্ট নাও করতে পারে । 

৪. অফলাইন বিজ্ঞাপন দেয়া (Offline Advertisement)
খবরের কাগজে বা পত্রিকায়, পথের ধারে ব্যানার-বিলবাের্ড-পােষ্টার কিংবা ষ্টিকারে কোন ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন অবশ্যই চোখে পড়েছে। সাধারনভাবে সবার চোখে পড়ে এমন বিজ্ঞাপন সবসময়ই প্রচারে সহায়ক । ব্লগের প্রচারের জন্যও এধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। 

৫. এক্সপার্টের সাহায্য নেয়া। (Help From Expert)
নিজে না পারলে এক্সপার্টের কাছে যাও, এই নিয়মে অভিজ্ঞ কারাে সাহায্য নিতে পারেন। বহু প্রতিষ্ঠানের মুল ব্যবসা অন্যের সাইটের প্রচারের ব্যবস্থা করা। এধরনের সেবা নেয়ার সময় সাবধান থাকাই ভাল । অটোমেটেড ব্যবস্থায় এমন কিছু বিষয় থাকে যা গুগল পছন্দ করে না। নিতান্ত প্রয়ােজন না হলে এধরনের সেবা না নেয়াই ভাল। যদি নিতেই হয় তারা ঠিক কি করবে, তারসাথে গুগলের নিয়মের বিরােধ জন্মাবে কি-না জেনে তবেই এধরনের সেবা নিন।

একজন ব্লগারকে এই নিয়মের মধ্যে কাজ করতে হবে এমন কথা নেই। তিনি নিজেও নিজস্ব পদ্ধতি বের করতে পারেন। একজন কিশাের তার ব্লগ থেকে লক্ষ Dollar আয়ের পর গুগল তাকে ডেকে চাকরী দিয়েছে এমন উদাহরন রয়েছে। আপনার পক্ষেও সম্ভব নতুন পদ্ধতি বের করা।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় - ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
আশা করি আমাদের আজকের এই ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় লেখাটি ভালো লেগেছে। যদি আমাদের লেখা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় গুলো ভালো লাগে তাহলে নিচে Comment করে আমাদের thanks দিতে যাবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন Article পেতে আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন। আমাদের আজকের পোষ্ট টি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ