কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন (ব্লগিং নিশ, ব্লগ টপিক, ব্লগের বিষয়)

কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন আপনি কি জানতে চান? ব্লগিং নিশ, ব্লগ টপিক এবং ব্লগের বিষয় নির্ধারণ করেই তারপর Blog শুরু করা উচিত। কারন ব্লগ বানিয়ে আজাইরা হিজিবিজি পোষ্ট দিয়ে লাভ নাই। সেই জন্য কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন সেটা আগে নির্ধারণ করুন।

কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন (ব্লগিং নিশ, ব্লগ টপিক, ব্লগের বিষয়)
কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন (ব্লগিং নিশ, ব্লগ টপিক, ব্লগের বিষয়)

কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন - Create a blog on any topic

ব্লগ তৈরী করে সেখান থেকে আয়ের কথা যখন বলা হচ্ছে তখন স্বাভাবিক প্রশ্ন, কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করা যায় । উত্তরটাও স্বাভাবিক। যে বিষয়ে বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে।

কোন বিষয়ে বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে নিশ্চিত করার সহজ পদ্ধতি নেই । Blog থেকে আয়ের বিষয়ে প্রচলিত কথা, কেউ উচুমানের ব্লগ তৈরী করে আয় করতে পারেন না, কেউ সাধারন মানের ব্লগ তৈরী করে ভাল Income করেন। বিষয়টি ভাল সাহিত্য কিংবা চলচ্চিত্রের সাথে তুলনা করতে পারেন । যিনি উচুমানের সাহিত্য রচনা করেন কিংবা নিখুত চলচ্চিত্র তৈরী করেন তিনি বেশি পাঠক বা দর্শক পান না। বরং যিনি বানিজ্যিক বিষয়টি বুঝে লেখেন বা চলচ্চিত্র তৈরী করেন তিনি সহজে জনপ্রিয় হন। 

ব্লগ তৈরীর সময় দুটি বিষয়ই বিবেচনা করা প্রয়ােজন হয়। সরাসরি লাভের কারনে বানিজ্যিক বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হয়। আবার ব্লগের সুনামের জন্য, লাভকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য তার মান ঠিক রাখতে হয় । উদাহরন দিয়ে দেখা যাক। এই লেখাটি ইন্টারনেটে income সম্পর্কিত। বর্তমানে বাংলাদেশে (এবং সারা বিশ্বে) ইন্টারনেটে আয় অত্যন্ত আলােচিত বিষয়। ব্লগ তৈরীর জন্য বিষয়টিও তুলনামুলক সহজ মনে হতে পারে। 

কাজেই মনে করা স্বাভাবিক এধরনের বিষয় নিয়ে ব্লগ তৈরী করলে দ্রুত বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে। বাস্তবতা যাচাইয়ের জন্য ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কিত কোন শব্দ লিখে গুগল সার্চ করুন । নিশ্চিতভাবেই কয়েক লক্ষ সাইটের দেখা পাবেন। শুধুমাত্র Bangla ভাষাতেই শতশত সাইট দেখলে অবাক হবেন না। এরা সবাই আপনার প্রতিযােগী। তদের সাথে প্রতিযােগিতা করে আপনাকে সামনে আসতে হবে। নিজস্ব বৈশিষ্ট তুলে ধরতে হবে। কাজটি অসম্ভব না হলেও সহজ না। কাজেই বর্তমানের জনপ্রিয় বিষয় নিয়ে blog করা একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। 

বিপরীতভাবে blogging এর মুলমন্ত্র হচ্ছে হুজুগকে কাজে লাগানাে। ইন্টারনেট নিজেই হুজুগের যায়গা । তারসাথে যত বেশি মিল রেখে চলতে পারেন ইন্টারনেট থেকে আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। আরেকটি উদাহরন দেখা যাক । অধিকাংশ জরিপ বলে ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফিতে মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ দেখায়। শতকরা ৮০ জনেরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী Intertnet পর্নোগ্রাফি খােজ করেন। একে কি ব্যবসার কাজে লাগানাে যায় ? শুরুতেই একে মাথা থেকে বিদায় করা ভাল। গুগল এধরনের সাইটে বিজ্ঞাপন ব্যবহারের সুযােগ যে দেয় না তাইনা, বরং এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া বিভিন্ন দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি, নৈতিক এবং সামাজিক অপরাধের বিষয় তাে আছেই।

আরেক উদাহরন হতে পারে পাইরেটেড কিছু নিয়ে সাইট তৈরী করা। সারা বিশ্বের মানুষ অনলাইনে পাইরেটেড Software, গান, Video, E-book ইত্যাদি ব্যবহার করে। এগুলি ডাউনলােডের জন্য রেখে কি সাইট তৈরী করা যায় ? এখানেও উত্তরটা একইরকম। Google এধরনের সাইটের বিপক্ষে। আর প্রতিযােগিতায় বিশ্বসেরা পাইরেসি সাইটগুলির সাথে পেরে ওঠার কোন প্রশ্নই আসে না। জানেন নিশ্চয়ই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাইরেসি সাইটের প্রতিষ্ঠাতা কিম ডটকম বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তাহলে ব্লগ বা Website তৈরী করা যায় কোন বিষয়ে?

এজন্য বিশেষজ্ঞরা সাধারনভাবে যে পরামর্শ দেন সেগুলি একবার দেখে নিন; 

১. যে বিষয়ে আপনি সবচেয়ে ভাল জানেন

প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু বিষয় থাকে যে বিষয়ে তিনি সবচেয়ে ভাল জানেন । শিক্ষাগত এবং পেশাগত কারন ছাড়াও যে বিষয়ে আগ্রহ বেশি সেবিষয়েও জানতে পারেন। কেউ চলচ্চিত্রে আগ্রহি, কেউ খেলাধুলায়, কেউ কম্পিউটার গেমে কেউ বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির বিষয়ে, কেউ সাম্প্রতিক রাজনীতিতে। যে বিষয়ে নিয়মিতভাবে উচুমানের তথ্য দেয়া সম্ভব এমন বিষয় বেছে নিন। 

২. দীর্ঘস্থায়ী কোন বিষয়।

পুরােপুরি হুজুগের ওপর নির্ভর করবেন না। এমন কোন বিষয় বেছে নিন যা দীর্ঘস্থায়ী। কোন কারনে | সেখানে হুজুগের প্রভাব পড়লে সেখানেও সাথেসাথে পরিবর্তন আনুন। 

৩. অন্যের উপকারী কোন বিষয়

একজন Visitor যখন আপনার ব্লগ থেকে উপকার পাবেন শুধুমাত্র তখনই ব্লগ নিয়মিত ব্যবহার করবেন । আন্তরিকভাবে ভিজিটরকে সাহায্য করতে চেষ্টা করুন। ভিজিটরকে বােকা ভাববেন না, ঠকাতে চেষ্টা করবেন না। নবীন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত যে কেউ আপনার ব্লগের ভিজিটর হতে পারেন।

আয়ের জন্য কোন ধরনের ব্লগ তৈরী করবেন

আয়ের জন্য কোন ধরনের ব্লগ তৈরী করে ভাল ফল পাওয়ার জন্য সফল ব্লগগুলির দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন। সফল কিছু ব্লগের বিষয় এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে যেগুলি নিয়ে আপনিও ব্লগ তৈরী করতে পারেন ।

১. তথ্য বিষয়ক ব্লগ (Informational blog)

বিপুল সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রয়ােজনীয় তথ্য খােজ করার জন্য। এজন্য কি, কেন, কিভাবে ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর দেয়া সাইটগুলিতে ভিজিটর অত্যন্ত বেশি। কোন ডিভাইস কিভাবে কাজ করে, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, কি দেখে কিনতে হয় থেকে শুরু করে কোন খাবার কিভাবে রান্না। করতে হয়, এমন যেকোন কিছুই ব্লগের বিষয় হতে পারে । তথ্য জমা হতে হতে একসময়। এনসাইক্লোপিডিয়ায় পরিনত হবে পারে আপনার ব্লগ। 

২. তথ্য বিষয়ক ভিডিও ব্লগ (Informational Video blog)

অনেক বিষয় লিখে বা ছবি দিয়ে যেভাবে প্রকাশ করা যায় Video দিয়ে তারচেয়ে অনেক ভালভাবে । প্রকাশ করা যায় । টাই কিভাবে বাধতে হয় ভিডিওতে দেখানাে থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়ােজনীয় অন্য যে। কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও তথ্য নিয়ে ব্লগ করা যেতে পারে। তথ্য বিষয়ক ভিডিও ব্লগগুলি সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয়। অনেক ক্ষেত্রে এগুলি ভিন্ন ভাষার ব্যবহারকারীরাও ব্যবহার করেন। সাধারনভাবে টেক্সট টিউটোরিয়ালের চেয়ে ভিডিও টিউটোরিয়ালের দিকে মানুষের আগ্রহ বেশি। এই বইতে মুলত নিজে কাজ করে আয়ের কথা বিবেচনা করা হয়েছে। একে পুরােপুরি পেশা হিসেবে বিবেচনা করে ভিডিও ব্লগ তৈরী করা যেতে পারে । ভিডিও তৈরীতে যারা পেশাদার তাদের মাধ্যমে। ভিডিও তৈরী করে নিলে অনায়াসে নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা হতে পারে। ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরীর সময় একটি বিষয় মনে রাখা জরুরী। বাংলাদেশ সহ অনেক দেশে ইন্টারনেটের গতি কম, খরচ বেশি। ইচ্ছে থাকলেও অনেকে ইন্টারনেটে ভিডিও ব্যবহারের সুযােগ পান না। 

৩. টিউটোরিয়াল ব্লগ (Tutorial blogs)

প্রত্যেকেরই কোন না কোন বিষয় জানা প্রয়ােজন হয়। প্রয়ােজনের সময় জানার জন্য সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা ইন্টারনেট টিউটোরিয়াল । কম্পিউটারের কোন সফটঅয়্যারের টিউটোরিয়াল এজন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত । গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রােগ্রামিং যে কোন বিষয় নিয়েই টিউটোরিয়াল ব্লগ তৈরী। হতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এসব বিষয় নিয়ে বহু ব্লগ-ওয়েবসাইট রয়েছে। তারপরও চাহিদার কমতি নেই।

৪. বিষয়ভিত্তিক ব্লগ (Topic based blogs)

ইতিহাস, পদার্থ বা রসায়নবিদ্যা, দেশ-বিদেশ, সাহিত্য ইত্যাদি যে কোন বিষয় নিয়ে বিশ্বকোষ জাতিয় ব্লগ তৈরী করা যেতে পারে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ওয়েবসাইট উইকিপিডিয়াকে উদাহরন হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এমন কোন তথ্য নেই যা সেখানে পাওয়া যায় না। এই সাইটের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট ইচ্ছে করলে যে কেউ তথ্য যােগ বা সংশােধন করতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক ব্লগের জন্য এধরনের সুবিধে থাকা গুরুত্বপুর্ন। 

৫. বিনােদন মুলক ব্লগ (Entertainment blog)

চলচ্চিত্র, সঙ্গিত, খেলাধুলা ইত্যাদি বিষয়ে খবর, আলােচনা, ইত্যাদি নিয়ে আকর্ষনীয় ব্লগ তৈরী হতে পারে । নতুন আসা কম্পিউটার গেম, বই, গানের এলবাম, চলচ্চিত্রের খবর, রিভিউ ইত্যাদি অনেকের আগ্রহের বিষয়। 

৬. ব্যবসা বিষয়ক ব্লগ (Business blog)

ব্যবসা সংক্রান্ত ব্লগের চাহিদা সবসময়ই বেশি। মানুষের স্বাভাবিক প্রবনতা কোন পন্য দেখলে দাম খােজ করা। একসময় প্রাইসওয়াচ নামে একটি ইংরেজি ওয়েবসাইট সবধরনের পন্যের দাম জানানাের জন্য খুব জনপ্রিয় ছিল। বর্তমানে অন্য সাইটগুলি তাদের দেয়া তথ্যকে সরাসরি নিজেদের সাইটে ব্যবহার করে। বলে পৃথকভাবে সেটা ব্যবহার করা হয় না। বাংলাদেশের সাধারন পন্যগুলির বাজারদর উল্লেখ করে। গুরুত্বপুর্ন সাইট তৈরী হতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন কম্পিউটার, মােবাইল ফোন, ক্যামেরা ইত্যাদি সম্পর্কে যার সামান্য আগ্রহ আছে তিনি নিয়মিত দামের খােজ রাখেন। নতুন এবং পুরনাে জিনিষপত্র বিক্রির একাধিক সাইট বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এধরনের ভিন্ন বিষয় নিয়ে, অতিরিক্ত সুবিধে দিয়ে আরাে সাইট হতে পারে। উল্লেখ করা প্রয়ােজন, এধরনের সাইটকে নিখুত হতে হয় । একা এধরনের সাইট তৈরী বা পরিচালনা করা যায় না। প্রতিষ্ঠান হিসেবে এধরনের সাইটের পরিকল্পনা করাই ভাল। 

৭. রিভিউ বিষয়ক ব্লগ (Blog about reviews)

কোন পন্য কেনার প্রয়ােজন হলে যারপক্ষে সম্ভব তিনি ইন্টারনেটে রিভিউ দেখে নেন। সেই পন্যের ভালমন্দ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় ইন্টারনেট রিভিউ থেকে। সেই পন্য যারা কিনেছেন এবং ব্যবহার করেছেন তারাও নিজেদের মত প্রকাশ করেন। কেউ সন্তুষ্ট হলে সেকথা যেমন জানান তেমনি কেউ অসন্তুষ্ট হলে সেটাও জানান । নতুন ক্রেতার জন্য তথ্যগুলি খুবই উপকারী। ইংরেজিতে এধরনের অসংখ্য সাইট থাকলেও বাংলায় সুযােগ রয়ে গেছে । 

৮. প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ (Technology blog)

মানুষ নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে সবসময়ই আগ্রহি। প্রযুক্তির খবর, নতুন উদ্ভাবন, কোন প্রযুক্তির ব্যাখ্যা ইত্যাদি নিয়ে আকর্ষনীয় ব্লগ হতে পারে । এধরনের তথ্য সংগ্রহ করা তুলনামুলক সহজ। অনেক ব্লগ পাওয়া যাবে যেগুলি মুলত নির্দিষ্ট কিছু ব্লগের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা । 

৯, ফটো ব্লগ (photo blog)

শুধুমাত্র ছবি নিয়েই জনপ্রিয় ব্লগ হতে পারে । চারিদিকে যাকিছু রয়েছে তার ছবি উঠিয়ে ব্লগে জমা করতে শুরু করুন। পরিচিত যারা ছবি উঠায় তাদের কাছে ছবি নিন। একসময় বিপুল পরিমান ছবির জনপ্রিয়। ব্লগে পরিনত হবে।

ব্লগ তৈরীর বিষয়ের অভাব নেই। এমনকি জনপ্রিয় ব্লগগুলির লিংক নিয়েই জনপ্রিয় ব্লগ হতে পারে । ইন্টারনেটে অনেকগুলি ব্লগের দেখা পাবেন যেখানে রয়েছে মুলত সংবাদপত্র এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লিংক। এদের অনেকেরই রয়েছে লক্ষাধিক ভিজিটর। ব্লগ থেকে আয় যখন মুখ্য তখন প্রথম লক্ষ ভিজিটর আকৃষ্ট করা। যে বিষয়ে ভিজিটর বেশি খােজ করেন সেগুলি নিয়ে ব্লগ তৈরী করা। এর পরের লক্ষ ভিজিটর ধরে রাখা। সেকারনে প্রয়ােজন উচুমানের তথ্য যােগ করা, ক্রমাগত পরিবর্তন আনা। এই দুটি বিষয় মনে রাখলে কয়েক মাসের চেষ্টায় ব্লগের পরিচিতি তৈরী সম্ভব। আর বছর দুয়েকের মধ্যে সেটা লাভজনক ব্যবসায় পরিনত হতে পারে।

ভাল ব্লগ তৈরীর জন্য যে তথ্যগুলি জানা প্রয়ােজন 

আপনি ব্লগ থেকে Income করতে চান, সেজন্য প্রয়ােজন ভাল ব্লগ । সেটা কিভাবে করবেন ? বরং উল্টো প্রশ্ন করা যেতে পারে, ভাল ব্লগ কাকে বলে ? উত্তরে নিশ্চয়ই বলা হবে যে ব্লগ বেশি Visitor ব্যবহার করে।

উত্তরটা সবসময় সঠিক অর্থ বহন নাও করতে পারে। বিষয়টি বােঝার জন্য ব্লগিং বিষয়ক কিছু শব্দ এবং অর্থ জানা প্রয়ােজন। যে কোন ব্লগে ভিজিট সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা থাকে। কতজন সাইট ভিজিট করেছেন, তাদের কে কোন দেশ-এলাকা থেকে এসেছেন, কি লিখে সার্চ করেছেন বা অন্য কোন সাইট থেকে এসেছেন, কোন পেজে কতক্ষন সময় কাটিয়েছেন, কোথায় ক্লিক করেছেন, কোন অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহার করেছেন, কোন Browser ব্যবহার করেছেন ইত্যাদি সমস্ত কিছু। 

একজন ব্লগার এগুলি থেকে ধারনা পান তার Visitor সম্পর্কে। তারসাথে মিল রেখে সাইটের উন্নতি করেন। সাইটের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য গুগলের বিনামুল্যের একটি সেবা রয়েছে গুগল এনালাইটিক্স নামে। সেখানে সদস্য হয়ে কয়েক লাইন কোড কপি করে যে কোন সাইটে ব্যবহার করা যায় । Google Analytics এরপর থেকে সাইটের সব ধরনের তথ্য রাখতে শুরু করে। ব্লগারে বর্তমানে পরিসংখ্যান অনেকটা উন্নত করা হয়েছে। 

ড্যাসবাের্ডে (কন্ট্রোল প্যানেল) ষ্ট্যাটস লিংকে ক্লিক করে প্রয়ােজনীয় অধিকাংশ তথ্য জানা যায়। অনেকে শুধুমাত্র এর ওপর নির্ভর করেই কাজ চালাতে পারেন । তারপরও, আরাে ভাল করতে হলে এনালাইটিক্স এর সদস্য হওয়াই ভাল। ড্যাসবাের্ডে Analytics লিংকে ক্লিক করে ব্লগের নাম-ঠিকানা দিয়ে আপনার জন্য কোড পেতে পারেন। সেটা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সেই নির্দেশ সেখানেই পাবেন ।

যে তথ্যগুলি ব্লগারের জানা প্রয়ােজন হয় সেগুলি দেখা যাক 

১. ভিজিট বা হিট (Blog Visitor)

ব্লগে নির্দিষ্ট সময়ে কতবার ভিজিট করা হয়েছে সেই সংখ্যা। Blogger সর্বশেষ দুঘন্টা পর্যন্ত হিসেব দেখাতে পারে (গ্রাফ সহ)। এছাড়া ২৪ ঘন্টা থেকে শুরু করে মাস, বছর বা ব্লগ তৈরীর সময় থেকে যেকোন হিসেবই জেনে নিতে পারেন। হিট হিসেব করা হয় ভিজিটরের কাজ অনুযায়ী। যেমন ভিজিটর প্রথমবার সাইটে ঢুকলেন সেটা এক হিট, কোন লিংকে ক্লিক করে অন্য পেজে গেলেন সেটা আরেক হিট। কোন সাইটের পরিসংখ্যানে যদি বলা হয় ১ লক্ষ ভিজিট, সেটা ১ লক্ষ জন ভিজিটর বলে ভুল করবেন না। প্রতিজন গড়ে ১০ বার ক্লিক করলে ভিজিটরের সংখ্যা ১০ ভাগের ১ ভাগ। একই ব্যক্তি কোন Website দিনে কয়েকবার ভিজিট করতেও পারেন। সেই হিসেব এখানে যােগ হয় । 

২. ইউনিক ভিজিটর (Unique Visitor)

আগে যেমনটা উল্লেখ করা হল, একজন Visitor বহুবার হিসেবে যােগ হতে পারেন । ব্লগারের জানা প্রয়ােজন্য কতজন পৃথক পৃথক ভিজিটর সাইটে এসেছেন। সেটাই ইউনিক ভিজিটর। একজন ভিজিটর যদি তিনে ৫ বার সাইটে ঢােকেন তাহলেও তাকে একজন হিসেবে শনাক্ত করা হয় । নিউ ভিজিটর কোন ভিজিটর প্রথমবার সাইটে ঢুকলে তাকে New Visitor হিসেবে চিহ্নিত করা হয় । নিউ ভিজিটর সংখ্যা বেশি হওয়ার অর্থ ভিজিটর আপনার সাইট সহজে খুজে পাচ্ছেন। নতুনদের কাছে সাইটের পরিচিতি বাড়ছে। কম পাওয়ার অর্থ আপনার প্রচারনা বাড়াতে হবে। বিপরীতভাবে ফিরে আসা Visitor বেশি হওয়ার অর্থ ভিজিটররা আপনার সাইট কোন কারনে পছন্দ করছেন। ভিন্ন ভিন্ন অর্থে দুটিই ব্লগের জন্য উপকারী। 

৪. গড় ভিজিটের সময় (Average Visit Times)

ভিজিটররা গড়ে কতটা সময় সাইটে কাটিয়েছেন সেই হিসেব। বিষয়টি Websiter ধরনের ওপর নির্ভর করে। সংবাদপত্র, টিউটোরিয়াল ইত্যাদি সাইটে সাধারনত ভিজিটররা বেশি সময় কাটান। সাধারনভাবে ২ মিনিট সময়কে ভাল বলে ধরা হয়। বাংলা-টিউটর সাইটে ভিজিটররা সময় কাটান ১০ থেকে ১২ মিনিট। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছিল মানুষ এপলের সাইটে সময় কাটায় ১ ঘন্টার বেশি । Visitor ধরে রাখা সাইটের বড় সাফল্য। 

৫. বাউন্স রেট (Bounce Rate)

কোন Visitor সাইটে ঢুকে সাথেসাথে সেখান থেকে চলে গেছেন, একে বলা হয় বাউন্স । বিভিন্ন কারনে। ভিজিটর চলে যান। ভুল করে অন্য সাইটে ঢােকা থেকে শুরু করে সাইটের চেহারা বা বিষয় পছন্দ না। হওয়া, Load হতে দেরী হওয়া কিংবা অন্য কোন সমস্যা ইত্যাদি। সাধারনভাবে ৪০% পর্যন্ত Bounce Rate গ্রহনযােগ্য বলে ধরা হয় । এরথেকে যত কম হয় তত ভাল । 

৬. পেজ পার ভিজিট (Page per Visit)

নাম থেকেই ধারনা করা যায়, Visitor গড়ে কতগুলি Page ভিজিট করেন তার হিসেব । এটাও নির্ভর করে সাইটের ধরনের ওপর । কোন সাইটে শুধুমাত্র নতুন পােষ্টটি গুরুত্বপুর্ন, কোন সাইটে পুরনাে পােষ্টগুলিও সবসময়ই ভিজিটরকে আকৃষ্ট করে । 

৭. ল্যান্ডিং পেজ (Landing Page)

সাইটে ঢােকার সময় Visitor প্রথম যে পেজে গেছেন তাকে বলা হয় (Landing Page) ল্যান্ডিং পেজ। সবসময়ই এটা Home Page হবে এমন কথা নেই। অন্য কোন বিষয়ে সার্চ করে সেই পেজে যেতে পারেন। ল্যান্ডিং পেজ বিশ্লেষন করা জরুরী। যে পেজ সবচেয়ে বেশি Visitor আকর্ষন করে সেটা উন্নত রাখা প্রয়ােজন, দ্রুত লােড হয় এমন রাখা প্রয়ােজন। যে কারনগুলির জন্য সেটি বেশি ভিজিটর আকর্ষন করে তাকে অন্য পেজেও প্রয়ােগ করা যেতে পারে। অন্য গুরুত্বপুর্ন পেজের লিংকগুলি সেখানে রাখা যেতে পারে। 

৮, ট্রাফিক সাের্স (Traffic Source)

Visitor কিভাবে আপনার সাইট পেয়েছে সেটা ট্রাফিক সাের্স। তিনি সরাসরি সাইটের ঠিকানা টাইপ করে আসতে পারেন, সার্চ করে পেতে পারেন, অন্য কোন সাইটের Link থেকে আসতে পারেন। সাইটের প্রচারনা বাড়ানাের জন্য এগুলি বিশ্লেষন করা প্রয়ােজন হয় । 

৯. সার্চ কিওয়ার্ড (Search Keyword)

যে কোন সাইটের ভিজিটরের সবচেয়ে বড় উৎস Search Engine। কোন keyword লিখে সার্চ করে আপনার সাইটে ভিজিটর এসেছেন সেটা জানা প্রয়ােজন একারনেই । সাধারনত ব্লগাররা যা করেন, যে। কিওয়ার্ডগুলি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় সেগুলিকে আরাে বেশি ব্যবহার করেন। কখনাে কখনাে শব্দ সামান্য এদিক-ওদিক করে ভাল ফল পাওয়া যায় । উল্লেখ করা যেতে পারে, নতুন সাইটকে সার্চ করে প্রথমদিকে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। সার্চ ইঞ্জিনের কাছে প্রাধ্যান্য পাওয়ার (সার্চ র্যাংকিং এওপরের দিকে থাকা) একজন ব্লগারের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। Search Engine Optimization (এসইও) অনেকের পেশা যাদের দায়িত্ব কোন সাইটকে সামনের দিকে আনা। আপাতত এটুকু মনে রাখা ভাল, আপনার নতুন Blog Search করে পাওয়া যাচ্ছে না দেখে হতাস হবেন না। তার অবস্থান রয়েছে পেছনের দিকে কোথাও | তাকে সামনের দিকে আনাই আপনার দায়িত্ব।

১০.লােকেশন (Location)

ভিজিটর কোন দেশ বা কোন এলাকা থেকে এসেছেন সেটা জানা যায় এখান থেকে । অনেকের জন্যই বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। যদি স্থানীয়ভাবে কোন পন্য বা সেবা বিক্রি করতে চান আপনি নিশ্চয়ই স্থানীয় । ভিজিটর খােজ করবেন। আবার আমেরিকা থেকে ক্লিক করলে আয় বেশি এমন অবস্থায় আমেরিকান Visitor পাওয়া যাচ্ছে কি-না খােজ করবেন। দেশ বিশ্লেষন করে ব্লগার ঠিক করেন তিনি কোন ধরনের বিষয় যােগ করবেন কিংবা কি পরিবর্তন আনবেন যেন সঠিক Visitor বেশি পাওয়া যায়।

মুল এই বিষয়গুলি ছাড়াও আরাে বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষন থেকে সাইটের উন্নতি করতে হয়। কাজ শুরু করে একটু একটু করে শেখার চেষ্টা করতে পারেন এবং একটু একটু করে প্রয়ােগ করতে পারেন । সাধারনভাবে বলা হয় কোন ব্লগের পরিচিতি লাভ করতে কমপক্ষে ৬ মাস, গড়ে ১ থেকে ২ বছর প্রয়ােজন হয় । অনেক সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য যেতেই ৩ মাস পর্যন্ত সময় প্রয়ােজন হয়। কাজেই ব্লগ তৈরীর সাথে সাথেই ভিজিটররা ভিড় জমাচ্ছেন না দেখে হতাস হবেন না। যা লক্ষ করা প্রয়ােজন তা হচ্ছে আপনার ব্লগে Visitor বাড়ছে কি-না । ব্লগের Visitor যদি সামান্য করেও বাড়ে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার ব্লগের উন্নতি হচ্ছে। আর যদি থেমে থাকে তাহলে জানবেন কোথাও ত্রুটি রয়ে গেছে । সেটা খুজে বের করে সংশােধন করা প্রয়ােজন।

ব্লগারকে কি কাজ করতে হয় 

ব্লগ থেকে Income নিয়ে অনেক কথাই বলা হয়েছে এপর্যন্ত । প্রশ্ন করতে পারেন, ব্লগারের আসল কাজ কি? তাকে কি কি জানতে হয়, কোন কাজগুলি নিয়মিত করতে হয়। এজন্য দৈনিক কতটুকু সময় ব্যয় করতে হয় । ব্লগারের প্রথম কাজ অবশ্যই ব্লগ তৈরী করা । একে শুরু না ধরে বরং পরিকল্পনাকে শুরু হিসেবে ধরা ভাল । পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজই ভালভাবে করা যায় না । ব্লগিং এর ক্ষেত্রে পরিকল্পনার প্রয়ােজন কিছুটা বেশিই । ব্লগ থেকে আয় করবেন এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর যে কাজগুলি করতে হয় সেগুলি পরপর সাজালে এমন হতে পারে।

১. পরিকল্পনা এবং বিষয় নির্বাচন (Select Niche)

কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন, সেখানে কোন পর্যায়ের তথ্য থাকবে, সম্ভাব্য ভিজিটর কারা হবেন । ইত্যাদি হিসেব করা এই পর্যায়ের কাজ। ধরুন ফটোশপ টিউটোরিয়াল বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন ঠিক করলেন । সাথে এটাও ঠিক করা প্রয়ােজন সেটা একেবারে নবিনদের জন্য নাকি যারা নিয়মিত কাজ করেন তাদের জন্য পরামর্শ সেখানে থাকবে । যিনি কয়েকবছর ধরে কাজ করছেন তারও নতুন টিপস। প্রয়ােজন হয়। তিনি একেবারে নবিনদের জন্য tutorial পছন্দ করবেন না। আবার যিনি ফটোশপ ব্যবহার শুরু করছেন তারকাছে পেশাদারি টিপস জটিল মনে হবে। blog কোন ধরনের ভিজিটরদের জন্য সেটা স্পষ্ট করে উল্লেখ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। ব্লগের বিষয় ঠিক করার পর তথ্য সংগ্রহ করা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধরে নেয়াই ভাল। যথেষ্ট পরিমান তথ্য হাতে না রেখে ব্লগ শুরু করলে সময়মত তথ্য সরবরাহে সংকট তৈরী হতে পারে। এতে ভিজিটর বিরক্ত হন। একবার কোন ভিজিটর ফেরত গেলে তিনি পুনরায় হয়ত সেই ব্লগে আসবেন না। এরসাথে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন blogging প্লাটফরম বিষয়ে । কোন ব্লগিং ব্যবস্থায় আপনার ব্লগ সবচেয়ে ভালভাবে কাজ করবে ঠিক করা । বিনামুল্যের ব্লগিং দিয়ে শুরু করবেন নাকি সরাসরি ডােমেন-হােষ্টিং খরচ বহন করে ব্যবসা হিসেবে শুরু করবেন সেটা ঠিক করা। কখনাে কখনাে এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ web ডেভেলপারের সাহায্য নেয়া হতে পারে। তিনি আপনার ব্লগতে পছন্দমত তৈরী করে দিতে পারেন। 

২. ব্লগ তৈরী করা (Make Blog)

পরিকল্পনার কাজ শেষ হলে অবশ্যই পরবর্তী ধাপ Blog তৈরী করা । নিজে নিজেই হােক অথবা কারাে সাহায্য নিয়েই হােক । ব্লগ তৈরীতে কারাে সাহায্য নিলে তারকাছে জেনে নিন কিভাবে ব্লগে নতুন বিষয় যােগ করতে হয়, কিভাবে বিজ্ঞাপন add করতে হয় ইত্যাদি। এই কাজের জন্য সবসময় অন্যের ওপর নির্ভর করতে পারেন না (যদি না প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়)। 

৩. তথ্য যােগ করা (Added Data)

ব্লগ তৈরীর পর নিয়মিত কাজের একটি হচ্ছে তথ্য যােগ করা । সাধারনভাবে বলা হয় ব্লগে প্রতিদিন। অন্তত একটি করে তথ্য যােগ করা উচিত। অনেকে প্রথম অবস্থায় দিনে ১০ কিংবা আরাে বেশি পােষ্ট যােগ করেন। বিষয়টি ব্লগের ধরনের ওপর নির্ভর করে। যত বেশি পােষ্ট যােগ করবেন তত ভাল। ভিজিটরকে সন্তুষ্ট করার মত পােষ্ট যােগ হলে এই সংখ্যা কমতে পারে । কখনােই বন্ধ করা উচিত না । সাধারনভাবে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিনগুলি ব্লগ পছন্দ করে। যতবার নতুন কিছু যােগ করা হয় ততবার ব্লগের তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে যােগ হয়। ফলে ক্রমাগত সার্চের রেজাল্টে ওপরের দিকে আসতে থাকে। 

৪. কমেন্ট আপডেট করা (Update Comment)

ব্লগে Comment বা ভিজিটরের মতামত রাখার ব্যবস্থা রাখা জরুরী। এতে একদিকে ভিজিটর ব্লগকে নিজের মনে করেন, অন্যদিকে এর মাধ্যমে এক ব্লগের সাথে অন্য ব্লগের সম্পর্ক তৈরী হয়। এক সাইটের ভিজিটর অন্য সাইটে যান। কেউ কেউ কমেন্ট না দেখেই Publish করার ব্যবস্থা রাখেন। অর্থাৎ ভিজিটর লিখলে সাথেসাথে সেটা ব্লগে দেখা যায় । এই পদ্ধতির সমস্যা হচ্ছে অনেকে অপ্রয়ােজনীয় মন্তব্য লিখতে পারেন। কাউকে। আক্রমন করে বক্তব্য দেয়া, গালাগালি করা সাধারন ঘটনা। এগুলি দেখে তারপর প্রকাশ করাই ভাল। যিনি একাজ করেন তাকে বলা হয় মডারেটর । ব্লগার নিজেই একাজ করতে পারেন । 

৫. প্রশ্নের উত্তর দেয়া (Ans to the Question)

মন্তব্য লেখার যায়গায় Visitor কোন প্রশ্ন রাখতে পারেন। ব্লগারের দায়িত্ব এধরনের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়া। এরফলে এমন কোন তথ্য বা নির্দেশ প্রকাশ পেতে পারে যা হয়ত মুল Blog Post থাকা প্রয়ােজন ছিল, কোন কারনে বাদ পরেছে । এগুলি ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক। 

৬. সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য পাঠানাে (Search Engine)

সাধারনভাবে সার্চ ইঞ্জিনগুলি নিজেই প্রতিটি ব্লগ বা Website পড়ে দেখে । কোন কোন Search ইঞ্জিন এজন্য যথেষ্ট সময় নেয়। কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত। একাজ দ্রুত করার জন্য নিজে থেকে ব্লগতে তাদের তালিকাভুক্ত করতে পারেন। ডিরেক্টরী লিষ্টিং নামের এই কাজের জন্য সরাসরি তাদের সাইটে গিয়ে যেমন নাম লেখা যায় । যেমন গুগলের সাইটে গিয়ে আপনার ব্লগের ঠিকানা টাইপ করে দিতে পারেন। আবার এজন্য বিশেষ Software সেবা ব্যবহার করতে পারেন। যেমন pingomatic, autopinger, feedping ইত্যাদি। তাদের সাইটে গিয়ে ব্লগের ঠিকানা এবং বর্ননা লিখে একবারে সমস্ত জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগের তথ্য পাঠাতে পারেন।

Blog তৈরী করে সেখানে তথ্য যােগ করলেই ব্লগারের কাজ শেষ হয় না। প্রতিনিয়ত ব্লগে ভিজিটরের তথ্য দেখতে হয়, নিয়মিত update করতে হয় এবং তারচেয়েও গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে Visitor বাড়ানাের চেষ্টা করতে হয় ।

ব্লগে এই মুহুর্তে যে পরিমান নিয়মিত ভিজিটর আছে তাতে আপনি সন্তুষ্ট একথা ভাবার সুযােগ ব্লগারের নেই । ব্লগার যদি নিয়মিত ব্লগের দিকে দৃষ্টি না দেন তাহলে Visitors কমতে শুরু করবে। যা কমতে থাকে তা একসময় শেষ হয়। আপনি নিশ্চয়ই সেটা চান না।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন (ব্লগিং নিশ, ব্লগ টপিক, ব্লগের বিষয়)

আশা করি আমাদের আজকের কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরী করবেন (ব্লগিং নিশ, ব্লগ টপিক, ব্লগের বিষয়) ভালো লেগেছে। যদি আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি ভালো লাগে তাহুলে নিচে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন টপিক পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ